নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলায় এক মাদ্রাসার ছাত্রী (৯) গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ বিষয়ে কাউকে না জানাতে ধর্ষণ শেষে ওই ছাত্রীকে পবিত্র কোরআন শরীফ ছুঁয়ে শপথ করানো হয়।
রোববার (৩ জুলাই) সকালে ভুক্তভোগী ছাত্রীর মা বাদী হয়ে দুই জনের নাম উল্লেখ করে আড়াইহাজার থানায় মামলা দায়ের করেন। এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
অভিযুক্তরা হলো উপজেলার চনপাড়ার রফিকুল ইসলামের ছেলে আল মাহি (২২) ও একই এলাকার আব্দুর রশিদের ছেলে মো. আসলাম (১৮)।
এমন ঘটনায় শিশুর বাবা মা কে নানাভাবে ভয়ভীতি দেখানোর পর ঘটনাটি নিয়ে আর কোন কথা বলাতে প্রথমে রাজি হয় নাই পরিবার। স্থানীয় মাতাব্বরদের নানা প্ররোচনার পর ভুক্তভোগী ছাত্রীর খালু ৯৯৯ এ ফোন দিয়ে বিস্তারিত জানানোর পর পুলিশী তৎপড়তায় টনক নঢ়ে পুরো এলাকায়। প্রথমে নরসিংদীর পুলিশ গত ব্যাপক তদন্তের পর ঘটনাস্থল আড়াইহাজার থানা এলাকয় হওয়ায় হাল ছেড়ে দিলেও আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল হক হাওলাদার শনিবার সকাল থেকে দফায় দফায় পুরিশ পাঠিয়ে ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের পর আইননানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আদেশ দেন ।
মামলায় ওই ছাত্রীর মা উল্লেখ করেন, ভুক্তভোগী ছাত্রী স্থানীয় একটি মাদ্রাসার ২য় শ্রেণির ছাত্রী। ওই ছাত্রী রফিকুলেরর বাড়িতে প্রাইভেট পড়তে যায়। এসময় তার সঙ্গে পড়তে যেত আল মাহি। শিক্ষক রফিকুল ও তার ছাত্র আল মাহি দুইজন বিভিন্ন সময় ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করতো। গত ২৯ জুলাই রাত ৮ টায় প্রাইভেট পড়া শেষে রফিকুল ও আল মাহি দুইজন মিলে ওই ছাত্রীকে গণধর্ষণ করে। পরে এ বিষয়ে কাউকে না জানাতে ওই ছাত্রীকে পবিত্র কোরআন শরীফ ছুঁয়ে শপথ করানো হয় এবং বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখানো হয়।
ওই ছাত্রীর মা বলেন, ‘কোরআন শরীফ ছুঁয়ে শপথ করানোর কারণে বাসায় এসে আমার মেয়ে কিছু বলেনি। গত কয়েকদিন ধরে অসুস্থ হয়ে পড়লে ডাক্তার দেখানোর পর জানায় তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। পরে আমার মেয়ে সব কিছু জানায়।’
আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল হক হাওলাদার বলেন, ‘ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে দুইজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। ওই ছাত্রীকে চিকিৎসার জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
Discussion about this post