নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার দাউদপুর ইউনিয়নের খৈসাইর এলাকায় বৃহস্পতিবার ৩ ডিসেম্বর দিনব্যপী অবৈধ ইটভাটা বন্ধে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালিত হয়েছে। এসময় ১১টি ইটভাটাকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া ৬টি ইটভাটা এসকাভেটর (ভেকু) দিয়ে ভেঙ্গে দিয়ে ইটভাটার আগুন ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় পানি দিয়ে নিভিয়ে দেয়া হয়।
বৃহস্পতিবার রাতে পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রেরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ৩ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত পরিবেশ অধিদপ্তর সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ সাদিকুর রহমান সবুজ এর নেতৃত্বে পরিবেশ অধিদপ্তর, নারায়ণগঞ্জ, র্যাব-১১, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সমন্বয়ে গঠিত একটি টীম কর্তৃক নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলার দাউদপুর ইউনিয়নের খৈসাইর এলাকায় অবস্থিত ১১টি ইটভাটায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে। ইটভাটাগুলি হলো যথাক্রমে (১) মেসার্স এইচ ইউ বি ব্রিকস, (২) মেসার্স জি এস বি ব্রিকস, (৩) মেসার্স শীতলক্ষা ব্রিকস-১, (৪) মেসার্স শীতলক্ষা ব্রিকস-২ (৫) মেসার্স বিসমিল্লাহ ব্রিকস-১ (৬) মেসার্স বিসমিল্লাহ ব্রিকস-২, (৭) মেসার্স আল্লাহর দান ব্রিক ফিল্ড, (৮) মেসার্স খৈসাইর ব্রিকস, (৯) মেসার্স এম বি এ ব্রিকস; (১০) মেসার্স এ এ বি ব্রিকস।
ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ (সংশোধিত-২০১৯) এর বিভিন্ন ধারা লংঘনের দায়ে ইটভাটাগুলি হতে তাৎক্ষণিকভাবে জরিমানা হিসেবে ৫০ লক্ষ টাকা ধার্যপূর্বক আদায় করা হয়। ইটভাটাগুলির মধ্যে ৬টি ইটভাটা এসকাভেটর দিয়ে ভেঙ্গে দেওয়া হয়। ইটভাটার আগুন ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় পানি দিয়ে নিভিয়ে দেয়া হয়। ইটভাটাগুলি পরিবেশগত ছাড়পত্র ও ইট পোড়ানো লাইসেন্স ব্যতীত পরিচালনা করা হচ্ছিল।
অভিযানকালে ইটভাটাগুলির সকল কর্মকান্ড বন্ধ রাখার নির্দেশ প্রদান করা হয়। উক্ত অভিযানে প্রসিকিউশন প্রদান করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মোঃ আব্দুল গফুর ও মোঃ হাবিবুর রহমান। পরিবেশ সুরক্ষায় পরিবেশ অধিদপ্তর, নারায়ণগঞ্জ কর্তৃক অবৈধ ইটভাটা বন্ধে এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে। ইটভাটাগুলিকে জরিমানা করা হয়। মোবাইল কোর্টে সার্বিক সমন্বয়ের দায়িত্ব পালন করেন পরিবেশ অধিদপ্তর, নারায়ণগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন।
এদিকে এমন ইটভাটার জরিমানা ও ভাংচুরের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে ইটভাটার এক মালিক রাতে নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট কে মুঠোফোন বলেন, ঢাকা নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের স্টেডিয়ামের বিপরীতে নুরু সিআইডির বিল্ডিংয়ের পরিবেশ অধিদপ্তরের অফিসে কি ঘটে একবার খোজ নিয়ে দেখেন । নারায়ণগঞ্জ জেলায় সাড়ে ৩ শো ইটভাটা আছে । একটা ইটভাটাও সকল আইন মেনে ব্যবসা করে না । আইন না মানায় পরিবেশ অধিদপ্তরকে মোটা অংকের টাকা দিয়েই অবৈধভাবে ইটভাটা চলছে । পরিবেশ অধিদপ্তরে ঘুষের টাকা দিলে সব ঠিক আর ঘুষের হিসাব না হইলেই যতই সঠিক কাজ করেন না কেন তা বেঠিক হয়ে যাবে। খোজ নেন পরিবেশ অধিদপ্তরের পিয়ন কত টাকার মালিক !
Discussion about this post