নারায়ণগঞ্জ আদালতের সিনিয়র জুডিশিযাল ম্যাজিস্ট্রেট শামসাদ বেগম এর খাস কামড়ায় সিদ্ধিরগঞ্জের পিকআপসহ গ্যাস সিলিন্ডার ডাকাতি ঘটনায় মুন্সিগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী থানার কোদাল ধোয়া এলাকার মৃত জয়নাল আবেদীনের ছেলে মোঃ আশরাফ ওরফে আশাবুদ্দীন (৩৭) একই জেলার দামারন এলাকার রহিম বেপারীর ছেলে হোসেন (২১) স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করে।
স্বীকারোক্তির পর আসামী আশরাফ ওরফে আশাবুদ্দিন পুলিশের সাথে আলাপচারিতার এক পর্যায়ে জানায়, তাদের সাথে এমন ডাকাতির ঘটনায় আরো কয়েকজন মুন্সীগঞ্জ থেকে প্রতিনিয়তঃ নারায়ণগঞ্জে এস অপরাধ কর্মকান্ড চালিয়ে আসছিলো। একই সাথে কমপক্ষে ৫০ জন অপরাধী ৩ জনের গ্রুপ করে প্রতিদিন ভোরে নারায়নগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় আসে। এই একাধিক চক্র নারায়ণগঞ্জে ডাকাতি ছাড়াও বিশেষ করে মটর সাইকেল চুরি করতে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বেড়ায় । খুব ভোরে নাম্বার প্লেট ছাড়া এমন অসংখ্য মটর সাইকেল যোগে পুরো নারায়ণগঞ্জ চষে বেড়ায় বিশাল এই চক্র।
স্বীকারাক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদানের পর এই দুই ডাকাত কে (১১ সেপ্টেম্বর) রোববার সন্ধ্যায় কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালতের বিজ্ঞ বিচারক ।
এমন ঘটনার পূর্বে সিদ্ধিরগঞ্জে ডাকাতি মামলার পলাতক ওই দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ।
গতকাল শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক ইয়াউর রহমান মুন্সিগঞ্জ জেলা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করেন বলে জানান।
গ্রেফতারকৃত আসামিরা হলেন, মুন্সিগঞ্জের টঙ্গীবাড়ীর দামারন এলাকার রহিম বেপারীর ছেলে হোসেন (২১), একই জেলার কোদাল ধোয়া এলাকার মৃত জয়নাল আবেদীনের ছেলে মোঃ আশরাফ ওরফে আশাবুদ্দীন (৩৭)।
এবিষয়ে উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইয়াউর রহমান জানান, গ্রেফতারকৃত দুই আসামী ডাকাতির বিষয়টি স্বীকার করে নারায়ণগঞ্জের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
পুলিশ সুত্রে জানা যায়, সিদ্ধিরগঞ্জের নাসিক ৮ নং ওয়ার্ডের ধনকুন্ডা এলাকায় একটি পিকাপসহ গ্যাস সিলিন্ডার ডাকাতির ঘটনা ঘটে। উক্ত ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জে ভুক্তভোগী নিজেই বাদী হয়ে একটি ডাকাতি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার পলাতক আসামী ছিলেন সাব্বির ও আশাবুদ্দিন।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মশিউর রহমান জানান, আসামিদের গতকাল রাতেই আমরা গ্রেফতার করেছি। আজ দুপুরে আদালতে পাঠানো হলে তারা ডাকাতির বিষয়টি স্বীকার করেন বলে জানান ওসি।
Discussion about this post