নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট :
নারায়ণগঞ্জ জেলার আইনশৃংখলা বৈঠকে পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ বলেছেন, নৌপথে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকা চাঁদা তোলা হচ্ছে। এক মন্ত্রী ফোন করে বলেছেন, তাঁর লোকজন এখানে করে খায়। আমি পাল্টা প্রশ্ন করি কেন আপনার নাম ব্যবহার করে কেন এ চাঁদার টাকাটা তোলা হচ্ছে ? আপনার লোকজনকে কি চাঁদাবাজি করে খেতে দেবো নাকি ?
মন্ত্রীর নাম উল্লেখ না করে এসপি হারুন আরো বলেন, এতে আপনি আমার প্রতি মনক্ষুন্ন হলেও আমার কিছু হবে না। কাগজপত্র ব্যতিরেকে নৌপথে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার এসব চাঁদাবাজি হচ্ছিল। চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম বেড়েই চলছিলো। নৌ পরিবহন মন্ত্রীর সাথেও এ ব্যাপারে কথা হয়েছে । অবশেষে সেই চাঁদাবাজি বন্ধ করতে আমরা সক্ষম হয়েছি ।
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে রোববার ১০ মার্চ দুপুরে জেলা প্রশাসক রাব্বী মিয়ার সভাপতিত্বে আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় এমন মন্তব্য করেন তিনি।
আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় কোন সংসদ সদস্যগণ উপস্থিত না থাকলেও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জসিম উদ্দিন হায়দার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মনিররুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট, জেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের বিভিন্ন কর্মকর্তা ও নাগরিক সমাজের ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশ সুপার আরো বলেন, এই জেলার বড় সমস্যা হচ্ছে মাদক, চাঁদাবাজি । এয়ড়া রাস্তাঘাট, যানজটসহ নানা ধরণের সমস্য তো রয়েছেই । অর্থাৎ সারা শরীরের কোথাও ওষুধ দেয়ার কোন জায়গা নেই। তাই এধরণের পরিস্থিতে আমাদের ধীরে ধীরে খুব সর্তকের সাথে কাজ করতে হচ্ছে । জেলায় এখন বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে জুয়া । বিভিন্ন জুয়ার আসর থেকে এখন পর্যন্ত ৭০ জনকে গ্রেফতার করা হয় ।
উপজেলা নির্বাচনকে ঘিরে কেউ সংসদ নির্বাচন করে যাবেন সেটি ভুলে যান । এ নির্বাচনকে ঘিরে কোনো প্রকার অরাজকতা, কারচুপি হতে দেয়া হবে না। জনগণ তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে। এরজন্য আমাদের যা যা করণীয় আমরা তা করবো। নির্বাচনের সময় এমপি, মন্ত্রীদের নিজ এলাকায় অবস্থান করবেন না সেটি তাদের জানিয়ে দেয়া হবে ।
তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় মাদক চোরাচালান করবে, চাঁদাবাজি করবে কিন্তু আমরা তাকে ধরতে পারবোনা। এমনটি আমরা হতে দিতে পারিনা। এমন অবস্থা থেকে দেখে আমরা কাউকে ছাড় দিচ্ছিনা। এক্ষেত্রে আমরা কোন দল দেখছিনা।
জেলার রূপগঞ্জ, ফতুল্লা, বন্দরসহ প্রত্যেকটি উপজেলায় অনেক মাদক ব্যবসায়ী রয়েছে। এরা অনেক বড় ভাইদের ম্যানেজ করে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
এসপি জানান, জেলায় গত তিন মাসে চার ওসির বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট প্রমাণ পাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে । গার্মেন্টস সেক্টরে যেসব অসন্তোষ ছিলো সেটি এখন আর নেই বলে জানান এসপি।
Discussion about this post