স্টাফ রিপোর্টার :
নির্বাচনের আর মাত্র ছয় দিন বাকী। এর মধ্যে প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে সকল দলের এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। নারায়ণগঞ্জের পাঁচটি নির্বাচনী আসনের মধ্যে ৩৬ জন্য প্রার্থী যার যার মতো করে নির্বাচনী মাঠে অবস্থান করলেও প্রায় সকল প্রার্থীই ভোটের নিরপেক্ষতা নিয়ে নানাভাবে সমালোচনা করে যচ্ছেন। জেলা আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী নেতা ও সংসদ সদস্য শামীম ওসমান নিজেও নির্বাচন নিয়ে নানা আশংকার কথা বলে যাচ্ছেন।
এমন আশংকায় নির্বাচনে সকল ভোটারদের মাঠে ভোট কেন্দ্রে নিয়ে যেতে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের নেই কোন আন্তরিকতা। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জেলায় বৈধ অস্ত্রধারীদের অস্ত্র জমা দেয়ার প্রক্রিয়া চালু থাকলেও এখনো অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে নেই কোন সাড়াসী অভিযান। একই সাথে পুলিশের বেতার যন্ত্রের পাশাপাশি অবৈধভাবে অনেকেই নারায়ণগঞ্জ জেলায় নানাভাবে বেতারযন্ত্র ব্যবহার করে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃস্টি করার অভিযোগ রয়েছে দীর্ঘদিন যাবৎ।
অসংখ্য অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ শহরে প্রায়ই পুলিশের বেতারযন্ত্র নিয়ে, পুলিশের হর্ণ গাড়িতে ব্যবহার করে দাপড়িয়ে বেড়াচ্ছে অনেক অপরাধীরা। গাড়িতে পুলিশ স্টিকার ব্যবহার করে এবং বেতারযন্ত্র দেখিয়ে আতংক সৃস্টিও করছে কেউ কেউ।
গত ২২ সেপ্টেম্বর সদর আসনে নৌকা প্রতীকের দাবীতে মিছিল করে মহানগর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জিএম আরাফাত। এই মিছিলে কয়েকটি বেতারযন্ত্র হাতে শহর দাপরে বেড়ায় কয়েকজন যুবক। এরা কারা ? কি তাদের পরিচয় ? কোন আইনে এই বেতারযন্ত্র হাতে নিয়ে শহরে শোডাউন করছে ? তাদের উদ্দেশ্য ই বা কি ? এমন অসংখ্য প্রশ্ন শহরবাসীর মুখে উচ্চারিত হলেও এখনো কোন সদুত্তর মেলেনি কারো কাছ থেকে। একই সাথে উদ্ধারও হয় নাই অবৈধভাবে ব্যবহৃত বেতারযন্ত্রগুলো।
এবার নির্বাচনকে সামনে রেখে পুলিশের বেতারযন্ত্রের অপব্যবহারের পাশাপাশি পূর্বে ব্যবহৃত অবৈধভাবে ব্যবহার হওয়া বেতারযন্ত্রগুলো উদ্ধারের দাবী উঠেছে সর্বত্র। একই সাথে নারায়ণগঞ্জে কয়েক শত বৈধ অস্ত্র যেমন প্রশাসন নির্বাচনকে সামনে রেখে জমা নিচ্ছে তেমনি মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসীদের হাতে অসংখ্য অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার পূর্বক কঠোর হস্তে আইনানুগ ব্যবস্থা গহণের দাবী উঠেছে সর্বত্র।
এরই মধ্যে জেলার শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী/অপরাধীরা কোন না কোন প্রার্থীর পক্ষ নিয়ে নিজের অবস্থান দৃঢ় করতে চালিয়ে যাচ্ছে আতংক । এর মধ্যে অন্যতম সালাউদ্দিন বিটু সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানের পাশে দাড়িয়ে দীর্ঘক্ষন অবস্থান নিয়ে এলাকাবাসীর মনে ভীতির সৃস্টি করে । গত ২ ডিসেম্বর র্যাবের সাথে ক্রসফায়ারে নিহত শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী হাসানের রেখে যওয়া অবৈধ অস্ত্রের ভান্ডার রয়েছে এই বিটুর কাছেই । বিটু নিজের অস্তিত্ব রক্ষার জন্যই প্রভাবশালী নেতাদের নাম ব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে ।
অপরদিকে বিএনপি থেকে টিকেট পাওয়া মনির হোসেন কাশেমীর বিরুদ্ধেও রয়েছে নাশকতার অভিযোগ । মনির হোসেন কাশেমী জঙ্গি সংগঠক আইএসআইয়ের প্রতিনিধি হিসেবেও আখ্যায়িত করছেন কোন কোন প্রার্থী । তাই এতো অভিযোগের পর বড় ধরণের নাশকতা বন্ধ করতে কঠোর নজরদারীর দাবীও উঠেছে প্রার্থীদের মধ্য থেকে।
নইলে অপরাধীরা অবৈধ অস্ত্র ও বেতার যন্ত্র ব্যবহার করে নানাভাবে নাশকতা করে আইনশৃংখলা পরিস্থিতির ব্যাঘাত ঘটাতে পারে বলেও আশংকা প্রকাশ করেছে অনেকেই ।
Discussion about this post