একে এক বিএনপির নেতাকর্মীরা জড়ো হওয়ার পাশাপাশি পুলিশের সাধারণ সদস্য ও কর্মকর্তাদের অনেকেই জড়ো হতে থাকে প্রেস ক্লাবের পাশের গলিতে । বিএনপির নেতাদের সাথে পুলিশ কর্তাদের চোখাচোখি এক পর্যায়ে মুচকি হাসির দৃশ্য সকলের নজর কেড়েছে ! এমন মুচকি হাসির দৃশ্য নিয়ে ছিলো নানা মুখরোচক আলোচনা সমালোচনা
নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট :
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি ও ভারতের সাথে করা চুক্তিকে ‘দেশবিরোধী’ আখ্যা দিয়ে বুয়েট ছাত্র আবরার হত্যার প্রতিবাদে জন সমাবেশের আয়োজন করে মহানগর বিএনপি।
সমাবেশের শুরুতেই পুলিশের বাধার মুখে পড়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা । পুলিশ এক মিনিটের মধ্যে সমাবেশ শেষ করার কথা বললে আধা মিনিটের মধ্যেই সমাবেশ শেষ করে চলে যায় বিএনপি । সামান্য কয়েকটি শ্লোগান দিয়ে সমাবেশ সমাপ্তি করে যার যার অবস্তানে চলে যায় নেতা কর্মীদের সকলেই ।
শনিবার (১২ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ৩টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের দক্ষিন পাশের গলিতে এ ঘটনা ঘটে।
পূর্বঘোষিত জনসমাবেশকে কেন্দ্র করে দুপুর পৌনে ৩টা থেকে প্রেস ক্লাবের গলিতে জড়ো হতে থাকে মহানগর বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা। পরে সাড়ে ৩টার দিকে মহানগর বিএনপির সভাপতি এড. আবুল কালাম ও অন্যান্য সিনিয়র নেতৃবৃন্দরা সমাবেশস্থলে আসলে সমাবেশ শুরু হয়।
মহানগর শ্রমিক দলের দুই নেতার সংক্ষিপ্ত বক্তব্য প্রদানের পর পুলিশ এসে বাধা দেয়। কেবল সভাপতির বক্তব্যের মাধ্যমে এক মিনিটের মধ্যে সমাবেশ শেষ করার নির্দেশ দেয় পুলিশ। এদিকে হঠাৎ করেই বন্দর থানা ছাত্রদলের একটি মিছিল স্লোগানসহ সমাবেশস্থলে ঢুকে পড়ে। মিছিলকে কেন্দ্র করে সমাবেশস্থলে উত্তেজনা তৈরি হয়, সমাবেশের নেতাকর্মীরাও স্লোগান ধরেন।
এক পর্যায়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ার আশঙ্কা করে সমাবেশ সমাপ্তি ঘোষণা করে অতি দ্রুত একটি রিকশাযোগে চাষাঢ়া নূর মসজিদের গলি দিয়ে চলে যান সভাপতি এড. আবুল কালাম।
সভাপতি এড. আবুল কালামের এমন আচরণে ক্ষুব্দ হয়েছেন মহানগর বিএনপির সহ সভাপতি জাকির হোসাইন, সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামালসহ সিনিয়র একাধিক নেতৃবৃন্দ। পুলিশ ও সভাপতির আচরণে ক্ষুব্দ হয়ে সমাবেশস্থলেই বসে থাকেন এটিএম কামাল।
গণমাধ্যমকর্মীদের এটিএম কামাল বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ শুরু করেছি। কিন্তু তাতেও বাধা। অনেকেই রাস্তার উপর মাইক লাগিয়ে সমাবেশ করে কিন্তু আমরা গলিতেও সমাবেশ করতে পারি না। হামলা-মামলার ভয় পেলে তো রাজনীতি করা যায় না। বিএনপি করি মামলা, লাঠিচার্জ তো খেতে হবেই। পদ ধরে বসে থাকবেন আর নেতাকর্মীদের ফেলে চলে যাবেন তা তো হতে পারে না।
এদিকে সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি এড. জাকির হোসেন, ফখরুল ইসলাম মজনু, আতাউর রহমান মুকুল, আয়শা সাত্তার, সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সবুর খান সেন্টু, এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, নাসিক ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শওকত হাসেম শকু, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আওলাদ হোসেন, মনিরুল ইসলাম সজল, কোষাধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান মনির, দপ্তর সম্পাদক ও নাসিক ২১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হান্নান সরকার, বিএনপি নেতা ও নাসিক ২২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুলতান আহমেদ ভূইয়া, সংরক্ষিত মহিলা আসনের কাউন্সিলর ও বিএনপি নেত্রী আয়শা আক্তার দিনা, মহানগর যুবদলের সিনিয়র সহ সভাপতি মনোয়ার হোসেন শোখন, নাজমুল হক রানা, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আবুল কাউছার আশা, সিনিয়র সহ সভাপতি ফারুক চৌধুরী, সহ সভাপতি মোস্তাক আহমেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, আব্দুল হাসিব, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি শাহেদ আহমেদ, সহ সভাপতি শাহিন শরীফ, শফিক আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মমিনুর রহমান বাবু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোক্তাদির হোসেন হৃদয়, মহানগর শ্রমিক দলের আহবায়ক এস এম আসলাম, সদস্য সচিব আলী আজগর, যুগ্ম আহবায়ক মনির মল্লিক প্রমুখ।
Discussion about this post