এনএনইউ রিপোর্ট :
দীর্ঘদিন পর এবার নারায়ণগঞ্জের শ্রমিক রাজনীতিতে এক কারিশমা দেখালেন একাদশ জাতীয় নির্বাচনের নৌকার প্রার্থী সংসদ সদস্য শামীম ওসমান। আজ সকাল থেকে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের নির্বাচনী এলাকার কাশিপুর ও এনায়েতনগর ইউনিয়নে উঠান বৈঠকে উপস্থিত হতে রওয়ানা দেন শামীম ওসমান। এরই মধ্যে খবর আসে ফতুল্লার বিসিক এলাকায় শ্রমিকরা আন্দোলন করছে, সড়ক অবরোধ করেছে, ভাংচুর চালাচ্ছে গাড়ি ও বিভিন্ন গার্মেন্টেসে।
এমন খবরে প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে হাজির হয়ে বিশাল পুলিশী ব্যারিকেট ভেঙ্গে হাজারো শ্রমিকদের শান্ত করলেন নিজের হাতে হাত মাইক নিয়ে। শামীম ওসমানের আশ্বাসে এবং গার্মেন্টস মালিক পক্ষের প্রতি কঠোর হুসিয়ারী দিলে শ্রমিকরা তাদের আন্দোলন সমাপ্তি ঘোষনা করে। শান্ত হয় পরিস্থিতি।
বৃহস্পতিবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে সকাল থেকে চলমান গার্মেন্টস শ্রমিকদের আন্দোলনে উপস্থিত আন্দোলনকৃত শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে শামীম ওসমান বলেন, আমি এই এলাকার এমপি। সকল গার্মেন্টস যে নিয়মে শ্রমিকদের বেতন ভাতা দেয় ঠিক তেমনি এনআর গার্মেন্টসের মালিকও শ্রমিকদের বেতন ভাতা পরিশোধ করতে হবে । আগামী মাস থেকে যদি এন আর গার্মেন্টেসের মালিক আপনাদের ন্যায্য দাবী না মানে তাহলে এই ফ্যাক্টরীও থাকবে না। আর এখানে বিকেএমইএ এর নেতা হাতেম বিষয়টি নিয়ে শ্রমিক ও মালিক পক্ষকে নিয়ে মীমাংশা করবেন । একই সাথে যারা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে তাদের ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশ দেন শামীম ওসমান ।
এ সময় শামীম ওসমান শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে আরো বলেন, এই গার্মেন্টসে তো আপনারাই কাজ করবেন। তা হলে এই ফ্যাক্টরীর ক্ষতি করে কার লাভ হবে ? কিছু নেতা আছে যারা পিছন থেইক্কা শ্রমিকদের আন্দোলন করতে সামনে আগাইয়া দিয়া মাইর খাওয়ায় আবার এই ফায়দাবাজ নেতারাই মালিক পক্ষের কাছ থেকে নেতাগিরি ফলাইয়া গোপনে টাকা কামায় । তাদের কাছ থেকে আপনারা সাবধান থাকবেন। আমি এই এলাকার এমপি কোন সমস্যা হলে আমাকে বলবেন। মালিক পক্ষ কেমনে আপনাদের ন্যায্য দাবী পূরণ না করে আমি দেখবো।
এ ঘটনায় প্রত্যাক্ষদর্শী হারুন অর রশিদসহ অনেকেই শামীম ওসমানকে সাধুবাদ জানিয়ে নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট কে বলেন, শামীম ওসমান আজ দুপুরে শ্রমিকদের সাথে কথা না বললে আন্দোলন থামানো কঠিন ছিলো। থানা ও ইন্ডাস্টিয়াল পুলিশ শ্রমিকদের হামলায় আহত হলেও শামীম ওসমানের আশ্বাসে উভয় পক্ষই শান্তিপূর্ণ অবস্থানে ফিরে যাওয়ায় স্বস্তির নিঃস্বাস ফেলেছে শিল্পাঞ্চলবাসী। উত্যাপ্ত এমন আন্দোলন মূহুর্তের মধ্যে শান্ত হওয়ায় অনেকেই মামীম ওসমানের রাজনৈতিক কারিশমা বলেও মন্তব্য করেছেন।
Discussion about this post