প্রতিবেশী প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ায় বাধা দিয়েছিলেন বাবা। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ইট দিয়ে মাথা থেঁতলে হত্যা করা হয় ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী শিশু আরাফাতকে (১১)।
নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার মদনপুর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। আদালতে ঘটনার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে আসামি রিপন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই শিশুর বড়ভাই ছিনতাইয়ের ঘটনায় রিপনের বিরুদ্ধে সাক্ষী দিয়েছিলেন।এবং তার বাবা পরকীয়ায় বাধা দিয়েছিলেন। এতে তাদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে শিশু আরাফাতকে ইট দিয়ে মাথা থেঁতলে হত্যা করে লাশ মসজিদের পুকুরে ফেলে দেয়।
ডিবি পুলিশের চার দিনের রিমান্ড শেষে রোববার (২৭ ডিসেম্বর) নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহামুদুল মহসিনের আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নারায়ণগঞ্জ গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের ইন্সপেক্টর শ্রী আকুল চন্দ্র বিশ্বাস জানান, রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদের সময় রিপন জানায়, সে একাই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে। আরাফাতের বড়ভাই ছিনতাইয়ের সাক্ষী দেয়ায় এবং তার বাবার সঙ্গে বিরোধের কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে সে আরাফাতকে খুন করেছে বলে জানায়। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার সকালে হত্যার কাজে ব্যবহৃত একটি ইট পুকুর থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
সূত্র জানায়, শিশু আরাফাত মদনপুর ইউপির সাবেক সদস্য লাউসার গ্রামের রফিকুল ইসলাম মনার ছেলে।তাকে গত ১৫ই ডিসেম্বর রাত ৯টার দিকে বিজয় দিবসের একটি কনসার্টে নিয়ে যায় একই গ্রামের ইসলাম মিয়ার ছেলে রিপন মিয়া। ওই রাতেই বাড়ির পাশে পুরাতন স্কুল ভবনে নিয়ে আরাফাতকে প্রথমে ইট দিয়ে মাথা থেঁতলে দেয়।
পরে গলাটিপে হত্যা করে মসজিদের পুকুরে লাশ ফেলে দিয়ে রিপন নিজেই পরিবারের সঙ্গে আরাফাতকে খোঁজাখুঁজি করে। তিন দিন পর ১৮ই ডিসেম্বর আরাফাতের লাশ ভেসে ওঠে।
Discussion about this post