নারায়ণগঞ্জে নিউজ আপডেট :
দিনদিন বেড়েই চলছে বিদেশ ফেরত কোয়ারেন্টাইনে থাকা আক্রান্ত সন্দেহের তালিকা ৷
বৃহস্পতিবার রাত ১১ টায় শহরের একটি বহুতল ভবনে থাকা বিদেশ ফের সন্দেহ ভাজনের খোজ করে তার অবস্থান নিশ্চিত করে পুলিশ ও স্বাস্থ্য বিভাগের সদস্যরা ।
ফলে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে একদিনের ব্যবধানে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে আরো ৩১ জনকে। বর্তমানে সর্বমোট ৭০ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে।
১ মার্চ থেকে ১৮ মার্চ পর্যন্ত বিদেশ থেকে নারায়ণগঞ্জে এসেছে ৫৬০০ জন প্রবাসী। বুধবার (১৮ মার্চ) রাতে নারায়ণগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইমতিয়াজ এ তথ্য নিশ্চিত করেন। বুধবার পর্যন্ত এর সংখ্যা ছিলো ৪৮ জন ।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইমতিয়াজ জানান, নারায়ণগঞ্জে বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত নতুন করে আরো ৩১ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৬, বন্দরে ৭, আড়াইহাজারে ২ সোনারগাঁয়ে ১১ ও রূপগঞ্জে ৫ জন নতুন হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এ নিয়ে সর্বমোট ৬৯ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে। তাদের অধিকাংশই বিদেশ ফেরত।
জেলায় গত ১ মার্চ থেকে ১৮ মার্চ পর্যন্ত প্রায় ৫৬০০ জন প্রবাসী বিদেশ থেকে আগত জানিয়ে তিনি বলেন, তাদের অনেককে নির্দিষ্ট ঠিকানায় খুঁজে পাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এই জন্য ইউনিয়ন পর্যায়ে জন প্রতিনিধিদের নিয়ে কমিটি করা হয়েছে।
তারা উপজেলা,ইউনিয়ন ও পাড়া-মহল্লাসহ বিভিন্ন এলাকাগুলোতে করোনা ভাইরাস সংক্রামণ প্রতিরোধে সচেতনতা ও সন্দেহভাজনদের চিহ্নিত করতে সাহায্য করছে।
তিনি আরো জানান, আমরা বিদেশ থেকে আগতদের জন্য ১৪ দিন করে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকাটা বাধ্যতামূলক করে দিয়েছি। তাদের সবাইকে নিজ নিজ বাড়িতে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। প্রতিদিন স্বাস্থ্য বিভাগের চিকিৎসকরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের খোঁজখবর নিচ্ছেন। তাদের বাইরে ঘোরাফেরা না করে বাসায় অবস্থান করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
একজন চীনা নাগরিক ছিল তাকে আজকে রিলিজ করে দেয়া হয়েছে। যদি করোনাভাইরাস পাওয়া যায় এবং আইসিডিআর পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জেলা সিভিল সার্জন সূত্রে আরো জানা গেছে, এ পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জে দুই শিশুসহ ৮৯ জনকে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত সন্দেহে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। তাদের মধ্যে ২০ জনের শরীরেই কোভিড-১৯ না পাওয়ায় তাদের ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখার পর বাদ দেয়া হয়।
অপরদিকে জেলা গোয়েন্দা সংস্থার এক কর্মকর্তা বলেছেন, নারায়ণগঞ্জের পাচ হাজারেরও অধিক ব্যক্তি বিদেশ থেকে আসলেও অনেকেই রয়েছেন ভিন্ন জেলার বাসিন্দা । যাদের একটা বৃহৎ অংশ নারায়ণগঞ্জের ঠিকানা ব্যবহার করে বিদেশ গেলেও মূলতঃ স্থায়ী ঠিকানা ভিন্ন জেলায় । ফলে বিদেশ ফেরত অনেককেই খুজে পাওয়া যাচ্ছে না।
Discussion about this post