বিশাল আয়োজনের মধ্য দিয়ে মাত্র ১২ দিন পূর্বে উদ্ভোধন করা হয় “স্বপ্ন এক্সপ্রেস’ নামের সুপার শপ । এই মাত্র ১২ দিনের মধ্যে নিজেদের পন্যের মান ঠিক রাখতে পারে নােই প্রতিষ্ঠান টি । এরই মধ্যে ধরা পরলেন ভ্রাম্যমান আদালতের হাতে ।গুণতে হলো জরিমানা । এমন দৃশ্য দেখে হতবাক অনেক ক্রেতা সাধারণ । জরিমানা প্রদানের সময় অনেকেই ফিসফিস করে বলতে থাকেন এরই মধ্যে স্বপ্ন এক্সপ্রেস তাদের আস্থা হারাতে হলো শহরবাসীর ।
এনএনইউ রিপোর্ট :
পঁচা মাছ বিক্রি ও প্লাস্টিকের প্যাকেটজাত পণ্য ব্যবহারের অপরাধে প্রতিষ্ঠানটিকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালত।
সোমবার (১৯ আগস্ট) বেলা ১২টায় জামতলায় অবস্থিত স্বপ্ন সুপার শপের নতুন শাখাটিতে সিনিয়র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোসাম্মৎ রহিমা আক্তারের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযান পরিচালনার সময় ‘স্বপ্ন এক্সপ্রেস’ সুপার শপে পঁচা বাগদা চিংড়ি, ছোট চিংড়ি ও পুটি মাছ পাওয়া যায়। এছাড়া প্লাস্টিক প্যাকেটজাত পণ্যও পাওয়া যায়। পঁচা মাছ বিক্রির অপরাধে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৪৫ ও ৫৩ ধারায় ১৫ হাজার টাকা এবং পাটজাত পণ্য ব্যবহার বাধ্যতামূলক আইন ২০১০, ৫৩ নং ও ৪ নং ধারায় ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোসাম্মৎ রহিমা আক্তার বলেন, ‘স্বপ্ন এক্সপ্রেস সুপার শপে প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গে আমরা পঁচা মাছের গন্ধ পাই। পরবর্তীতে পর্যবেক্ষণ করে দেখি মাছগুলো পঁচে লাল হয়ে গেছে। কিছু কিছু মাছ গলে যাচ্ছিল। তাই সেই মাছগুলো আমরা ডাস্টবিনে ফেলে দেই এবং ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করি।
তিনি আরো বলেন, স্বপ্ন তাদের নিজেদের পণ্যে পাটজাত প্যাকেট ব্যবহার করেছে কিন্তু অন্যান্য কোম্পানির পণ্য মজুদ করেছে যেগুলোতে প্লাস্টিক ব্যাগ ব্যবহার করা হয়েছে। তাই তাদের সতর্ক করে দিয়ে মাত্র ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।’
এ সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোসাম্মৎ রহিমা আক্তার স্বপ্ন এক্সপ্রেস সুপার শপের ম্যানেজার জানে আলমকে সতর্ক করেন এবং আগামীতে পঁচা মাছ বিক্রি থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা দেন।
অভিযানে আরো উপস্থিত ছিলেন, জেলা পাট অধিদপ্তরের চিফ ইন্সপেক্টর তারিকুল ইসলাম তালুকদার, খাদ্য ইন্সপেক্টর শাহ্জাহান হালদার, আদালত পরিচালনায় সহযোগী শিপলু ও পুলিশ সদস্যরা।
উল্লেখ্য, গত ৭ আগস্ট জেলা পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ স্বপ্ন সুপার শপের এ নতুন শাখাটি উদ্বোধন করেন। সুপার সপটি উদ্বোধনকালে আরো উপস্থিত ছিলেন সিটি করপোরেশনের ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ, আবু নাছের (ডিরেক্টর অপারেশন এসিআই লজিস্টিক লিমিটেড), মোঃ সোহেল তানভীর খান (বিজনেস ডিরেক্টর এসিআই লজিস্টিক লিমিটেড) সহ জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
Discussion about this post