করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা সেবা দিতে নারায়ণগঞ্জ ৩শ শয্যা হাসপাতালে পঞ্চাশ শয্যার আইসোলেশন ওয়ার্ড তৈরীর কাজ সম্পন্ন করেছে জেলা গণপূর্ত বিভাগ । এরই মধ্যে করোনা আক্রান্তদের ভর্তি করে চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে । এছাড়াও করোনা টেস্টিং ল্যাব নির্মাণ করতে এবং সকল মেশিন স্থাপন করতে আরো ২ সপ্তাহ সময় লাগবে বলেও জানিয়েছেন ৩শ শয্যা হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সুপার ডাঃ সামসুদ্দোহা সঞ্চয় ।
জানা যায়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ঘোষণার পর করোনা ভাইরাস সংক্রমণে আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য শহরের নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালকে নির্মাণ কাজ করার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয় গণপূর্ত অধিদফতরের নারায়ণগঞ্জ গণপূর্ত বিভাগ কে।
১২ এপ্রিল নির্মাণ কাজ শুরু করে গণপূর্ত । হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ১০ দিনের সময় নির্ধারণ করে দিলেও নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই আইসোলেশন ওয়ার্ডের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করে ।
জেলা গণপূর্ত বিভাগের সার্বিক তত্ত্বাবধানে সকল প্রকৌশলী, জরুরি ঠিকাদার ও শ্রমিকরা দিন রাত ২৪ ঘন্টা বিরামহীন কাজ করে দ্রুত গতিতে এই আইসোলেটেড ওয়ার্ডের ৫০ শয্যার নির্মাণ সম্পন্নের পর হস্তান্তর করা হয় ৷
ভেন্টিলেশন ব্যবস্থা সম্পন্ন আইসিইউ সুবিধাসহ আইসোলেটেড হাসপাতালের প্রায় ৫০টি বিশেষায়িত শয্যার ব্যবস্থা থাকবে হাসপাতালটিতে।
ল্যাবসহ পুরো কাজ সম্পন্ন করতে ঢাকা থেকে আরো ১০ দিনের কথা বললেও আমরা ধারনা করছি ১৪ দিন লাগতে পারে ৷ এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বাচিপ নেতাদের সাথে কথা বলেছি, আমাদের নের্তৃবৃন্দ আশ্বাস দিয়েছেন ৩০০ শয্যা হাসপাতালে ল্যাব হচ্ছেই । যা আমার জন্য ছিলো চ্যালেঞ্জিং ।
১০টি আইসিইউ’র সঙ্গে ভেন্টিলেশন সম্পন্ন শয্যা এবং ৪০টি আলাদা শয্যার ব্যবস্থা করা হয়েছে।।
নারায়ণগঞ্জ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জাকির হোসেন জানান দ্রুত গতিতে নির্মাণ কাজ শেষ করে শনিবার ১৮ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালকে করোনা চিকিৎসায় আমরা প্রস্তুতের পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কে বুঝিয়ে দিয়েছি ।
জাকির হোসেন আরো জানান, গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো:আশরাফুল আলম মহোদয়ের সার্বখনিক মনিটরিংয়ের কারণে কাজটি দ্রুত সময়ে সম্পন্ন করতে পারায় আমরাও স্বস্তি পেয়েছি।
Discussion about this post