ব্যবসায়ীদের অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, নারায়ণগঞ্জের রেলওয়ের সম্পত্তির উপর অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মান করে কয়েকজনের একটি চক্র নানাভাবে হাতিয়ে নিচ্ছে নগদ অর্থ । দেওভোগের একটি চিহ্নিত অসাধু চক্র ছাড়াও খাবার ঘরের মলিক দুলালের ভাই শফি ব্যবসায়ীদের জিম্মি করে নানাভাবে হাতিয়ে নিচ্ছে নগদ অর্থ । রেলওয়ের কুক্ষাত এই চাঁদাবাজ শফিসহ দেওবোগের এই চক্রটির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা । অনেক ব্যবসায়ী অভিযোগ : শফিকে দিয়ে কিছুদিন পর পর রেলওয়ের এই সম্পত্তি উচ্ছেদে করা হবে বলে মাইকিং করানোর পর ফের শফি নিজেই বিশাল চাঁদাবাজি চালিয়ে কোটি কোটি টাকার মালিক । শফির শিাস্তি দাবী করেন অনেকেই
নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট :
নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান রেলওয়ে উচ্ছেদে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়া থান কাপড় ব্যবসায়ীদের সাথে বৈঠক করেছেন।
এ সময় তিনি ব্যবসায়িদের উদ্দেশ্যে বলেন, উচ্ছেদের আগে আমার কাছে খবর আসছে এতগুলো টাকা তুলে এমপি সাহেবকে বলে দিলে এটা ওটা হয়ে যাবে । এই ব্যপারে আমি আপনাদের সাবধান করছি যে টাকার বিনিময় ও সরকারের সিদ্ধান্ত ছাড়া জায়গা হবে না । আপনারা যদি সত্যিই ট্রেড লাইসেন্স বহন করে থাকেন তাহলে আপনাদের পুনর্বাসন করার দায়িত্বটা হচ্ছে সিটি করপোরেশনের।
মঙ্গলবার সকালে চাষাঢ়ার রাইফেল ক্লাবে থান কাপড় ব্যবসায়ীদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই কথা বলেন।
সেলিম ওসমান বলেন, রেললাইনের পাশে ৪৫ ফুট (ভেঙে দেওয়া জায়গা) এর পরেও আরো ২৫ ফুট জায়গা আছে সেই জায়গার নকশা নিয়ে যদি সিটি করপোরেশন কাজ করে তাহলে আমি তাঁদেরকে সহযোগিতা করবো । থানকাপড় ব্যবসায়িরা যদি ট্রেড লাইসেন্সসহ আবেদন করেন যে, আমরা এতোজন ব্যবসায়ি নিস্ব হয়ে গেছি। মাননীয় রেলমন্ত্রী আমাদেরকে ১০ কিংবা ২৫ বছরের জন্য একটা বরাদ্ধ দিন । সেই সুপারিশ পত্রটা আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে দিতে পারব। এর বাইরে আমি কিছু করতে পারবোনা। আইনকে আইনের জায়গায় থাকতে দিন। আপনারা যে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন তা প্রমানিত করেন। আপনারা এখানে বৈধ ব্যবসা করেছেন। আপনাদের কাছে একটা কাগজ আছে । ট্রেড লাইসেন্স, টিন নম্বর, ট্রেক্স পেইড যদি হয় তাহলে আমি আপনাদের পুনর্বাসন করার জন্য যুদ্ধ করবো ।
সংসদ সদস্য আরো বলেন, আমার জানা আছে এখানে বেশকিছু দালাল আছে যারা আপনাদের আশা দেখাচ্ছে, এমপি সাহেব যদি বলে রেললাইন তৈরীর জন্য একপাশে ৪৫ ফিট অন্য পাশে ৪৫ ফিট জায়গা লাগবে এবং এগুলো চাইনিজ কোম্পানিকে দিলে তাঁরা রেললাইন বানাবে। আসলে রেললাইন বানানোর দায়িত্বটা কিন্তু বর্তমান সরকারের কাছে, সরকার কিন্তু আমার আপনার বাড়ির উপর দিয়ে রেললাইন তৈরী করছেনা। রেলওয়ের নিজস্ব জায়গাতে তৈরী করছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে চিন্তা করি রেললাইনের দুই পাশদিয়ে যেন দুইটি রাস্তা হয়, এটা হলে যানজটও কমবে। কিন্তু সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে আমরা যেহেতু জানিনা, তাই আমাদের হোঁচট খেতে হয়েছে। কোন সরকারি অফিসার যদি বলে এমপি সাহেব বললে হয়ে যাবে ওই বেডারে বাইন্দা রাইখা দিবেন। একই সাথে কোন লোক যদি বলে আমারে ৫ হাজার, ১০ হাজার টাকা দাও আমরা এই কাজটা করে এনে দিবো, তারে আরো ভালো ভাবে বান দিবেন। কারন এমন কোন মায়ের ছেলে জন্মায়নি যে, টাকার বিনীময়ে সরকারের কাছ থেকে জায়গা নিয়ে আসবে।
তিনি বলেন, সাধারণত নিয়ম অনুযায়ী যদি কোথাও কোন ব্যবসা বাণিজ্য হয় তাহলে সেখানে একটা ট্রেড লাইসেন্স লাগে। আর ট্রেড লাইসেন্স তখনই হবে যদি আপনার জায়গাটা বৈধ হয়। নাহলে যিনি ট্রেড লাইসেন্সটা দিয়েছেন তিনি অপরাধী। কারণ বৈধ জায়গা ছাড়া ট্রেড লাইসেন্স দেয়া যায়না এবং আপনি যদি সেখানে বিদ্যুতের সংযোগ নিয়ে থাকেন তাহলে সেটাও অবৈধ। আপনারা (থানকাপড় ব্যবসায়িরা) একটা কথা বলেছেন যে বাসাবাড়ি বন্ধক রেখে ব্যবসা করছেন! আপনাদের দোকান বৈধ ছিলোনা তাই আপনারা বাধ্য হয়েছেন বাসাবাড়ি বন্ধক রেখে ব্যবসা করতে। সাধারণত নিয়ম অনুযায়ী দোকান বন্ধক হয়েই লোন হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রিজের সভাপতি খালেদ হায়দার খান কাজল, বাংলাদেশ হোসিয়ারি এসোসিয়েশনের সভাপতি নাজমুল আলম সজল, নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের সভাপতি এম সোলায়মান, বিকেএমইএর পরিচালক মো.কবির হোসেন, হাজী মোহাম্মদ (রনি) খোকনসহ সকল থান কাপড় ব্যবসায়ীবৃন্দ ।
Discussion about this post