স্টাফ রিপোর্টার :
ওয়াজ মাহফিলে বিতর্কিত মন্তব্য করার প্রতিবাদ করে শহরের টানবাজার এলাকয় উত্তেজনা বিরাজের কারণে শেষ পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ সদর থানা পুলিশ শহরের ডিআইটি মসজিদের ঈমাম মাওলানা আবদুল আউয়ালের ওয়াজ মাহফিল বন্ধ করে দিয়েছে সদর থানা পুলিশ।
শুক্রবার মধ্যরাতে (বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত) নারায়ণগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুল ইসলামের নির্দেশে ইন্সপেক্টর অপারেশন জয়নাল আবেদীন বিরাজমান মাওলানা আউয়ালপন্থিদের কাছ থেকে মুচলেকা আদায়ের মাধ্যমে ওয়াজ মাহফিল বন্ধ করে দেয়া হয় । ফলে আজ ১৫ ফেব্রুয়ারী শুক্রবার থেকে আর কোন ওয়াজ করতে পারবে না প্রশাসনের অনুমতি না নিয়ে ।
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার বরাবর দাখিল করা অভিযোগ থেকে জানা যায়, মুসলিম ধর্মীয় বিশ্বনেতা হয়রত মোহাম্মদ (সাঃ) কে নিয়ে গত কয়েকদিন যাবৎ শহরের কিছু কুচক্রী মহল ইসলাম ধর্মের নাম করে নিজেদের ব্যবসা হাসিলের পাশাপাশি ব্যক্তিস্বার্থ হাসিল ও লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে ধর্মপ্রাণ সাধারণ মানুষের কাছ থেকে। এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে নারায়ণগঞ্জ সদর থানা পুলিশ উভয় পক্ষকে নিয়ে থানায় বৈঠকের পর এমন সিদ্ধান্ত দেয়া হয় ।
অভিযোগকারী সাদ্দাম, আনোয়ারসহ অনেকের স্বাক্ষর করা অভিযোগের পর সদর থানা ওসি কামরুল ইসলাম উভয় পক্ষকে ডেকে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি জানতে চাইলে তারা বলেন, শহরের ডিআইটি মসজিদের ঈমাম মাওলানা আউয়াল গত কয়েকদিন যাবৎ ধর্মীয় উস্কানী দিয়ে এবং মাজার জেয়ারত কে পুজার সাথে তুলনা করলে উত্তেজনা মারাত্মক আকার ধারণ করে তুলে। মাওলানা আউয়াল বিভিন্ন ওয়াজ মাহফিলে উত্তেজনা বিরাজ সংক্রান্ত প্রকাশিত সংবাদের পত্রিকার ফটোকপিও অভিযোগের সাথে সংযুক্ত করে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সহযোগিতা কামনা করা হয় ।
এমন ঘটন সম্পর্কে ইন্সপেক্টর অপারেশন জয়নাল আবেদীন জানান, আমরা শান্তির লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে উভয় পক্ষকে ডেকে মাওলানা আউয়ালপন্থী হাজী মুরাদ হোসেন ও সাগরের কাছ থেকে অঙ্গিকার আদায় করেছি। উভয় পক্ষ মিলে আসতে পারলে প্রশাসনের অনুমতি সাপেক্ষে টানবাজার এলাকায় ওয়াজ মাহফিল হবে নইলে কোন উত্তেজনা সৃষ্টি হউক তা আমরা হতে দেবো না বলে জানিয়ে দিয়েছি।
Discussion about this post