বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ১৭ মার্চে পূর্বাচলে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
১৩ ডিসেম্বর রোববার রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো ইপিবির বোর্ড সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বাণিজ্য সচিব মো. জাফর উদ্দিন জানিয়েছেন, সিদ্ধান্তের সারসংক্ষেপ প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে। অনুমোদন পেলেই মেলার আয়োজন করা হবে।
বাণিজ্য সচিব আরো জানান, ১৭ মার্চেই রাজধানীর পূর্বাচলের বাংলাদেশ চায়না ফেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার উদ্বোধন করা হবে। সেখানেই হবে এবারের বাণিজ্য মেলা।
তিনি জানান, মেলা এক মাসের বেশি সময়ব্যাপী হতে পারে। তবে তা নির্ভর করছে করোনা পরিস্থিতির ওপর। বাণিজ্য সচিব বলেন, করোনার ঝুঁকি কমাতে মেলায় প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানো হবে।
তিনি বলেন, করোনা থাকলে স্বল্প পরিসরে করার একটা চিন্তা-ভাবনা করবো। আর করোনা কমে গেলে বিস্তৃত আকারে হবে। করোনা এই পরিস্থিতিতে থাকলে স্বাস্থ্যবিধির পাশাপাশি কিছু ম্যাকানিজম মেনে ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করব আমরা।
তবে মেলা হবে, ভার্চুয়াল হলেও করবো। মুজিববর্ষ উপলক্ষে সেই দিনটিকে আমরা একটু স্মরণ করতে চাই। যোগ করেন তিনি।
গত ২৫ বছরে ধরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অস্থায়ী জায়গায় ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রতি বছর জানুয়ারির ১ তারিখ প্রধানমন্ত্রী এ মেলা উদ্বোধন করেন। এবার পূর্বাচলের বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে বসবে এই মেলা।
২০ একর (৮.১ হেক্টর) জমিতে এই প্রদর্শনী সেন্টার করেছে চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান চায়না স্টেট কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন (সিএসসিইসি)। এটি বাংলাদেশ ও চীনের একটি যৌথ প্রকল্প। ৭৯৬ কোটি টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্পের ৬২৫ কোটি টাকা অনুদান হিসেবে দিয়েছে চায়না এইড।
Discussion about this post