আর মাত্র অল্প পাঁচ দিন বাকি ঈদুল আযহার।
আগামী ১০ জুলাই পবিত্র ইদুল আযহা অর্থাৎ কোরবানির ঈদ।
যেহেতু কুরবানির পশু কাটাকুটিতে প্রয়োজন ধারালো দাঁ, বটি, চাপাতি ও ছুরি। তাই কয়লার চুলায় দগদগে আগুনে গরম লোহার পিটাপিটিতে যেমন টুং টাং শব্দে মুখর হয়ে উঠেছে সিদ্ধিরগঞ্জের কামার পাড়াগুলো।
রবিবার (৩ জুলাই) সরেজমিন নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে দেখা যায়, কোরবানির ইদকে সামনে রেখে অনেক ব্যস্ত সময় পার করছেন কামাররা। পশু জবাইয়ের সরঞ্জামাদি কিনতেও ধার করতে লোকজন ভিড় করছেন তাদের দোকানে। আগে যে সব দোকানে দুই থেকে তিন জন করে শ্রমিক কাজ করতো, এখন সে সব দোকানে ৪-৬ জন করে শ্রমিক কাজ করছেন। এছাড়া বিভিন্ন এলাকা ঘুরেও এখন কামারদের উপস্থিতি বেশি দেখা যায়।
সিদ্ধিরগঞ্জের বটতলা এলাকার কামার সুস্ময় পাল বলেন, সারা বছর আমাগো কাম-কাজ কম থাকে। কুরবানির ইদ আইলে আমাগো কাম বাড়াই যায়। আগের থিকা এখন বেচা কিনা বাড়ছে ঈদ যেতো কাছে আইতাছে আমাগো দোকানে কাস্টমার ততো বাড়তাছে। তিনি আরো বলেন এইতো পরশু দিন থিকা আমার দোকানে আরপ দুই জন নতুন লোক আইবই এর পর অফিস আদালত বন্ধ দিলেই প্রচুর কাম আসা শুরু করবো তখন আমাগো রাত-দিন ২৪ ঘণ্টা কাম করতে হইবো। তহন আমাগো খাওয়োন দাওয়োনের সময়ও পাইনা।
মিজমিজি এলাকার কামাড় নেছার তিনি বিভিন্ন এলাকায় এলাকায় গিয়ে দাঁ, বটি ধার করান। তিনি বলেন, কুরবানির ইদ আসলে আমাদের মতো শ্রমিকের মূল্য কিছুটা বাড়ে । এখন একটি ডাক দিলেই কেউ না কেউ আমাকে ডাক দিবেই। আর এই ইদটা চলে গেলে সারাদিন ঘুড়ে দুই-তিনটা কাজ পাই। তাই কুরবানীর ইদ আসলে আমার অনেক আনন্দ লাগে।
নারায়ণগঞ্জ শহরের কালীর বাজারসহ আশেপাশের অনেক এলাকা ঘুরে দেখা গেছে চরম ব্যস্ততার মাঝেও কথা বলার ফুসরত পাচ্ছেন না কোন কামার । কালীর বাজারের কামার আবদুল হাই বলেন, “ভাই এই সময়টাতে আমাদের অনেক ব্যস্ততার মধ্যেই থাকতে হয় । একদিকে বাড়তী আয় হয় আবার সমাজের কেউ আমাদের তেমন মূল্যায়ন না করলেও কোরবানীর ঈদের আগে দাঁ, বটি, চাকু, চাপাটি ঠিক করতে এসে নানাভাবে কদরও করেন। বাড়তী আয়ের চাইতে এই সময়ে আমদের সম্মান করে যে কথা বলেন লোকজন তাতেই খুব ভালো লাগে । আর কাজেও উৎসাহ পাই ।
Discussion about this post