দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ হুমায়ূন কবীর, ফাহমিদা খাতুন, মাহমুদুল মহসীন ও আফতাবুজ্জামানের আদালত পৃথকভাবে চারজনের জবানবন্দি গ্রহণ করেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক হাবিবুর রহমান জানান, জবানবন্দি গ্রহণ শেষে আদালত তাদের কারাগারে প্রেরণ করেছে।
সোনারগাঁ থানার এসআই রাজু মণ্ডল যুগান্তরকে জানান, মামলাটি ওসি মনিরুজ্জামান তদন্ত করে রহস্য উদঘাটন করেছে। তার সঙ্গে মামলা তদন্তে সহযোগিতা করে জানতে পেরেছি, কালুর স্ত্রী তাদের ঘরের পাশের একটি রুম ব্যাচেলর ভাড়া দেয়। সেই ব্যাচেলরদের একজন রেজাউল করিম পলাশ। এতে পলাশের সঙ্গে কালুর স্ত্রী রিক্তা বেগমের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।
তিনি জানান, কালু গার্মেন্টের কাজে চলে যাওয়ার পর পরকীয়া ও দৈহিক সম্পর্কে মিলিত হয় রিক্তা ও পলাশ। বিষয়টি কালুর বাবা আজমত মিয়া ও ছোট ভাই সামছুল হক দেখে ফেলে একাধিকবার বাধা দেয়। তারপরও কালু বিষয়টি গুরুত্ব দেয়নি।
এসআই রাজু বলেন, এর মধ্যে কালু জমি বিক্রি করে দুই লাখ টাকা ঘরে এনে রাখে। সেই টাকা থেকে এক লাখ ৩০ হাজার টাকা কালুর স্ত্রী রিক্তা তার পরকীয়া প্রেমিক পলাশকে ধার দেয়। সম্প্রতি কালু পরকীয়া প্রেমে বাধা দিয়ে রিক্তার কাছে ধার নেয়া এক লাখ ৩০ হাজার টাকা ফেরত দেয়ার জন্য তাগিদ দেয়। এরপরই রিক্তা ও পলাশ পরিকল্পনা করে কালুকে হত্যা করার।
তিনি জানান, পরিকল্পনা মতে পলাশ এক হাজার টাকা অগ্রিম দিয়ে মাসুম ও ইমরানকে ভাড়া করে। এরপর কালুকে বেড়াতে নিয়ে যায় তার স্ত্রী রিক্তা। একপর্যায়ে রিক্তা তার স্বামী কালুকে ব্রহ্মপুত্র নদের তীর নিয়ে নিয়ে যায়। সেখানে আগে থেকেই পলাশ তার ভাড়াটিয়া খুনি মাসুম ও ইমরান দাঁড়িয়ে ছিল। কালু যাওয়ামাত্রই রিক্তার সামনে তারা তিনজন একে একে গলা কেটে হত্যার পর পালিয়ে যায়।
Discussion about this post