নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় শ্যালীকার গায়ে এসিড দিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার দুলাভাইয়ের বিরুদ্ধে।
দগ্ধ মাহিনুরকে (৩৮) আশংকাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে ভর্তি কিরা হয়েছে।
অগ্নিদগ্ধ মাহিনুর নিজেই এসিড দিয়ে ঝলসে দেয়ার কথা বললেও পুলিশের দাবী প্রথমে জ্বালানি তেল গায়ে ঢেলে দেয়ার পর আগুন দেয় নূর ইসলাম ।
রোববার রাত সাড়ে ৮টায় সদর উপজেলার ফতুল্লা থানার পাইলট হাই স্কুল সংলগ্ন আলী আহম্মদের বাড়ির গলিতে এ নৃশংস ঘটনা ঘটে। দগ্ধ মাহিনূর একজন গার্মেন্টস কর্মী বলে জানা গেছে। তার দুলাভাই অভিযুক্ত নূর ইসলাম জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর সোহেল আলীর ব্যক্তিগত গাড়িচালক। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক রয়েছেন।
ঘটনাস্থলে যাওয়া ফতুল্লা মডেল থানার এএসআই তারেক আজিজ প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে জানান, নুর ইসলাম নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর সোহেল আলীর প্রাইভেটকার চালক নুর ইসলাম তার দুর সম্পর্কের শালিকা গার্মেন্টকর্মী মাহিনুরকে দীর্ঘদিন যাবত কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মাহিনুরকে নূর ইসলামের স্ত্রী হাসিনা বেগম মারধরসহ এলাকা ছাড়ার হুমকিও দেয়। হুমকির বিষয়টি গার্মেন্টস কর্মী মাহিনুর তার পরিবারের লোকজনকে জানান এবং থানায় অভিযোগ করার সিদ্ধান্ত নেন।
তবে বিষয়টি জানতে পেরে রোববার রাত সাড়ে ৮টায় গার্মেন্ট থেকে বাসায় ফেরার পথে বাড়িওয়ালা আলী আহম্মদের দাপা ইদ্রাকপুর এলাকার বাড়ির কাছে গলিতে মাহিনুরের পথরোধ করে নুর ইসলাম। এসময় তিনি অতর্কিতভাবে বোতল থেকে জ্বালানী তেল মাহিনুরের মাথায় ও শরীরে ঢেলে দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন। আগুনে দগ্ধ মাহিনূরের ডাক চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে আসলে নুর ইসলাম সেখান থেকে পালিয়ে যান। পরে স্থানীয় লোকজন পানি ঢেলে আগুন নিভিয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় মাহিনুরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
তিনি আরো জানান, মাহিনুর আলী আহম্মদের বাড়িতে ভাড়া থাকেন আর নুর ইসলাম ফতুল্লা রেলস্টেশন এলাকার ব্যাংক কলোনি এলাকায় বসবাস করেন। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে বলে জানান তিনি।
Discussion about this post