ভবনটির উপরে নারায়ণগঞ্জ সিটি করেপোরশেনের প্যানেল মেয়র আফসানা আফরোজ ভিভার (নাসিক) কার্যালয়। আর নীচতলায় বিএনপি নেতা আবদুল মজিদ এর দলীয় হাই কমান্ড কার্যালয়। দুদিন যাবৎ বিএনপির এই অফিসটি ভেঙ্গে ফেলার কারণে জেলা বিএনপির অনেক নেতাকর্মী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, নারায়ণগঞ্জ শহরে আর কোন বিএনপি অফিস রইলো না ! নেতাদের লোভেই আজ বিএনপির কার্যালয় শুন্য এই শহর। এ বিষয়ে গণমাধ্যমের সাথে কথা বলেছেন বিএনপি নেতা আবদুল মজিদ
নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট :
জানতে চাইলে আ. মজিদ বলেন, আইভী ভাঙ্গবে কেন, আমার অফিস আমিই ভাঙ্গছি। অফিস ঘরটি দোতালা করা হবে। ভাঙ্গার পর এখানে কী করবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, দোতালায় বিএনপির অফিস থাকবে, একতলায় থাকবে আমার অফিস। এখানে কোন দোকানপাট হবে না।
জায়গার মালিকানার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ জায়গার মালিক সিটি কর্পোরেশন। সিটি কর্পোরেশন থেকে লিজ নিয়েছেন কি-না এমন প্রশ্ন করা হলে আ. মজিদ প্রথমে লিজ নিয়েছি এবং পরক্ষণেই বলেন, মাটিভাড়া নিয়েছি।
মাটি ভাড়া এবং জায়গার পরিমাণ সর্ম্পকে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখনো ভাড়া ঠিক হয়নি। আগেতো দোতালা করেনি। আর জায়গা মেপে দেখিনি ।
নারায়ণগঞ্জ শহরে আগে বিএনপির দুটি অফিস ছিল। একটি শহরের দু’নম্বর গেট এলাকায় ও অপরটি ডিআইটি মার্কেটের দক্ষিণ প্রান্তে। দু’নম্বর গেটের অফিসটি দু’বছর আগে সিটি কর্পোরেশন ভেঙ্গে ফেলেছে। গতকাল ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে ডিআইটির এ অফিসটি।এখন দুটি অফিসই ভেঙ্গে ফেলায় বলতে গেলে এ শহরে বিএনপি একেবারে মুক্তকচ্ছ, যদি কালাম সাহেবের বৈঠকখানাটিকে আরেকটি অফিস না ধরা হয়।
এদিকে, শহরময় খবর ছড়িয়ে পড়েছে, বিএনপি অফিস ভেঙ্গে এখানে একটি হোটেল নির্মিত হবে। এজন্য ইতিমধ্যে ২০ লাখ টাকা অগ্রীমও নেয়া হয়ে গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, প্রবীণ বিএনপি নেতা ও বর্তমানে মহানগর বিএনপির উপদেষ্টা আ. মজিদ এ শহরে ‘নারায়ণগঞ্জের হাইকমান্ড’ নামে ব্যাপক পরিচিত।
’৯১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এলে তিনি এ নামধারণ করেন। বর্তমানে যেখানে হাইকমান্ড অফিস সেখানে ’৯৩ সালে সর্বপ্রথম প্রয়াত ছাত্রদল নেতার নামে ‘শহীদ বোরহানউদ্দিন স্মৃতি সংসদ’ গঠিত হয়। ’৯৪ সালে আ.মজিদ বোরহানউদ্দিন স্মৃতি সংসদ ভেঙ্গে এখানে মহানগর বিএনপি নাম দিয়ে তাঁর হাইকমান্ড অফিস ভবনটি নির্মাণ করেন। এ ভবন নির্মাণে প্রয়াত বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর কমিশনার দিয়েছিলেন রড, শিল্পপতি মোহাম্মদ আলী দিয়েছিলেন টাকা, ভুইয়া ডায়িং ফ্যাক্টরির মালিক রিয়াজ মিয়া দিয়েছিলেন ইট, অফিসটি মোজাইক করে দিয়েছিলেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ইলিয়াস দেও
Discussion about this post