চলমান কড়া বিধিনিষেধের মধ্যেও নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ইউরোটেক্স নিটওয়্যার লিমিটেড নামে একটি রপ্তানিমুখী পোশাক কারখানার কার্যক্রম চালু রেখেছে মালিকপক্ষ। নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও কারখানায় জোর করে কাজ করানো হচ্ছে শ্রমিকদের।
সোমবার (২৬ জুলাই) বিকেলে শ্রমিকরা জানান, ইউরোটেক্স শুধু ঈদের দিন বন্ধ ছিল। ঈদের পরদিন থেকে টেক্সটাইল ও ডাইং বিভাগসহ কারখানা চালু করা হয়। সরকারি ও নিট ব্যবসায়ীদের সংগঠন বিকেএমইএ’র নির্দেশনা অমান্য করে চাকরিচ্যুতের ভয় দেখিয়ে শ্রমিকদের কাজে বাধ্য করা হচ্ছে। এমনকি মানা হচ্ছে না কোনো প্রকার স্বাস্থ্যবিধি। করোনা সংক্রমণের ঝুঁকিতে রয়েছেন শ্রমিকরা। কারখানার সামনে খোলা দোকানগুলোতে চা, পান, সিগারেট কিনতেও দেখা গেছে শ্রমিকদের।
গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি এম এ শাহীন বলেন, লকডাউনের বিধি নিষেধে সকল শিল্প কারখানা বন্ধ রাখার নির্দেশনা থাকলেও মালিকরা তা মানছে না। তারা সরকারি সিদ্ধান্তকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে কারখানা খোলা রেখেছে।
তিনি আরো বলেন, শ্রমিকরা আমাকে জানিয়েছে তাদেরকে চাকুরিচ্যুতির ভয় দেখিয়ে ইউরোটেক্সে কাজে যোগদান করতে বাধ্য করেছে। সরকারি বিধিনিষেধের মধ্যে কারখানা খোলা রাখার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। রাষ্ট্রীয় নির্দেশনা ভঙ্গকারী মালিকের বিরুদ্ধে সরকারের পক্ষ থেকে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করে শাস্তি প্রদানসহ কারখানাটির উৎপাদন বন্ধ করার অনুরোধ জানান তিনি।
জিরো থেকে হিরো বনে যাওয়া এই ইউরোটেক্সের মালিক কর্তৃপক্ষ দীর্ঘদিন যাবৎ ধরাকে সরাজ্হান মনে করেযা খুশি তাই করে যাচ্ছে । নিজেদরেকে শাসক দলের লোকজন পরিচয় দিয়েও ব্যাংক থেকে বিশাল লোন নিয়ে নারাযণগঞ্জ ছাড়াও ফরিদপুর ও নরসিংদীতে রয়েছে বিশাল সাম্রাজ্য । এমন মন্তব্য ইউরোটেক্সে কর্মরত কয়েকজন কর্মচারীর ।
এ বিষয়ে ইউরোটেক্স নিটওয়্যার লিমিটেডের ম্যানেজার মো. বাশার বলেন, কারখানার কয়েকটি বিভাগ চালু ছিল। সোমবার সন্ধ্যা থেকে কারখানাটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
Discussion about this post