নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার সিদ্ধিরগঞ্জে বছরের পর বছর জুড়ে চলে আসছে চোরাই তেলের কারবার । বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের কারনে সর্বত্র ই যখন ত্রাহিত্রাহি অবস্থা তখনও সিদ্ধিরগঞ্জে চোরাই তেলের সাম্রাজ্য নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে চলছে নানা অপতৎপরতা ।
এক নূর হোসেন সাত খুন করে ফাঁসির কনডেম সেলের ভিতরে থাকলেও সিদ্ধিরগঞ্জে আরো কয়েকজন নূর হোসেন অপরাধের সাম্রাজ্য নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে সদা তৎপরতা চালিয়েই যাাচ্ছ ।
ডিবি পুলিশ সদস্যকে খুন করে এই চক্রের অনেক হোতা চালিয়ে যাচ্ছে জ্বালানি তেল চুরির কারবার। জ্বালানি তেল সরবরাহের নেপথ্যে প্রতিটি ট্যাংকলড়িতে কি পরিমাণ চুরি লুকিয়ে রয়েছে তা শুধু নিম্নোলিখিত জ্বালানি তেল ব্যবসার সাথে জড়িতরাই শুধু তারাই জানে । নিজেদেরকে তেলের ব্যবসায়ী বলে দাবী করে সকল দলিল দস্তাবেজ দেখালেও এই ব্যবসার অন্তরালে কতটা ঘৃন্য অপরাধ লুকিয়ে রয়েছে তা সাধারণতঃঃ কেউ বলতেই পারবে না ।
জ্বালানি তেল চুরির গোমড় (গোপন তথ্য) কেউ ফাস করবে না । চুরির গোপন রহস্য গোপন রেখেই যারা জ্বালানি তেল ব্যবসায়ী বলে দাবী করছে তারা সকলেই সরকারি সম্পদ চুরি করতেই চোরাই সাম্রাজ্য নিজেদের নিয়ন্ত্রণ রাখতেই সকল অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। এই চোরাই সিন্ডিকেটের সকলেই এমন কোন অপরাধ নাই যা তারা করছেন না। পুলিশ সদস্য খুন করে কোটি টাকা খরচা করে তেল চোরদের সকলেই আবার অপকর্ম অব্যাহত রেখেছে !
এমন মন্তব্য সিদ্ধিরগঞ্জের এক তেল ব্যবসায়ীর ঃ যার তথ্যে বেড়িয়ে এসেছে অজানা লোমহর্ষক বিশাল কাহিনি।
নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট :
বৃহস্পতিবার বিকেলে সিদ্ধিরগঞ্জে ট্যাঙ্কলড়ির ট্রিপের দখলদারিত্ব নিয়ে কাউন্সিলর মতি সমর্থক তেল ব্যবসায়ী আশরাফ উদ্দিন ও সাবেক কাউন্সিলর তেল ব্যবসায়ী সিরাজ মণ্ডল বাহিনীর সঙ্গে কয়েক দফা ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে সিদ্ধিরগঞ্জের এসও রোড এলাকায় এই সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় গ্রুপের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। তাদের কয়েকজনকে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল ভর্তি করা হয়েছে।
এমন সংঘর্ষের ঘটনায় সাবেক কাউন্সিলর তেল চোরদের একপক্ষের নিয়ন্ত্রণকারী সিরাজ মন্ডল দাবি করেছেন, তার লোকজন বিকেলের দিকে গোদনাইল এসও রোডে ত্রাণ দিতে গেলে আশরাফের লোকজন বাধা দেয়। এ নিয়ে তর্কের এক পর্যায়ে আশরাফের লোকজন হামলা চালিয়ে তার লোকজনকে আহত করেছে।
অন্যদিকে আরেক তেল চোর সিন্ডিকেটের হোতা একসময়ের পুলিশের সোর্স বর্তমানে বিসগাল নেতা (!) আশরাফ উদ্দিন দাবি করেছেন, তাকে হত্যার উদ্দেশ্যেই পরিকল্পিতভাবে তার অফিসে হামলা করা হয়েছে। এবং তার অফিস ভাঙচুর করা হয়েছে।
এমন ঘটনায় স্থানীয় একাধিক সূত্র জানিয়েছে, ডিবিএল নামক একটি কোম্পনীর তেল পরিবহন করে আশরাফ উদ্দিন ও সিরাজ মণ্ডল। কিন্তু এই কোম্পানীর তেল উভয় পক্ষই এককভাবে পরিবহন করতে মরিয়া হয়ে উঠে কয়েকদিন ধরে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্বের শুরু। এর জের ধরে বৃহস্পতিবার দুপুর দুইটার দিকে একই সূত্র নিয়ে কথা কাটাকাটি হলে আশরাফের লোকজনের সাথে সিরাজ মন্ডলের লোকজনের হাতাহাতির ঘটনা গটে। পরে সিরাজ মন্ডলের লোকজন দলবলে আসলে আশরাফের লোকেরা পালিয়ে যায়। তবে, আশরাফ এলাকায় না থাকার কারণে তাৎক্ষণিকভাবে পাল্টা হামলা চালাতে পারেনি আশরাফ গ্রুপ।
প্রত্যাক্ষদর্শী অনেকে আরো জানায়, দুপুরের ওই ঘটনার পর বিকেলের দিকে আশরাফ ঢাকা থেকে এসও রোড এলে উভয় গ্রুপ ফের মুখোমুখি হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় উভয় গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় এলাকাজুড়ে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে খবর পেয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ ও র্যাব-১১ দুটি টিম ঘটনাস্থলে এসে উভয় গ্রুপকে নিবৃত করার চেষ্টা করে বর্থ্য হয়ে কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে উভয় পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
সিরাজ মন্ডল ফের গণমাধ্যম কে আরো বলেন, বিকালে এসও রোড খেজুর গাছ তলা এলাকায় আমার লোক ত্রাণ দিতে গেলে আশরাফ উদ্দিনের লোকজন হামলা করে। বাধা দিলে তারা দ্বিতীয় দফায় হামলা করে। আমি মনে করি এটা তাদের পরিকল্পিত হামলা।
সংঘর্ষের সত্যতা নিশ্চিত করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি কামরুল ফারুক জানান, এক পক্ষ আরেক পক্ষের সাথে দূর্ব্যবহার করায় সংঘাত হয়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে ২ রাউন্ড রাবার বুলেট ছুঁড়তে হয়েছে পুলিশকে। বর্তমানে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এ ঘটনায় কোনো অভিযোগ না থাকায় কাউকে আটক করা হয়নি। তবে কেউ অভিযোগ দিলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে সর্বশেষ রাত ১১ টার দিকে জানা গেছে, আশরাফ উদ্দিন সিরাজ মন্ডলসহ তার অনুসারিদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ এনে থানায় মামলা দায়ের করতে গেছেন। সিরাজ মন্ডলও পাল্টা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও জানা গেছে।
এমন ঘটবায় নির্ভরশীল সুত্র নিশ্চিত করে আরো জানায়, জ্বালানি তেল সরবরাহ করাকালীন সময়ে কি পরিমান তেল চুরি হয় অনেকের চিন্তার বাইরে। এ ছাড়াও ডিপোর সাথে যোগসাজশে রমরমা জ্বালানি তেল চুরির অর্থায়নে একেকজন চোর যেন কোটি কোটি টাকার মালিক ৷ ( এমন অভিযোগের রেকর্ড সংরক্ষিত রয়েছে)
Discussion about this post