নারায়ণগঞ্জে মাত্র কয়েক মাসের দায়িত্ব পালনকালে অসংখ্য কথিত ক্রসফায়ার, পোষ্টিং বাণিজ্য, গ্রেফতার বানিজ্যসহ নানা অনিয়মসহ নির্বাচনকালীন সময়ে বিএনপির প্রবল বাধার মুখে প্রত্যাহার কারা হলেও এবার ক্যাসিনো সমালোচনায় পরেছেন পুলিশ কর্মকর্তা আনিসুর রহমান । “খোদ পুলিশের অনেক প্রবীন কর্মকর্তা আক্ষেপ করে বলেছেন জোড়া খুনের মামলার আসামী আর ও ওয়ান জামালকে দিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের যে ক্ষতি এসপি আনিসুর রহমান করেছেন, তা আমার দীর্ঘ চাকুরী জীবনে এমন পুলিশ সুপার কখনো করতে দেখি নাই । যার ফল তিনি হয়তো পাবেন…….! একজন ব্যবসায়ীকে চাষাড়া ফাড়ির একটি কক্ষে আটকে রেখে কি পরিমাণ নির্যাতন চালিয়েছে তার বর্ণনাও দেন এক কর্মকর্তা ।
খোদ প্রধানমন্ত্রীর সাথে স্ত্রী ও শিশু সন্তানকে নিয়ে ছবি তুলে তা প্রচারের পর অত্যাচারের মাত্রা আরো যেন বৃদ্ধি করে দিয়েছিলেন এসপি আনিসুর (এমন ক্ষোভের অসংখ্য রেকর্ড রয়েছে)
নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট :
নারায়ণগঞ্জ জেলার সাবেক পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান ও তার পরিবারের লোকজনের ব্যাংক হিসাবে অর্থ লেনদেনের তদন্তে নেমেছে বাংলাদেশ ব্যাংক৷ বর্তমানে তিনি তেজগাঁও জোনের ডিসি হিসেবে কর্মরত আছেন৷
আনিসুর রহমানের বাড়ি গোপালগঞ্জের কাশিয়ানি থানার শংকরপাশা গ্রামে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কয়েকমাস পূর্বে গত বছরের ২০ আগস্ট পুলিশ সুপার হিসেবে নারায়ণগঞ্জে আসেন আনিসুর রহমান৷ এর আগে তিনি যশোর জেলার পুলিশ সুপার ছিলেন। নারায়ণগঞ্জে যোগদানের তিন মাস পরেই ২৮ নভেম্বর বিএনপির অভিযোগের প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার পদ থেকে আনিসুর রহমানকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়৷ (সূত্র সমকাল)
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, একটি গোয়েন্দা সংস্থার অনুরোধে আনিসুর, তার স্ত্রী, বাবা ও মায়ের অ্যাকাউন্টে কী পরিমাণ লেনদেন হয়েছে সে তথ্যও চাওয়া হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে৷ সেই অনুরোধের প্রেক্ষিতেই তদন্তে নেমেছে বাংলাদেশ ব্যাংক৷
সমকালের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) থেকে বুধবার বিভিন্ন ব্যাংকে এ-সংক্রান্তে চিঠি পাঠানো হয়। দুর্নীতি ও ক্যাসিনোর বিরুদ্ধে চলমান অভিযানের মধ্যে প্রথম কোনো সরকারি কর্মকর্তার অ্যাকাউন্ট তলবের তথ্য মিলল।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের চিঠিতে আনিসুর রহমান ছাড়াও তার স্ত্রী শেরপুর সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক সাংসদ ও আওয়ামী লীগের নেত্রী ফাতেমাতুজ জোহরা, বাবা নাফিস তাহিয়াত ও মা আনিসা ফাতেমার অ্যাকাউন্টের লেনদেনসহ যাবতীয় তথ্য চাওয়া হয়েছে। এসব ব্যক্তির নামে বর্তমানে বা ইতিপূর্বে কোনো হিসাব পরিচালিত হয়ে থাকলে তা জানাতে বলা হয়েছে। হিসাব খোলার ফরম, কেওয়াইসি প্রোফাইল, লেনদেনসহ যাবতীয় তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছে।
এমন সংবাদ প্রচারের পর নারায়ণগঞ্জের কয়েকজন প্রবীন পুলিশ কর্মকর্তা, কন্সষ্টেবল ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, কাকের মাংশ কাকে খায় না, কিন্তু পুলিশকে জিম্মি করে কি পরিমান অপকর্ম হয়েছিলো তা পুলিশ সদস্যরাই ভালো জানেন । তৎকালীন সময়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলুশের আর ও ওয়ান জামালের মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জে চাকরীরত প্রত্যেক পুলিশ সদস্যকে জিম্মি করে বিশাল টাকা হাতিয়ে নিয়েছিলো এসপি আনিস। নারায়ণগঞ্জের ৭টি থানার মুন্সীদের কাছে এই হিসাব নিলেই জানা যাবে কে কে কত টাকা দিয়ে জেলায় চাকুরী করছেন । বন্দর থানার দায়িত্বরত মুন্সী আমিনুর রহমান ১০ লাখ টাকা দিয়ে তার চাকুরী রক্ষা করেছেন । যা সকলেই জানেন । তার অপরাধ ছিলো একটি জবকৃত মটর সাইকেল মেরামত করে তা থানার কাছে ব্যবহার করা হয়েছিলো। এমন অসংখ্য ঘটনার ক্ষোভ রয়েছে পুলিশ সদস্যদের মাঝে । আর রূপগঞ্জ থানায় কয়েকটি কথিত ক্রসফায়ারের ঘটনার তদন্ত করলেই জানা যাবে লোমহর্ষক অনেক তথ্য ।
(ফাইল ছবি)
Discussion about this post