কুক্ষাত মাদক ব্যবসায়ী বাবু এবং শামীমের স্ত্রী শেফালীকে পুলিশের একাধিক টিম দীর্ঘক্ষণ অভিযানের পর গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় । এই কুক্ষাত প্রভাবশালী মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার করায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে আমলাপাড়াবাসী। এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা এবং বহুতল ভবনের মালিক হওয়ার কারণে তাদের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস করে না।
তবে কুক্ষাত মাদক ব্যবসায়ীরা গ্রেফতারের পর পুরো এলাকাবাসীর দাবী ছিলো বাবু, শামীম ও শেফালী চক্রের অপরাধ সাম্রাজ্য ধ্বংস করতে পুলিশের প্রতি এলাকাবাসীর জোড়ালো দাবী থাকলেও আদালত থেকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি না পাওয়ায় মুল উৎপাটন করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে সদর থানা পুলিশ।
মাদকসহ গ্রেফতারকৃত বাবু ও শেফালীর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নারায়ণগঞ্জ সদর থানার উপ পরিদর্শক সাইদুল ইসলাম নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট কে বলেন, আমলাপাড়ার অনেক শান্তিপ্রিয় নাগরিকদের অনুরোধে কুক্ষাত মাদক ব্যবসায়ীদের শেল্টারদাতা এবং তাদের কাছে কারা এই মাদক সরবরাহ করে এমন সকল তথ্য জানতে সাত (৭) দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হলে বিজ্ঞ বিচারক শুনানি শেষে রিমান্ড না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। ফলে এই কুক্ষাত মাদক ব্যবসায়ীদের নেপথ্যে আর কারা আছে তা জানা কঠিক হয়ে পরেছে ।
জানা যায়, শহরের আমলাপাড়া এলাকায় সোমবার রাতে অভিযান পরিচালনা করে দুই মাদক বিক্রেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এরা হলেন, ইয়াকুব মিয়ার সন্তান বাবু (২৭) ও শামীমের স্ত্রী শেফালি (৩৫)। গ্রেফতারকৃতরা এলাকার বিশাল প্রভাবশালী।
সোমবার সন্ধ্যায় আমলাপাড়া এলাকা থেকে বাবুকে এবং শেফালিকে তার নিজ বাসভবন থেকে গ্রেপ্তার করে নারায়ণগঞ্জ সদর থানা পুলিশ।
পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে প্রথমে বাবুকে পাকড়াও করা হয় এবং তার কাছ থেকে ইয়াবা পাওয়া যায়। পরে বাবুর তথ্য অনুযায়ী শেফালির বাড়িতে গেলে সেখানেও ইয়াবার সন্ধ্যান মেলে।
জানা যায়, বাবু ও শেফালি উভয়ই মাদক মামলার আসামী। এর আগেও তারা জেলা গোয়েন্দা শাখা পুলিশের (ডিবি) কাছে একাধিকবার মাদক সহ আটক হয়েছিলো। শহরের আমলাপাড়ায় আইডিয়াল স্কুলের পাশের বহুতল ভবন রয়েছে গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ীদের।
আমলাপাড়ার অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বাবু, শামীম, শেফালীসহ আরো একটি চক্র দীর্ঘদিন যাবৎ শহরের সর্বত্র পাইকারী ও খুচরা মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছিলো। একই সাথে আইডিয়াল স্কুল সংলগ্ন শামীম – শেফালীদের মালিকানাধীন ১০ তলা ভবনের বিভিন্ন ফ্ল্যাটে ভিআইপিদের মাদক সেবনের ব্যবস্থাও ছিলো বিশেষ ব্যবস্থায়।
Discussion about this post