নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট :
অনেক চড়াই উৎরাইয়ের পর ফতুল্লা থানার ভেতরে একজন বাদীকে মারধর করার অভিযোগে শেষ পর্যন্ত জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর সোহেলের বিরুদ্ধে মামলা গ্রহণ করেছে ফতুল্লা থানা পুলিশ ।
বাদী কুতুবপুরের চাঁদ শিকদার সেলিমের অভিযোগের প্রেক্ষিতে রোববার (১৭ নভেম্বর) বিকেলের দিকে ফতুল্লা থানায় এই মামলাটি গ্রহণ করে । এ বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা ছিলো পুরো জেলা জুড়ে
ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, এই ঘটনায় মামরাটি রুজু করা হয়েছে । এখন আসামী গ্রেফতারসহ আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে ।
ওসি আসলাম আরো জানান, বিভিন্ন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এবং বাদীর অভিযোগের আলোকে সিসি টিভির ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হওয়াতে মামলা রুজু করা হয়েছে। মামলায় মীর সোহেল আলী, শাহীনসহ বেশ কয়েকজনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে ।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম বলেন, অপরাধী যে হোক তাকে ছাড় দেওয়া হবে না। মামলা নেওয়া হয়েছে। গ্রেফতারও করা হবে।
শুক্রবার ১৫ নভেম্বর রাতে থানার ভেতরই চাঁদ শিকদার সেলিম নামে একজন ব্যক্তিকে মারধর করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর সোহেল আলী। চাঁদ শিকদার সেলিম ফতুল্লার কুখ্যাত সন্ত্রাসী মীর হোসেন মীরুর বিরুদ্ধে দায়ের করা একটি অভিযোগের বাদী। মীর সোহেল আলী কুখ্যাত সন্ত্রাসী মীরুর পক্ষ নিয়েই তাকে মারধর করেছেন বলে অভিযোগ করেন চাঁদ শিকদার সেলিম।
চাঁদ শিকদার সেলিম বলেন, থানায় অভিযোগ দায়েরের পর এসআই মিজান ঘটনাস্থলে আসেন এবং পরদিন (শুক্রবার) রাতে আমাকে থানায় আসতে বলেন । সে মোতাবেক আমি থানায় প্রবেশ করছিলাম এমন সময় থানা থেকে বের হয়ে আসছিলেন মীর সোহেল আলী, শাহীনসহ আরও বেশ কয়েকজন। তখন মীর সোহেল আলী ও তার লোকজন থানার ভেতরই আমার উপর হামলা চালায়। এক পর্যায়ে আমাকে মারতে মারতে থানা থেকে রাস্তার নিয়ে আসে। আবার এখান থেকে টেনে ওসি তদন্তের রুমে নিয়ে যায় আমাকে লকাবে ঢুকিয়ে দিবে বলে।
সেলিম আরও বলেন, ওসি তদন্তের রুমে নেওয়ার পর তিনি আমাকে উল্টো ধমকাচ্ছিলেন আর বলছিলেন ‘থানায় আপনার কাজ কি, কেন এসেছেন !’ এভাবে থানার ভেতরই যদি আমাদের উপর হামলা করে তাহলে বাইরে আমাদের নিরাপত্তা কতটুকু এবার বুঝে নেন।
এম ঘটনার সময় থানায় উপস্থিত ছিলেন না থানার অফিসার-ইন-চার্জ (ওসি) আসলাম হোসেন। তার অবর্তমানে তদন্ত থানা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দায়িত্বশীল ব্যক্তি হাসানুজ্জামান। কিন্তু তিনি থানায় উপস্থিত থাকার পরও মারধরের ওই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগি চাঁদ শিকদার সেলিম বাদী হয়ে মীর সোহেলের বিরুদ্ধে থানায় একটি লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছেন।
Discussion about this post