সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জ জেলা মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান ও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ শামীম ওসমানে সহধর্মীনি সালমা ওসমান লিপি বলেছেন, নৌকা প্রতিক মানেই বাংলাদেশের উন্নয়ন, নৌকা প্রতিক মানেই সিদ্ধিরগঞ্জের উন্নয়ন, তাই দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে নৌকা প্রতিকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
বুধবার বিকালে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের সিদ্ধিরগঞ্জের ২নম্বর ওয়ার্ড মিজমিজি পশ্চিমপাড়া স্কুল এ্যাডভোকেট লতিফা ইয়াসমিনের সভপতিত্বে এক উঠান বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তার সাথে আরো উপস্থিত ছিলেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগ সভাপতি মজিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন, জেলা যুবলীগের স্বাস্থ্য ও পরিবেশ বিষয়ক সহ-সম্পাদক হাজী সুমন কাজী, নারায়ণগঞ্জ জেলা বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন সভাপতি সিরাজুল ইসলাম মন্ডল, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক ভূইয়া রাজু, আওয়ামীলীগ নেতা মাহবুব হোসেন, যুবীলীগ নেতা মোঃ নাসির খান, কেন্দ্রীয় মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্মলীগের যুগ্ম সম্পাদক মোঃ এনায়েত হোসেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা যুব মহিলালীগ নেত্রী চম্পা ভূইয়া ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুব মহিলালীগ নেত্রী মাহমুদা আক্তারসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
সালমা ওসমান লিপি বলেন, আপনারা আজ এখানে উপস্থিত হয়েছেন কেনো? অবশ্য আপনারা এই সরকারের সময়ে ভালো কিছু পেয়েছেন। যদি আরো ভালো কিছু ভবিষ্যতে পেতে চান তাহলে বর্তমান সরকারকে আপনারা নির্বাচিত করে পুণরায় ক্ষমতায় আনবেন। এটা আপনাদের দায়িত্ব বলে আমি মনে করি। বিগত সময়ে আওয়ামীলীগ এই রাষ্ট্রের জন্য, আমাদের সন্তানদের জন্য কি করেছে তা এখন দৃশ্যমান। এই নারায়ণগঞ্জে এক সময় অভিশপ্ত একটি স্থান ছিলো। সেটা হলো টান বাজার পতিতা পল্লি। সেখানে বিভিন্ন স্থানের মেয়েদের এনে বিক্রি করে দেওয়া হতো। তাদের দিয়ে দেহ ব্যবসা করা হতো। তারা মারা গেলে তাদের কেউ কবর দিতে দেওয়া হতো না। পায়ে ইটা বেধে শীতলক্ষ্যা নদীতে ফেলে দেওয়া হতো। ১২৫ বছরের সেই অভিশাপ থেকে নারায়ণগঞ্জকে মুক্তি দিয়েছে শামীম ওসমান। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে তখন ৩ কোটি টাকা বরাদ্ধ নিয়ে সাভার ভবঘুরে আশ্রমে তাদের পূর্নবাসন করেছেন। আজ নারায়ণগঞ্জবাসী অভিশাপ মুক্ত হয়েছে।
২০ লক্ষ্য লোক ডিএনডিতে দীর্ঘদিন জলাবদ্ধ অবস্থায় জীবন যাপন করেছে। এটার জন্যও কাজ করেছেন শামীম ওসমান। বহুদিন এই কাজটির পেছনে লেগে ছিলেন শামীম ওসমান। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহযোগীতায় এই কাজটিতেও তিনি সফল হয়েছেন। প্রায় সাতশত কোটি টাকা নিয়ে এসেছেন ডিএনডি প্রজেক্টের জন্য। দ্রুত গতিতে সেনাবাহিনীর ধারা কাজ চলছে ডিএনডিতে। এতোসব উন্নয়নের পরে যদি নৌকা মার্কায় ভোট চাইতে হয় তাহলে আমার আর কিছু বলার নেই। নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়া আপনাদের কর্তব্যে বলে আমি মনে করি। আপনাদের নিজেদের কারনেই আপনারা নৌকা মার্কায় ভোট দিবেন।
Discussion about this post