এনএনইউ রিপোর্ট :
রাজধানীর ভিকারুন নিসা নূন স্কুলের দশম শ্রেণীর ছাত্রী অরিত্রি অধিকারী শিক্ষক কর্তৃক অপমান সইতে না পেরে আত্মহত্যা ঘটনা সারাদেশের শিক্ষাঙ্গণে তোলপাড়ের সৃস্টি হলেও নারায়ণগঞ্জের শিক্ষকদের মাঝে এ নিয়ে নেই কোন মাথা ব্যাথা । এমনটি প্রমাণ করলো বন্দরের সামসুজ্জোহা স্কুলের সহকারি প্রধান শিক্ষক সাইফুল আলম ।
সামসুজ্জোহা স্কুলের সহকারি প্রধান শিক্ষক সাইফুল আলমও এবার বির্তকের জন্ম দিয়েছ। এবার তার অশ্রাব্য ভাষা প্রয়োগের কারণে স্কুলের ৪র্থ শ্রেনীর কর্মচারী আয়া সাবিনা গত বুধবার রাতে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
পরিবারের লোকজনের কারণে আয়া সাবিনা প্রাণে রক্ষা পান। এ নিয়ে স্কুলের শিক্ষকদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
জানা গেছে, বন্দরের সামসুজ্জোহা এমবি ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের নতুন বছরের ভর্তির নোটিশ ক্লাসে ক্লাসে পৌছে দেয়ার জন্য স্কুলের প্রধান শিক্ষক এরশাদুল্লাহ আয়া সাবিনাকে দিয়ে ক্লাসে ক্লাসে পাঠান।
আয়া সাবিনা প্রতিটি ক্লাসে গিয়ে ক্লাস শিক্ষকের কাছে নোটিশ দেন এবং প্রধান শিক্ষকের নির্দেশ মোতাবেক স্বাক্ষর নিয়ে আসেন।
আয়া সাবিনা ১০ শ্রেনীর ক্লাসে সহকারি প্রধান শিক্ষক সাইফুল আলমের ক্লাসে গিয়ে নোটিশ নিয়ে গেলে সে স্বাক্ষর দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। প্রধান শিক্ষক পুনরায় আয়াকে স্বাক্ষরের জন্য পাঠালে সহকারি প্রধান শিক্ষক সাইফুল শিক্ষার্থীদের সামনেই তাকে অশ্রাব্য ভাষায় গালাগাল ও নোটিশ তার চেহারায় ফিকে মারে।
এ সময় আয়া সাবিনা কান্নায় ভেঙ্কে পড়ে। বিষয়টি স্কুলের শিক্ষকদের মধ্যে জানাজানি হলে সকলের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় রাতে আয়া সাবিনা নিজ বাড়িতে গিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে।
বিষয়টি নিয়ে বন্দরের অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, ”শিক্ষকদের শিক্ষা আর কবে হবে ?”
Discussion about this post