এনএনইউ রিপোর্ট :
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সারাদিন শেষে জেলা প্রশাসক রিাব্বি মিয়া একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে জেলার পাঁচটি আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ৬১ জন প্রার্থীর মধ্যে ৪৭ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছেন । নানা কারণে ১৪ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন তিনি।
রোববার (২ ডিসেম্বর) সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত জেলার ৫টি আসনের বৈধ প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন জেলা রিটার্নিং অফিসার। একই সাথে নানা অসংঙ্গতির কথা উল্লেখ করে ১৪ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন।
নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করা ১০ প্রার্থীর মধ্যে ৮ প্রাথীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করে জেলা রিটার্নিং অফিসার। মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয় ২ প্রার্থীর।
স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. রেহান আফজালের নির্বাচনী এলাকার ১% ভোটার যাচাইয়ে সঠিকতা না পাওয়ায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়, জাকের পার্টির মাহফুজুর রহমান আয়কর রিটার্ন দাখিল না করায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ-২ (আড়াইহাজার) আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করা ৮ প্রার্থীর মধ্যে ৭ প্রাথীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করে জেলা রিটার্নিং অফিসার। মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয় ১ প্রার্থীর।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মো.আবু হানিফ হৃদয়ের নির্বাচনী এলাকার ১% ভোটার যাচাইয়ে সঠিকতা না পাওয়ায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁ) আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করা ১৫ প্রার্থীর মধ্যে ১০ প্রাথীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করে জেলা রিটার্নিং অফিসার। মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয় ৫ প্রার্থীর।
আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসেবে শফিকুল ইসলাম দলীয় পরিচয়ের কাগজ মনোনয়নপত্রে সংযুক্তি না করায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) এর প্রার্থী মো.সাহাব উদ্দিন হোসেন ভূইয়ার মনোনয়নপত্রে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংযুক্তি না থাকায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়, গণফ্রন্টের প্রার্থী মো.সিরাজুল ইসলাম ঋণখেলাপী হওয়ায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়, স্বতন্ত্র প্রার্থী অনন্যা হোসাইন মৌসুমী তাঁর নির্বাচনী এলাকার ১% ভোটার যাচাইয়ে সঠিকতা না পাওয়ায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয় এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মোশারফ হোসেন নির্বাচনী এলাকার ১% ভোটার যাচাইয়ে সঠিকতা না পাওয়ায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করা ১৬ প্রার্থীর মধ্যে ১১ প্রাথীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করে জেলা রিটার্নিং অফিসার। মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয় ৫ প্রার্থীর।বিএনপির মামুন মাহমুদের মনোনয়নপত্রে সংযুক্তি হলফনামায় অপর্যাপ্ত তথ্য থাকায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে, স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যাংক ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোর রিপোর্টে ঋণখেলাপী হওয়ায় তার মনোননয়পত্র বাতিল করা হয়। গিয়াস উদ্দিনের ছেলে এ আসনের প্রার্থী গোলাম মুহাম্মদ কায়সারের নির্বাচনী এলাকার ১% ভোটার যাচাইয়ে সঠিকতা না পাওয়ায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। স্বতন্ত্র প্রার্থী কাউসার আহমেদ পলাশ মনোনয়নপত্রের সংযুক্তি হলফনামায় ২(খ) মামলাসমূহের তথ্যের জায়গায় কোন ধরণের তথ্য সন্নিবেশন করেননি এবং অতীতের মামলার সংযুক্তি না রাখায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়, জাতীয় পার্টির মো.ছালাউদ্দিন খোকা মনোনয়নপত্রের সাথে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় তাঁর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ-৫ (সদর- বন্দর) আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করা ১২ প্রার্থীর মধ্যে ১১ প্রাথীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করে জেলা রিটার্নিং অফিসার। মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয় ১ প্রার্থীর। বিএনপির মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ ঋণখেলাপী হওয়ার দরুণ তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।
মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া এসব প্রার্থীরা আগামী ৩ দিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশনে আপীল করতে পারবেন। সেখানে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং প্রমাণ সাপেক্ষে তাদের মনোনয়নপত্র বৈধ করার সুযোগ রয়েছে।
প্রসঙ্গত, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহার ৯ ডিসেম্বর; আর প্রতীক বরাদ্দ হবে ১০ ডিসেম্বর। আর ভোট ৩০ ডিসেম্বর।
Discussion about this post