এনএনইউ রিপোর্ট :
যে কোন মূল্যে রূপগঞ্জে গোলাম দস্তগীর গাজীকে একাদশ জাতীয় নির্বাচন থেকে মাইনাস করতে আদজল খেয়ে মাঠে নেমছিলো বসুন্ধরাা গ্রুপ সেই প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্রানসহ সকলেই শেষ পর্যন্ত বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীকে ফুলের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন । ঘটনাটি ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে সর্বত্র ।
জানা যায়, একাদশ জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষনার অনেক আগে থেকেই বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোহবান রূপগঞ্জে নিজেদের আদিপত্য বিস্তার করতে সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজীকে যে কোন মূল্যে মাইনাস করতে ( কোনভাবে যাতে মনোনয়ন না পায় ) প্রথমে চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামকে প্রস্তুত করতে থাকে। সংসদ সদস্য গাজীকে কোন প্রকার তোয়াক্কা না করে রফিকুল ইসলামকে দিয়ে নানাভাবে অপপ্রচার শুরু করে । রূপগঞ্জের ভুমি ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিতে আগে থেকেই হামলা মামলার ঘটনায় গোলাম দস্তগীর গাজীকে হেনস্থা করতে এমন কোন অপকর্ম নাই যা রফিকুল ইসলাম কর্তৃক সংগঠিত হয় নাই ।
নির্বাচনের আগ মূহুর্ত পর্যন্ত রূপগঞ্জের অনেক আওয়ামীলীগ, যুব লীগ, ছাত্রলীগ ছাড়াও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের নানা প্রলোভন দেখিয়ে বসুন্ধরা গ্রুপ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয় । নির্বাচনী তফসিল ঘোষনার পর নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবদুল হাইসহ অনেকেই গোলাম দস্তগীর গাজীর বিরুদ্ধাচারণ করে আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে গাজীর বিপরীতে প্রায় ২০ টি মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেন ।
এমন ঘটনার পরও গোলাম দস্তগীর বীর প্রতীকের বিরুদ্ধে আওয়ামীলীগ প্রধান শেখ হাসিনার দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন ঘটাতে না পেরে শেষ পর্যন্ত সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদকে নারায়ণগঞ্জ -১ (রূপগঞ্জ) আসন থেকে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করায় বসুন্ধরা গ্রুপ। নির্বাচন শেষে এবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী (বীর প্রতীক) কে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী হিসেবে চূড়ান্ত করায় সকল নিন্দুকদের কপালে পরে কালো ভাজ ।
এবার রাজনৈতিক ও ব্যবসায়ীর স্বার্থকে প্রধান্য দিয়ে এবং নীতিবোধকে বিসর্জন দিয়ে একে একে প্রায় সকল গাজী বিরোধীরা রূপগঞ্জে ফুলের শুভেচ্ছা নিয়ে হুমরি খেয়ে পরছে । এদের মধ্যে অন্যতম বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোহবান।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে রূপগঞ্জের অনেকেই বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপের পূর্বাঞ্চলীয় পরিচাল ( ল্যান্ড) ও রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম এক সময় সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজীকে বাবা বলে ডাকতেন । আর হাছিনা গাজীকে ডাকতেন মা বলে । তখন অনেকেই এমন বাবা মা ডাকা রফিকুল ইসলাম সম্পর্কে সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজীক পরামর্শ সতর্কও করেছিলেন। এই রফিক বিশাল ক্ষতির কারণ হয়ে দাড়াবে বলে প্রকাশ্যেই মন্তব্য করতো নেতাকর্মীরা। বর্তমান প্রেক্ষাপটে সেই উদহারণ দিলে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বিষয়গুলি ক্ষমাপূর্ণ দৃষ্টিতে দেখতে সকলকে অনুরোধ করে যাচ্ছেন ।
উল্লেখ্য এক সময়ের চরম বিরোধী প্রতিপক্ষ বর্তমান সরকারের বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক কে অভিনন্দন জানিয়েছে বসুন্ধরা গ্রুপ । শনিবার রাতে বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোহবান মন্ত্রীকে ফুলের তোড়া উপহার দিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা গ্রুপের পূর্বাঞ্চলীয় পরিচাল ( ল্যান্ড) ও রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি খন্দকার আবুল বাশার টুকু, নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের সদস্য ও রংধনু গ্রুপের পরিচালক মিজানুর রহমান মিজান, দাউদপুর ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম জাহাঙ্গীর, রুপগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান আবু হোসেন ভুইয়া রানু, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা হাফিজুর রহমান ভুইয়া সজিব, উপজেলা যুবলীগ নেতা হাজী সফিকুল ইসলাম, হাজী নবী হোসেন, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাসুম চৌধুরী অপু, মনিরুজ্জজামান ভূইয়া, উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা আশিকুল ইসলাম খোকন, লুৎফর রহমান মুন্না প্রমুখ।
এমন শুভেচ্ছা বিনিময় ও অভিনন্দন জ্ঞাপনের ঘটনায় ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচানর সৃষ্টি হয়েছে রূপগঞ্জ জুড়ে। সমালেচনাকারী অনেকেই কবিগুরু রবিন্দ্রনাথ ঠাকুরের ”দুই বিঘা জমি“ কবিতার প্রথমাংশ :
আমি শুনে হাসি
আর আঁখি জ্বলে বাসি
এই ছিলো মোর বাটে,
তুমি মহারাজ…. কবিতাটি অনেকের মুখে টিপ্পনী কেটে আবৃতি করতে শোনা গেছে রূপগঞ্জের সর্বত্র ।
Discussion about this post