মাকে বাঁচাতে গিয়ে ক্ষিপ্ত বাবার ছুরিকাঘাতে প্রাণ দিয়েছে ছেলে । মঙ্গলবার গভীর রাতে ফতুল্লার পশ্চিম ভোলাইলের গেদুয়ার বাজার এলাকায় এই ঘটনা ঘটে । পারিবারিক কলহের জেরে নিহত ছেলের নাম সোহাগ (১৫)। সে একজন পোশাককর্মী।
ঘটনায় সোহাগের মা মনোয়ারা বেগম ও বাবা মো. হারেজ ও ছুিরকাঘাতে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
এলাকাবাসী ও ফতুল্লা মডেল থানার ওসি আসলাম হোসেন জানান, রিকশা চালক হারেজ মিয়া(৫৫), তার স্ত্রী হোসিয়ারী শ্রমিক মনোয়ারা বেগম(৪০), পুত্র গার্মেন্ট শ্রমিক সোহাগ (১৫) ও মেয়ে চতুর্থ শ্রেনীর ছাত্রী বিথি আক্তার (১৩) পশ্চিম ভোলাইলের গেদুয়ার বাজার এলাকায় শাহ আলমের টিন শেড বাড়িতে ভাড়া থাকেন। সংসারে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে প্রায় সময় পারিবারিক নানা বিষয় নিয়ে ঝগড়া হত।
মঙ্গলবার রাতেও তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। ঝগড়ার এক পর্যায়ে হারেজ তার স্ত্রীকে ছুরিকাঘাত করতে উদ্যত হলে ছেলে সোহাগ মাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসে । এসময় ক্ষিপ্ত হারেজ ছেলেকেই সজোরে ছুরিকাঘাত করে। এসময় সোহাগ মাটিতে লুটিয়ে পড়লে মা আর্ত চিৎকার করতে থাকে। একপর্যায়ে হারেজ তার স্ত্রীকেও ছুরিকাঘাত করে । এসময় আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে হারেজও নিজের পেটে ছুরি ঢুকিয়ে দেয় ।
ছুরিকাঘাতে আহতদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে রক্তাক্ত অবস্থায় তিনজনকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ শহরের ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নিয়ে যায় । সেখানে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সোহাগকে মৃত ঘোষণা করেন এবং স্বামী স্ত্রীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। ঘটনার সময় মেয়ে বিথি ঘুমিয়ে ছিল।
এ ঘটনায় ফতুল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আসলাম হোসেন জানান, স্বামী স্ত্রী ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তবে হারেজকে পুলিশ পাহারা দিচ্ছে । আর সোহাগের লাশ ভিক্টোরিয়া হাসপাতাল মর্গে ময়না তদন্তের জন্য রাখা হয়েছে। ওসি আরো জানান, ঘটনাটি তদন্তের জন্য পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে । মেয়েটিকে তাদের এক আত্মীয়ের বাসায় রাখা হয়েছে। তাদের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহ জেলায়।
Discussion about this post