নানা কারণে নারায়ণগঞ্জ থাকে সব সময় আলোচনা সমালোচনায় । সবশেষ করোনা নিয়ে ব্যাপক তোলপাড় চলছে । বিশ্বজুড়ে করোনার এই ভয়ানক থাবায় দেশের আলোচনায়ও নারায়ণগঞ্জের নাম। এবই মধ্যে বঙ্গবন্ধুর খুনি মাজেদের ফাসি কার্যকরের পর এবার লাশ নিয়ে দাফন করা হচ্ছে শ্বশুর বাড়ি নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে । এমন খবরে ১২ এপ্রিল রোববার সকাল থেকেই অনেকেই মন্তব্য করে বলেছেন আবারো নারায়ণগঞ্জ জেলার নাম উঠে আসলো বঙ্গবন্ধুর খুনি মাজেদের লাশ দাফনের জন্য ! এর আগেে অপর এক খুনি কিসমত হাসেমের বাড়ি নারায়ণগঞ্জ শহরের ডনচেম্বার হলেও দন্ড মাথায় নিয়ে বিদেশে মৃত্যু হলে কিসমত হাসেমকে নিয়ে তেমন আলোচনা দেখা যায় নাই । তবে খুনি কিসমত হাসেমের পরিবারের সদস্যদের অনেকেই জেলা আওয়ামীলীগ প্রভাবশালী নেতাদের শেল্টারে থাকায় নানাভাবে সমালোচনা রয়েছে রাজনৈতিক অঙ্গনে
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অন্যতম খুনি ক্যাপ্টেন (বরখাস্তকৃত) আব্দুল মাজেদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পর তার লাশ দাফন নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে।
তার গ্রামের বাড়ি ভোলায় দাফনের কথা থাকলেও সেখানকার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও স্থানীয়দের প্রবল আপত্তির মুখে ঝুঁকি নিতে রাজি হয়নি ভোলার প্রশাসন।
শেষ পর্যন্ত শশুর বাড়ি নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে দাফন হয়েছে খুনি আব্দুল মাজেদের।
শম্ভুপুর ইউনিয়নের হোসেনপুর তার শশুরবাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের একাধিক সূত্র জানায়, মাজেদের লাশ তার শ্বশুরবাড়ি নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ এলাকায় দাফন করা হয়েছে । রোববার ভোরে মাজেদের লাশ তার শ্বশুর বাড়ি সোনারগাঁ উপজেলার শম্ভুপুরা ইউনিয়নের হোসেনপুর কবরস্থানে দাফন করা হয়।
প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তাদের নির্দেশনানুযায়ী খুনি মাজেদের লাশ দাফন করে স্বজনরা ঢাকায় চলে যায় ।
গণমাধ্যম কর্মীরা সোনারগাঁয়ে অনেক খোজ করেও কাউকে পায় নাই বলে জানা যায় ।
এর আগে, শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে আব্দুল মাজেদের কেরাণীগঞ্জে অবস্থিত কেন্দ্রীয় কারাগারে। এটিই এই কারাগারে প্রথম ফাঁসির ঘটনা।
শনিবার বিকেলে বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি বরখাস্ত ক্যাপ্টেন মাজেদের লাশ ভোলার মাটিতে না পাঠানোর দাবি জানান ভোলা-৩ (লালমোহন-তজুমদ্দিন) আসনের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন। একই দাবি করেন ভোলার আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের আরও কয়েকজন নেতা ও স্থানীয়রা। এদিকে, আব্দুল মাজেদের ফাঁসি কার্যকরের মধ্য দিয়ে প্রক্রিয়ার জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যা মামলায় মোট ৬ জনের ফাঁসি কার্যকর হলো।
২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি দিবাগত রাতে সৈয়দ ফারুক রহমান, বজলুল হুদা, এ কে এম মহিউদ্দিন আহমেদ, সুলতান শাহরিয়ার রশীদ খান ও মহিউদ্দিন আহমেদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। রায় কার্যকরের আগেই ২০০১ সালের জুনে জিম্বাবুয়েতে মারা যান আজিজ পাশা। পলাতক রয়েছেন খন্দকার আব্দুর রশিদ, নূর চৌধুরী, রাশেদ চৌধুরী, শরিফুল হক ডালিম ও মোসলেহ উদ্দিন। গত ৮ এপ্রিল মৃত্যর পরোয়ানা পড়ে শোনানোর পর সব দোষ স্বীকার করে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চান আব্দুল মাজেদ। প্রাণভিক্ষার আবেদনটি নাকচ হলে শুক্রবার রাতে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয় ।
Discussion about this post