জীবনের প্রতিষ্ঠিত হতে হলে দরকার প্রবল ইচ্ছা। ইচ্ছা থাকলে সব চেষ্টাই সফল হয়। মানুষকে এগিয়ে যেতে হবে। বিশেষ উদ্দেশ্যে তার জীবন সফল করতে হবে। এ জন্য নিষ্ঠার সাথে পালন করতে হবে দায়িত্ব ও কর্তব্য।
ইচ্ছাশক্তি যদি প্রবল হয়, তবে যেকোনো প্রতিকূল স্থান বা পরিস্থিতিতেও যে সফলতা আসে-এর প্রমান রাখলেন এমনি একজন সাহসী ও মহৎ ব্যাক্তি গণপূর্তের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আশরাফুল আলম । যিনি দূনীর্তির বিরুদ্ধে আপোষহীন ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন ।
প্রকৌশলী মোঃ আশরাফুল আলম ১৯৬৭ সালের ৩১ জানুয়ারী বগুড়া জেলার সোনাতলা উপজেলার দিগদাইর গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। শিক্ষাজীবনে তিনি করপুর বাই-ল্যাটারাল উচ্চবিদ্যালয় থেকে ১৯৮২ সালে প্রথম বিভাগে এসএসসি এবং পাবনা ক্যাডেট কলেজ থেকে ১৯৮৪ সালে প্রথম বিভাগে এইচএসসি পাস করেন। তিনি (বর্তমান) রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৯ সালে মেধা তালিকায় প্রথম শ্রেণীতে ২য় হিসাবে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং (সিভিল) ডিগ্রি লাভ করেন। এছাড়াও ২০০৯ সালে তিনি স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ থেকে এমবিএ ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনি ১৫ তম বিসিএস (পাবলিক ওয়ার্কস) ক্যাডারের মেধা তালিকায় প্রথম হিসাবে ১৯৯৫ সালে গণপূর্ত অধিদপ্তরে সহকারী প্রকৌশলী পদে যোগদান করেন।
প্রকৌশলী মোঃ আশরাফুল আলম ১৯৯৮ সালে উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী, ২০০৭ সালে নির্বাহী প্রকৌশলী, ২০১৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এবং ২০১৮ সালে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী পদে পদোন্নতি লাভ করেন। কর্মজীবনে তিনি শেরেবাংলা নগর গণপূর্ত বিভাগ-১, মেডিকেল কলেজ ডিভিশন, গণপূর্ত রক্ষণাবেক্ষণ সার্কেল এবং রংপুর গণপূর্ত জোনসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরে দায়িত্ব পালন করেন। দীর্ঘ কর্মজীবনে সততা, দক্ষতা ও নিষ্ঠার সাথে সরকারি দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে তিনি চাকুরি ক্ষেত্রে অনেক সুনাম অর্জন করেন। তিনি ৩১/১২/২০১৯ তারিখে গণর্পূত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে যোগদান করেন।
কর্মজীবনে তিনি অত্যন্ত মেধাবী ও সৎ একজন কর্মকর্তা হিসেবে সকলের কাছে সমাদৃত । তাঁর চাকুরি ও কর্মকাজের স্বীকৃতিস্বরূপ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এ বছর ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় ৫৬০ মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র প্রকল্প বাস্তবায়নে অন্যতম অবদান রাখায় হজ্জব্রত পালন করার সুযোগ প্রদান করেন।
চাকুরিরত অবস্থায় তিনি দেশে বিদেশে বিভিন্ন খন্ডকালীন ও দীর্ঘমেয়াদী প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।
চাকুরি ছাড়াও তিনি বহু সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে জড়িত। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি তিন কন্যা এবং এক পুত্র সন্তানের জনক । তিনি একজন দক্ষ সৎ কর্মকর্তা হিসেবে সর্বমহলে প্রশংসিত হয়েছে। প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে নিয়োগ পাবার পর পরই হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শত বার্ষিকী উদ্বোধন অনুষ্ঠানের দায়িত্ব তার নেতৃত্বে গণপূর্ত অধিদপ্তরের উপরে ন্যাস্ত করে । গণপূর্ত অধিদপ্তর অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ ভাবে দায়িত্ব পালন করেন।
রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রী স্পিকার সহ মন্ত্রী বর্গ ও সরকারের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা গণপূর্ত অধিদপ্তরের এ কাজের ভূয়সি প্রশংসা করেছেন।
প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল আলম প্রতিদিন নিবিড় পর্যবেক্ষণে করেছেন। তার উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় ব্যাঘাত ঘটাতে অধিদপ্তরে ঘাপটি মেরে থাকা বিএনপি জামায়াতের দোসর বলে পরিচিত কতিপয় সুবিধাভোগী কর্মকর্তা কর্মচারী ইতিপূর্বে কয়েকটি গণমাধ্যমে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে তাকে স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তি আখ্যা দিয়ে সংবাদ পরিবেশন করতে প্ররোচিত করেন।
তবে প্রধান প্রকৌশলী নিয়োগ পাবার আগে সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার একাধিক তদন্ত প্রতিবেদনে তা স্পষ্ট ভাবে বেরিয়ে আসে, প্রকৃত পক্ষে আশরাফুল আলম ছাত্রজীবন থেকে ছাত্রলীগের সাথে জড়িত ছিলেন ।
প্রকৌশলী আশরাফুল আলম প্রকৃত ভাবেই মুক্তিযোদ্ধের স্বপক্ষের লোক এবং কোন ভাবেই বিএনপি-জামাতের দোসর নয় বলেও অসংখ্য অঅনুসন্ধানে জানা গেছে ।
প্রাণঘাতী করোনা প্রতিরোধে প্রধান প্রকৌশলীর নির্দেশে গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রকৌশলীদের সময়োপযোগী প্রচেষ্টা ও পরিস্থিতি মোকাবেলায় রাজধানীসহ সারাদেশের হাসপাতালগুলোতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন।
এছাড়া ও তার আহ্বানে সাড়া দিয়ে মহামারি করোনার প্রাদুর্ভাবের মধ্যে দেশের হতদরিদ্র মানুষের সাহায্যে ও ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী ও তাদের স্বজনদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন গণপূর্তের প্রকৌশলীরা।
প্রায় দুই শত বছর ধরে গণপূর্ত অধিদপ্তর দেশের অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় মান নির্ধারণ করে আসছে। এই প্রতিষ্ঠান সরকারী নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নে কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করে থাকে।মোহাম্মদ আশরাফুল আলম প্রধান প্রকৌশলীর দায়িত্ব গ্রহন করার পর গণপূর্ত অধিদপ্তরের ইমেজ পূনরুদ্দার ও একটি গতিশীল প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে উঠছেন বলে অধিদপ্তরের কর্মচারী ইউনিয়ন, ডিপ্লোমা সমিতি ও বিসিএসপ্রকৌশলী বৃন্দগন অনেকে প্রত্যাশা করছেন ।
Discussion about this post