নারায়ণগঞ্জের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কতটা নাজুক হলে শহরের চাষাড়া চত্তরে প্রকাশ্যে এক যুবককে ছুরিকাঘাত ও মারধরের ঘটনা ঘটতে পারে অপরাধীরা।এমন প্রশ্ন ছিলো নগররবাসীর মুখে।
রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) রাতে শহরের চাষাঢ়া চত্তরের ফুটপাতের ওপর এই ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে।
ইতিমধ্যেই ছুরিকাঘাতের এ ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
এ ঘটনায় সোমবার সকালে তিনজনকে আটক করেছে র্যাব।
আজ রাতে র্যাব তাদের ফতুল্লা থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে।
আটক ব্যক্তিরা হলেন নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানার নবীগঞ্জ লক্ষনখোলার রনি (২২), সদর থানার চাষাড়া রামবাবুর পুকুরপাড় এলাকার শরীফ (২১) ও ফতুল্লা মডেল থানার চানমারী নতুন রোড এলাকার রাব্বি (২১)।
র্যাব সূত্রে জানা যায়, আজ সকালে তাদেরকে ফতুল্লা মডেল থানার উত্তর চাষাড়া ছোট মসজিদের সামনের রাস্তা থেকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে তিনটি সুইচ গিয়ার ছুরি জব্দ করা হয়। পরে রাত ৮টার দিকে তাদেরকে ফতুল্লা মডেল থানা-পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ রিয়াজুল হক দিপু বলেন, এক যুবককে মারধরসহ ছুরিকাঘাতের ঘটনার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর তিন অভিযুক্ত আটক করেছে র্যাব। আজ রাতে তাদেরকে ফতুল্লা থানায় সোপর্দ করেছে র্যাব।
এদিকে, ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, গাঢ় নীল রঙের টি-শার্ট পরা এক যুবকের হাতে ধারালো ছুরি। তার সঙ্গে আছেন শার্ট পরা আরেক যুবক। তারা দুজনে হলুদ শার্ট পরা এক যুবককে মারধর করছে। দুজনে টেনে ওই যুবককে তুলে নিয়েও যেতে চেষ্টা করেন। না যেতে চাইলে একপর্যায়ে টি-শার্ট পরা যুবক তার হাতে থাকা ছুরি দিয়ে ওই যুবকে পিঠে আঘাত করেন। রক্তাক্ত অবস্থাতেও ওই যুবককে তারা দুজন মিলে মারধর করেন।
এক মিনটি চব্বিশ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে ছুরি হাতে থাকা যুবক বলেন, ‘মাইরালামু, মার্ডার মামলা খামু। পাপ্পু না তোর বাপ? আমি রবিন। কথা কবি আর পার দিমু।’ সঙ্গে থাকা অপর যুবক ছুরিকাহত যুবককে বলেন, ‘তোরে খাইয়ালামু, দেখবি?’
এসময় ছুরিকাহত যুবক, ‘আমার রক্ত বাইরাইয়া গেছে’ বলে কাঁদতে থাকলেও তাকে মারধর করতে থাকেন অপর দুই যুবক।
এমন ভিডিও ভাইরালের পর নগরীর প্রায় প্রতিটি পাড়া মহল্লায় ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠে। এমন কান্ডের পর ফতুল্লায় আরো কিশোর গ্যাংয়ের এমন বখাটে চার যুবক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে এলাকাবাসী । এ রিপোর্ট লেখাকালীন সময় সোমবার দিবাগত রাত ১ টায় ৩শ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে গণপিটুনির শিকার ওই চার কিশোরদের ।
Discussion about this post