“বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের পথ ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ দিয়ে বন্ধ করা হয়েছিল। সেই অধ্যাদেশকে আইনে পরিণত করা হয়েছিল ’৭৯ সালের পার্লামেন্টের প্রথম অধিবেশনে। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে নয় বিশ্ব ইতিহাসেও মানবাধিকার লঙ্ঘনের একটি বড় ঘটনা। আজ মানবাধিকারের কথা বলা হয় অথচ বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের পর ইনডেমনিটি দেয়া হয়েছিল। এটা বিশ্বের ইতিহাসে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অন্যতম উদাহরণ। জিয়াউর রহমান ক্ষমতাকে নিষ্কন্টক করার জন্য শত-শত, হাজার-হাজার সেনাবাহিনীর অফিসার ও জওয়ানকে হত্যা করেছে। বিনা বিচারে সে শত শত অফিসারকে ফাঁসি দিয়েছে। একই রশিতে দুইজনকে ফাঁসি দেওয়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে। ফাঁসি দেওয়ার তিন মাস পরে বিচার হয়েছে।”
এভাবেই বুধবার (৩১ আগস্ট) শহরের আলী আহাম্মদ চুনকা সিটি মিলনায়তনে সাংবাদিকদের মাঝে কল্যান ট্রাস্ট্রের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমন কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী হাসান মাহমুদ।
মন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমানের সময় পতাকা পরিবর্তনের কথাও বলা হয়েছিল। চাঁদ তারার পতাকা। অর্থাৎ তারা দেশ পরিবর্তন করতে চেয়েছিল। আমি ইতিহাস জানি বলেই বলছি। এ জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর সমস্ত খুনীদের পুনর্বাসন করেছেন। ৮৯ সালের নির্বাচনের পর শাহ আজিজুর রহমানকে প্রধানমন্ত্রী বানিয়েছিলেন। জিয়াউর রহমান সাত কোটি মানুষের মধ্যে আর কাউকে খুঁজে পাননি।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় সাক্ষী আসামিরা জিয়াউর রহমানের কথা বলেছে। আমি আওয়ামীলীগ নেতাদের বলব এগুলো খুঁজে বের করুন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, আমি বাবার মুখে শুনেছি, তিনদিনে বিচার হয়েছে তারপর ফাঁসি হয়েছে। অনেকের ক্ষেত্রে তিনমাস পর বিচার হয়েছে তার আগেই ফাঁসি হয়েছে। আজ তারা ঢাকার রাস্তায় মানবাধিকারের জন্য সমাবেশ করেছে। ১৫ আগষ্টের সাথে জিয়াউর রহমান যুক্ত আর ২১ আগষ্টের সাথে খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়া জড়িত। আমি নিজেও ২১ আগষ্ট আহত হয়েছিলাম। খালেদা জিয়া সেদিন বলেছিলেন তদন্ত করতে হবে না।
এ সময় সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে অনুদানের চেক বিতরণ করা হয়। জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুস সালামের সভাপতিত্ব ও সাধারণ সম্পাদক আমীর হুসাইন স্মিথের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী, নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু, জেলা পরিষদের প্রশাসক আনোয়ার হোসেন, জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ, জেলা পুলিশ সুপার জিএম রাসেল, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ওমর ফারুক, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের সদস্য কাশেম হুমায়ূন ।
Discussion about this post