নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট :
সরকারের বিরুদ্ধে যারা কথা বলে তাদের দমনের জন্য সরকার তাদেরকে জামায়াত-শিবির আখ্যা দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করার যৌক্তিকতা দেখায়। ভারতের সাথে প্রধানমন্ত্রী যে চুক্তি করেছেন আবরার ফাহাদ দেশের স্বার্থ রক্ষার্থে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেই কথাগুলো বলতে চেয়েছিলো ।
সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের আহ্বায়ক রাফিউর রাব্বি সোমবার (১৪ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টায় চাষাঢ়ায় বুয়েট ছাত্র আবরার হত্যার প্রতিবাদে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) জেলা ও মহানগরের আয়োজনে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন কর্মসূচিতে তিনি এই কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের কথা বলে একদিকে যেমন তারা মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতাকে উস্কে দিচ্ছে। পাশাপাশি আবার বিরুদ্ধ মতামতকে দমনের জন্য আল-বদর, রাজাকারের খেতাব দিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন মা হিসেবে আবরার হত্যার বিচার করবেন। যদি তাদের বিচার হয় তখন যদি রাষ্ট্রপতি পিতা হিসেবে যদি এই খুনিদের ক্ষমা করে দেন তাহলে এটির আর কি মূল্য রইলো ? তিনি পিতা হিসেবে যে কখনই এই হত্যাকরীদের ক্ষমা করবেন না তা নিশ্চিত করতে হবে।
সুজনের জেলা শাখার সভাপতি আব্দুর রহমানের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন জেলা গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়কারী তরিকুল সুজন, নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক শাহীন মাহমুদ, ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির বিকল্প সদস্য জাকির হোসাইন, জেলা ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সভাপতি আব্দুল হাই শরীফ।
রাফিউর রাব্বি বলেন, আবরারের মৃত্যুর পর তাকে শিবির হিসেবে উপস্থাপন করার জন্য তারা অনেক কিছু করেছে। আবরার নিজের কথা বলতে চেয়েছিল যা সরকারের বিরুদ্ধে গিয়েছিল যা সরকারের বিপক্ষে গিয়েছিল। সরকারের বিরুদ্ধে যারা কথা বলে তাদেরকে জামায়াত-শিবির, স্বাধীনতা বিরোধীর শক্তি ইত্যাদি বলে দমন করার চেষ্টা করা হয়। সরকার আজকে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য তাদের বিরোধী মতামত প্রদানকারীদেরকে দমনের চেষ্টা করে। ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবস্থা করছে। এটি কোন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের কার্যকলাপ হতে পারে না।
সুজনের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ধীমান সাহা জুয়েলের সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি হাফিজুল ইসলাম, জেলা বাসদের সমন্বয়কারী নিখিল দাস, নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি ভবানী শঙ্কর রায়, সুজনের মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক আহমেদুর রহমান তনু, প্রচার সম্পাদক রাইসুল ইসলাম রুজদি, সহ-দপ্তর সম্পাদক ফরহাদ, অর্থ সম্পাদক সুব্রত সাহা সমাবেশ শেষে মোমবাতি জ্বালিয়ে গাণ গেয়ে শহর পদক্ষিন করে ।
Discussion about this post