নারায়ণগঞ্জে নানা কারণে – অকারণে সেই দেলু এখনো চালাচ্ছে নানা অপকর্ম ! পুরো নারায়ণগঞ্জে বহু অপরাধের আখড়া গুলোতে নিজেকে পুলিশ সুপারের ঘনিষ্টজন হিসেবে পরিচয় দিয়ে নানা ভাবে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে জোড়ালোভাবে । দেলু ও তার সহযোগিদের এমন অপরাধের বিষয়ে সুষ্ঠ তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী করেছে ভূক্তভোগি অনেকেই
নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট :
মহামান্য রাষ্ট্রপতি, নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার ছাড়াও দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের নাম ব্যবহার করে আবারো কুখ্যাত প্রতারক মুন্সিগঞ্জের টংঙ্গিবাড়ী এলাকার দেলু হাওলাদার এবার র্যাবকে টাকা দিতে হবে বলে প্রতারণা করছে বলে ব্যাপক অভিযোগ পাওয়া গেছে ।
এ বিষয়ে প্রতারক দেলু হালদার নিজেও স্বীকার করেন তিনি রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এবং নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার তার পূর্ব পরিচিত । তবে তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ অস্বীকার করে দেলু হাওলাদার।
উত্থাপিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, রবিবার ১৯ মে রাত ১১টায় জেলার ফতুল্লা থানার মাসদাইর ভূইয়ার বাগ এলাকায় র্যাবের একটি চৌকশ দল বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে গ্রেফতার করে কয়েকজন যুবককে। এ সময় ল্যাপটপ ও বিপুল পরিমান উগ্রবাদী বই উদ্ধার করা হয় আটককৃত যুবকদের কাছ থেকে।
এদের মধ্যে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার-আল-ইসলাম (আনসারুল্লাহ বাংলা টিম) এর দুই সক্রিয় সদস্য আবু সাঈদ (২৪) ও এস এম মাহাদী হাসান ওরফে গোলাম রাব্বীকে (২৬) গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১। এ অভিযানে আরো কয়েক জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রাতেই সন্দেহভাজন ৪/৫ জনের কোন অপরাধ না পেয়ে অভিভাবকদের ডেকে নিয়ে তাদের জিম্মায় ছেড়ে দেয় র্যাব ।
আটককৃতদের ছাড়া পাওয়ার এমন খবর পেয়ে বিদেশ ফেরৎ কুখ্যাত প্রতারক দেলু হাওলাদার ও তার সহযোগি মিরাজ র্যাবের কাছ থেকে ছাড়া পাওয়া সন্দেহভাজনদের বাড়ীতে গিয়ে গত দুই দিন যাবৎ নানাভাবে র্যাবকে টাকা দিতে হবে বলে নানাভাবে চাপ প্রয়োগ করতে থাকে । র্যাবের কাছ থেকে ছাড়া পাওয়া শরীফের বাড়ীতে নানা কৌশলে টাকা দাবীর বিষয়টি সর্বত্র ছড়িয়ে পরলে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয় নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার দেওভোগ জুড়ে।
নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ করে কয়েকজন অভিভাবক বলেন, আমরা তো আর জানি না দেলুর সাথে মহামান্য রাষ্ট্রপতি বা এসপির আসলেই সম্পর্ক আছে কি নাই । দেলু ও সিরাজ রাববার আমাদের বাড়িতে এসে টাকা দাবী করতেছে । ছেলেদের ছাড়াতে র্যাবকে টাকা দিতে হয়েছে । আরো দিতে হবে । নানা টালবাহানায় টাকা দাবী করতেছে দেলু ও মিরাজ ।
সূত্র থেকে আরো জানা যায়, আমাদের নাম প্রকাশ করলে যদি আবার ক্ষতি করে তাই নাম প্রকাশ যেন না হয় এমন অনুরোধ করে কেউ কেউ আরো বলেন, মধ্য রাত পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ ও ফতুল্লা থানায় বসে ওসির সাথে আড্ডা মারতে অনেকেই দেখেছে দেলুকে । তাই অনেকের ধারণা দেলুর সাথে হয়তো উপরের অনেকের হাত আছে । মুন্সিগঞ্জের টংগিবাড়ীর সকলেই তাকে (দেলুকে) খুব ধুরন্ধর মানুষ হিসেবেই চিনে ।
এ ছাড়াও গ্রেফতারকৃত আনসার-আল-ইসলাম (আনসারুল্লাহ বাংলা টিম) এর দুই সক্রিয় সদস্য আবু সাঈদ (২৪) ও এস এম মাহাদী হাসান ওরফে গোলাম রাব্বির পরিবারকে নানাভাবে মামলা থেকে রক্ষা, রিমান্ড যাতে মারধর না করে এবং কারাগারে যাতে ভারোভাবে থাকে এমন আশ্বাস দিয়ে টাকা দাবী করছে প্রতারক দেলু, সিরাজ ও বাবুল চক্র নানাভাবে প্রতারণা চালিয়ে যাচ্ছে ।
র্যাবের নাম করে টাকা দাবী এবং রাষ্ট্রপতি ও নারায়ণগঞ্জের এসপি হারুন অর রশিদের ঘনিষ্ট আত্মীয় পরিচয় দিয়ে এমন টাকা দাবীর বিষয়ে জানতে চাইলে প্রতারক দেলু হাওলাদার ২১ মে মঙ্গলবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট কে বলেন, নিজেকে রাষ্ট্রপতি ও এসপি হারুনের পূর্ব পরিচিত বলে দাবী করেন । একই সাথে র্যাবের নাম করে টাকা দাবী এবং ছেড়ে দেয়া সন্দেভাজনদের বাড়ীতে টাকার জন্য চাপাচাপির বিষয়ে অস্বীকার করে দেলু হাওলাদার ।
দেলু হাওলাদারের কাছ থেকে মুঠোফোনে বক্তব্য নেয়ার কিছুক্ষন পর ০১৮৬৯৪৭৬৩৫৮ নম্বর থেকে বাবুল নামের অপর এক (দেলু হাওলাদরের সহযোগি) প্রতারক নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট এর সাথে নানাভাবে নিজের পরিচয় গোপন করে প্রতারণার আশ্রয় নেয়ার চেষ্টা করে । নিজেকে দেওভোগ কোটা কাপড় মার্কেটের সেক্রেটারী পরিচয় দিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যও করে ।
নারায়ণগঞ্জ শহরের দেওভোগ এলাকার অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, মুন্সীগঞ্জ জেলার টংঙ্গিবাড়ী থানা এলাকার অনেকেই পেটের টানে নারায়ণগঞ্জে কাজ করতে এসে নানা ধরণের অপরাধ/প্রতারণার আশ্রয় নেয় । এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য দেলু হাওলাদার, সহযোগি দেওভোগ কাটা কাপড় মার্কেটের সেক্রেটারী পরিচয়দানকারী বাবুল ও মিরাজসহ অনেকেই । সারাদিন ব্যাপী নানা প্রতারণার সাথে জড়িত থাকে এই চক্রটি । এরা এতই ধূর্ত তাদের ধরাও খুবই কঠিন । একই সাথে থানার কোন কোন অসাধু কর্মকর্তাদের সাথে এমন প্রতারণার জন্য আগে থেকেই সখ্যতা রেখে নানা অপরাধ চালিয়ে যাচ্ছে । অভিযোগ রয়েছে এই চক্রটি নিজ এলাকা টাংগিবাড়ী এলাকাসহ সৌদি আবরে পেটের দায়ে কাজ করতে গিয়ে প্রতারণা করে পালিয়ে এসে বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ ও ফতুল্লা থানার কতিপয় কর্মকর্তার শেল্টারে প্রতারণা চালিয়ে যাচ্ছে ।
এমন বিস্তর অভিযোগের তথ্য আবারো উঠেছে দেওভোগসহ শহরব্যাপী । নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট এর হাতে এসেছে এমন একটি রেকর্ড
Discussion about this post