এনএনইউ রিপোর্ট :
এক বৃদ্ধের কাছ থেকে জোর করে গাড়ি-বাড়ি লিখে নেওয়ার অভিযোগে অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) গাজী মোজাম্মেল হকসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। গত ১৪ মার্চ ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের ১৫ নম্বর আদালতের বিচারক দেবব্রত বিশ্বাসের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন রাজধানীর ডেমরার সারুলিয়া এলাকার বাসিন্দা আব্দুল মতিনের স্ত্রী আফরোজা আক্তার আঁখি ।ওই বিচারক মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন। বর্তমানে মামলাটি ওই আদালতের হাকিম দেবব্রত বিশ্বাস তদন্ত করছেন।
মামলায় অপর আসামিরা হলেন- পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি গাজী মোজাম্মেল হকের স্ত্রী ফারজানা মোজাম্মেল, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা রমনা জোনাল টিমের দীপক কুমার দাস, নারায়নগঞ্জের রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান মনির, রাজধানীর ডেমরার সাব-রেজিস্ট্রার আফছানা বেগম, সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের অফিস সহকারী হানিফ আলী শেখ, ইউনাইটেড কর্মাশিয়াল ব্যাংকের ঢাকার নয়াবাজার শাখার এক্সিকিউটিভ অফিসার সাজ্জাদুর রহমান মজুমদার, দলিল লেখক মো. জাকির হোসেন, জসিমদ্দিন, ইমরান হোসন, আনন্দ হাউজিং এর পরিচালক চৌধুরী মো. জাবের সাদেক, নজরুল ইসলাম, এবিএম সিদ্দিকুর রহমান, খোরশেদ আলম, আব্দুর রহিম, তারিকুল মাষ্টার, সিদ্ধার্থ, গনেশ, পলাশ ও সৈকত।
আদালতে পেশকার তানভীর মামুন সাংবাদিকদের বলেন, ‘এ মামলায় বেশিরভাগ সাক্ষী পুলিশ হওয়ায় মামলার গুরুত্ব সহকারে মামলার তদন্ত চলছে। এ পর্যন্ত বিচারক চার জনের সাক্ষ্য গ্রহন করেছেন। বাকি সাক্ষ্য গ্রহন শেষে বিচারক এ মামলার প্রতিবেদন দাখিল করবেন। ’
আরজিতে বলা হয়, সাজানো ঘটনার ওপর রাজধানীর শাহবাগ থানার ৪৩(৭)১৮ নম্বর মামলাটি দায়ের করা হয়। পরে বাদির স্বামী আব্দুল মতিন, শ্বশুর মো. জাহের আলী ও ননদের জামাই আবু তাহেরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ওই মামলায় তাদের ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম অদালতে হাজির করে ১০ দিন করে রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করে পুলিশ। আদালত ২০১৮ সালের ২৫ জুলাই বাদির শ্বশুরকে পাঁচদিন ও স্বামী , ননদের জামাইকে তিন দিন করে রিমান্ডে নেয়ার অনুমাতি দেন। ওই দিনই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দীপক কুমার দাস তাদের আদালত থেকে রিমান্ডে নিয়ে যায়। একদিন পর ২৬ জুলাই মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে আসমিরা পরস্পর যোগসাজসে সম্পত্তি আত্মসাৎ করার লক্ষে বাদির শ্বশুরকে রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় নিয়া দুটি দলিল রেজিষ্ট্রি করে নেয়। এছাড়া ব্যাংকে বন্ধক রাখা পাওয়ার বাতিল করার জন্য নতুন পাওয়ার দলিল তৈরী করেন। এর আগে ২০১৮ সালের ১৫ জুলাই বাদির স্বামীকে ডিবি পরিচয়ে কুড়িল বিশ্বরোড এলাকা থেকে জোর করে তুলে নিয়ে চারটি দলিল রেজিষ্ট্রি করে নেয়। ২০১৮ সালের ১১ জুলাই বাদির শ্বশুর ও স্বামীকে চোঁখ বেধে নির্জন স্থানে আটক করে রাখে পাঁচটি দলিল সম্পাদন করে নেয় আসমিরা। এছাড়া ২০১৮ সালের ৩১ আগস্ট তাদের বসত বাড়ি নারায়নগঞ্জের রূপগঞ্জের বক্তবড়ী এলাকার থেকে বেড় করে দিয়ে তাদের গ্যারেজ থেকে তিনটি গাড়ি নিয়ে যায়।
(সূত্র : এনটিভি অনলাইন)
Discussion about this post