নারায়ণগঞ্জ ৩শ শয্যা হাসপাতালের ড্রাইভার আবু সিদ্দিকের মালিকানাধীন প্রাইভেট এম্বুল্যান্সযোগে লাশের কফিনের আদলে ফেনসিডিল নিয়ে চাঞ্চল্যকর মাদক পাচারকারীর খবর সকলের জানা থাকলেও এবার ১০ হাজার পিছ ইয়াবাসহ আটক হয়েছে আরেকটি এম্বুল্যান্স । যা নিয়ে তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়েছে নারায়ণগঞ্জের সর্বত্র।
বন্দর নগরী চট্টগ্রামের কোতোয়ালী থানাধীন নিউমার্কেট মোড় সংলগ্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ১০,০০০ পিস ইয়াবা ও ০১টি অ্যাম্বুলেন্স সহ ০২ জনকে গ্রেফতার করেছে চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা (দক্ষিণ) বিভাগ।
গ্রেফতারকৃতঃ ১। আঃ কাদির খান (৪৮), পিতা-মৃত আমজাদ খান, মাতা-রহিমা খাতুন, সাং-পশ্চিম তল্লা, ডেবার বাড়ী, থানা-ফতুল্লা, জেলা-নারায়ণগঞ্জ, ২। মোঃ রিফাত হোসেন (১৯), পিতা-মোঃ হাবুল, মাতা-বিনা বেগম, সাং-খানপুর প্রধান সড়ক, লাল মিয়া সর্দার বাড়ী, থানা-ফতুল্লা, জেলা-নারায়ণগঞ্জ।
চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা (উত্তর) বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ আলী হোসেনের দিক নির্দেশনায় অতিঃ উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি-দক্ষিণ) শাহ মোঃ আব্দুর রউফের তত্ত্বাবধানে সহকারী পুলিশ কমিশনার (ডিবি-দক্ষিণ) কামরুল ইসলাম এর নেতৃত্বে ২নং বিশেষ টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ২৩/১২/২০২০খ্রিঃ ১৯.২০ ঘটিকায় চট্টগ্রামের কোতোয়ালী থানাধীন নিউমার্কেট মোড় সংলগ্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ১০,০০০ পিস ইয়াবা ও ০১টি অ্যাম্বুলেন্স সহ আঃ কাদির খান (৪৮) ও মোঃ রিফাত হোসেন (১৯)কে গ্রেফতার করেন ।
চট্রগ্রাম গোয়েন্দা পুলিশের কয়েকজন কর্মকর্তা নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট কে বলেন, প্রাথমিকভাবে আসামীদের ১০ হাজার ইয়াবাসহ এম্বুলেন্স আটক করার পর জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গেছে তারা নারায়ণগঞ্জ শহরের শাহিন ক্লিনিকের মালিক শাহিন ও ম্যানেজার মাসুদের মালিকানাধীন দুইটি এম্বুল্যান্স দিয়ে প্রায়ই এমন মাদকের কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিলো । তাদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই সকল হোতাদের গ্রেফতার করা সম্ভব ।
গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদ্বয়ের বিরুদ্ধে কোতোয়ালী থানায় নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে।
এ বিষয়ে খোজ নিয়ে আরো জানা যায়, ৩ শয্যা হাসপাতালের ড্রাইভারদের একটি চক্র দেশের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে একদিকে এম্বুল্যান্স ব্যবহার করে বিশাল ফেনসিডিলের চালান নিয়ে আসছে। অপরদিকে এই চক্রের হোতারা চট্টগ্রাম ও টেকনাফ থেকে দীর্ঘদিন যাবৎ নারায়ণগঞ্জ শহরের খানপুর এলাকায় শাহিন ক্লিনিকের নাম ব্যবহার করে এই ক্লিনিকের ম্যানেজার মাসুদের মালিকানাধীন দুইটি এম্বুল্যান্স দিয়ে নিয়মিত মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছিলো ।
অসংখ্যবার এমন ঘটনার পর এবার এই চক্রটি এবার চট্টগ্রামে গ্রেফতার হওয়ার অনেক ক্লিনিক মালিক নাম প্রকাশ না করার অনুরোধে বলেন, জেলা ক্লিনিক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাহিন ক্লিনিকের এম্বুল্যান্স যখন এমন মাদকের কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত তাই দ্রুত এই ক্লিনিক ও সন্দেহভাজনদের তালিকা করে তাদের কঠোর নজরদারি জরুরী ।
Discussion about this post