নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর ফতুল্লা থানার দেওভোগে ১৩ বছরের কিশোরী গণধর্ষণের ঘটনায় অন্যতম আসামী মিনু রাসেলকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১।
সোমবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে রাসেলকে মুন্সিগঞ্জ জেলার লৌহজং থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। রাসেল দেওভোগের আশরাফ আলীর ছেলে। মিনু রাসেল প্রায় দুই যুগ যাবৎ নারায়ণগহ্জ শহরের জিমকানা, পাইকপাড়া, দেওভোগ, ফতুল্লার বিভিন্ন এলাকায় ফেনসিডিল, ইয়াবা, হেরোইনের পাইকারী ডিলার হিসেবে পরিচিত ।
র্যাব জানায়, ১৪ এপ্রিল দেওভোগ এলাকায় একটি ১৩ বছরের কিশোরী গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে ভিকটিমের মা বাদী হয়ে ফতুল্লা থানায় একটি গণধর্ষণ মামলা দায়ের করে। উক্ত ঘটনা বিভিন্ন স্থানীয় ও জাতীয় গণমাধ্যমে সংবাদ আকারে প্রচারিত হয় যা এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায় যে, ভিকটিম তার মায়ের সাথে দেওভোগ এলাকায় বসবাস করত। গত ১৩ এপ্রিল তার নিজ বাসা থেকে পাশ্ববর্তী দেওভোগ আদর্শনগর এলাকায় নানীর বাসায় বেড়াতে যায়। ১৪ এপ্রিল সেহেরীর সময় নানীর সাথে নিজ বাসায় ফেরার পথে গ্রেফতারকৃত মিনু রাসেল এর পরামর্শে অত্র মামলার অপর আসামী মোঃ রিফাত (২০) ও সিফাত (২২) জোরপূর্বক অপহরণ করে মিনু রাসেল এর বাসায় নিয়ে যায়। এ সময় ভিকটিমের নানী বাধা দিলে তাকে মারধর করে রাস্তায় ফেলে যায়। অতপর গ্রেফতারকৃত রাসেল এবং অপর আসামী মিলে ভিকটিমকে ৪ দিন আটকে রেখে পালাক্রমে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
ফতুল্লা থানা পুলিশ এই ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় ১৭ এপ্রিল মোঃ রিফাতকে (২০) গ্রেফতার করে এবং তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ভিকটিমকে মিনু রাসেল এর বাসা থেকে উদ্ধার করে। এ সময়ে রাসেল ও অপর আসামী সিফাত কৌশলে পালিয়ে যায়। অতপর ২৫ এপ্রিল গোয়েন্দা কার্যক্রমের মাধ্যমে র্যাব-১১, সিপিসি-১ এর একটি গোয়েন্দা দল মুন্সিগঞ্জ জেলার লৌহজং থানা এলাকা হতে অত্র গণধর্ষণ মামলার অন্যতম আসামী মিনু রাসেলকে (৪০) গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
উল্লেখ্য যে, গ্রেফতারকৃত রাসেল এর বিরুদ্ধে মাদক ও হত্যা মামলা সহ একাধিক মামলা রয়েছে এবং সে নারায়ণগঞ্জ সদর থানার হত্যা মামলার গ্রেফতারী পরোয়ানাভুক্ত আসামী।
মামলার অপর পলাতক আসামী সিফাত (২২) কে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে। গ্রেফতারৃকত আসামী মিনু রাসেল এর বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
Discussion about this post