২০২১ সালের এই বৃষ্টির মৌসুমে নারায়ণগঞ্জের আলোচিত ও সমালোচিত সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বিদেশ অর্থাৎ আমেরিকায় থাকাবস্থায় মাত্র কয়েকদিনে বৃষ্টিতে ফতুল্লাবাসী পানির করণে চরম দুর্ভোগের কবলে পরে । ওই সময় ফতুল্লা ইউনিয়ন ছাড়াও, কুতুবপুর এবং এনায়েতনগরেও ভয়াবহ জলজটের সৃষ্টি হয়। কুতুবপুরে বিভিন্ন পাড়া মহল্লার রাস্তাঘাট বৃষ্টির পানিতে ডুবে যায়। তারা বাজার থেকে এক বস্তা চাল কিনে বাড়িতে নিতে পারছিলো না। একই অবস্থা বিরাজ করে এনায়েতনগরের মাসদাইর বিসিক রোড, গাবতলী এবং মুসলিম নগর এলাকায়। এমতাবস্থায় গেলো বছর বন্ধুদের সাথে চুটিয়ে আড্ডা মেরেছেন শামীম ওসমান। এই ছবি ফেসবুকে পোষ্ট দেয়া হয়েছে। এমন এক সময় তিনি আমেরিকায় গেলেন যখন নাকি তার নিজের এলাকার জনগণ বৃষ্টির পানিতে চরম দুর্ভোগের মাঝে রয়েছেন। এমন ঘটনায় সমালোচনার ঝড় উঠে রাজনৈতিক অঙ্গনে ।
ঠিক একই ভাবে কাকতালীয়ভাবে এবাবো এই বছর বৃষ্টির এই মৌসূমে শামীম ওসমান লন্ডনে অবস্থান করছেন স্ব -পরিবারে। সাথে রয়েছেন তার ঘনিষ্ট বন্ধুদের কেউ কেউ । ২০২১ সালের মতো এবারো বন্ধুদের সাথে চুটিয়ে আড্ডা মারছেন শামীম ওসমান । এই ছবি ফেসবুকে পোষ্ট দেয়া হয়েছে। এমন এক সময় তিনি লন্ডনে গেলেন যখন নাকি তার নিজের এলাকার জনগণ বৃষ্টির পানিতে চরম দুর্ভোগের মাঝে রয়েছেন।
এমন ঘটনায় ফতুল্লার অনেকেই বলেছেন, “দুর্ভোগের এমন সময়ে কাকতালীয়ভাবে শামীম ওসমান বিদেশে ! আসলে দূর্ভাগা তো শামীম ওসমান আর ফতুল্লাবাসী উভয়েই ।“ গত বছরের ন্যয় এবারো রাজনৈতিক অঙ্গনে একইভাবে সমালোচনার ঝড় বইছে নারায়ণগঞ্জে ।
নিজস্ব প্রতিবেদক
বৃষ্টির কারণে ঢাকা নারায়ণগঞ্জের রেললাইন তরিয়ে গেছে পানির নীচে। আর ফতুল্লা নিম্নাঞ্চলের সকল এলাকার রাস্তা-ঘাট বাড়িঘর পানিতে তলিয়ে গেছে। রাতভর বৃস্টিতে ফতুল্লার অধিকাংশ এলাকার রাস্তা পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় সকাল থেকে মানুষের ভোগান্তি চরমে উঠেছে।
রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ার কারণে অতি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছে না।
আর ফতুল্লাবাসীর দুর্ভোগ চরম আকার ধারেণ করেছে ।
মাত্র কয়েক ঘন্টার টানা বর্ষণে তলিয়ে গেছে ফতুল্লা থানা এলাকার অধিকাংশ এলাকা। তলিয়ে গেছে পাড়া-মহল্লার বিভিন্ন রাস্তাঘাট। অধিকাংশ রাস্তা গুলোতেই হাটু সমান পানি।
ফতুল্লার দাপা ইদ্রাকপুর এলাকার মনির হোসেন জানায়, রাত এবং সকালের টানা কয়েক ঘন্টার বৃস্টিতে রাস্তা ঘাট তলিয়ে গেছে। তার বাড়ীর ভিতরে পানি প্রবেশ করেছে। বাসা থেকে বের হওয়ার কোন উপক্রম নেই। রাস্তায় হাটু সমান পানি। রিক্সা বা অটোরিক্সা কিছুই পাওয়া যাচ্ছেনা রাস্তায়। তবু ও জরুরী একটা কাজে লুঙ্গি পরে আরেকজনের মাধ্যমে ফোন করে অটোরিক্সা বাসার সামনে নিয়ে এসে বাসা থেকে বের হতে হয়েছে।
মাসদাইর গুদারাগাট এলাকার বাসীন্দা জুয়েল জানায়, টানা কয়েক ঘন্টার বৃস্টিতে রাস্তাঘাট পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ার চরম ভোগান্তির সৃস্টি হয়েছে। রিক্সা জন্য ৪০ মিনিটের উপরে দাড়িয়ে থেকে রিক্সা, মিশুক কিছু না পেয়ে স্যান্ডেল হাতে নিয়ে প্যান্ট গুটিয়ে ময়লা পানি মাড়িয়ে নিজ কর্মস্থলে আসতে হয়েছে।
ফতুল্লার দাপা বেপারীপাড়া এলাকার বাবু জানায়, ডাইংয়ের পানির কারনে তার বাড়ীর সামনের রাস্তাসহ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনের রাস্তাটি বছরের অধিকাংশ সময় হাটু সমান পানির নীচে তলিয়ে থাকে। তার উপর রাতের কয়েক ঘন্টার টানা বৃস্টিতে রাস্তা কোমর সমান পানির নিচে তলিয়ে যাবার পাশাপশি বাসা বাড়ীর ভিতরেও পানি প্রবেশ করেছে।
এদিকে পাগলা কুতুবপুরের পুরো এলাকাজুড়েই পানির নীচে। চলাচল যেন দূরূহ বিষয়। দিনের বেলায় যেমন তেমন কষ্ট সহ্য করে চলাচল করতে পারলেও সন্ধ্যার পর ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে ।
পানির সাথে এমন কঠিন যুদ্ধ করে টিকে থাকা অনেকেই বলেছেন আমরা আসলেই দূর্ভাগা । নইলে আমাদের এলাকার নেতা সারাদেশের আলোচিত ব্যাক্তি শামীম ওসমান । এই এলাকার মানুষ প্রতি বছরই দুই – তিন দিনের বৃষ্টির পানিতে ডুবে যেতে হচ্ছে । এই কষ্ট থেকে কোন অবস্থাতেই মুক্তি পাচ্ছে না ফতুল্লাবাসী।
Discussion about this post