নারায়ণগঞ্জ জেলার পাঁচ শতাধিক করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার টেস্ট রিপোর্ট আটকে আছে আইইসিডিআরে। গত চারদিনে কোনো স্যাম্পলের রিপোর্টও জেলায় না আসায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যায় কোনো পরিবর্তন আসেনি। অর্থাৎ গত শনিবার আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৬২৫; যা রোববারেও একই রয়েছে।
জেলা স্বাস্থ্যবিভাগ নিয়মিতভাবে সকালে করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে তাদের ওয়েবসাইটে। এতে জেলার আক্রান্ত, সুস্থ এবং ২৪ ঘণ্টার সর্বশেষ একটি পরিসংখ্যান দেয়া হয়। গণমাধ্যম কর্মীরা এর মাধ্যমে প্রতিদিন করোনা সংক্রান্ত এসব তথ্য সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারেন। তবে গত চারদিন ধরে আইইডিসিআর থেকে নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট না আসায় সর্বশেষ তথ্য সম্পর্কে কেউই নিশ্চিত হতে পারছেন না। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের সর্বশেষ তথ্যে জেলায় করোনায় মৃত্যু মোট ৪২ জন, আক্রান্ত মোট ৬২৫ জন এবং সুস্থ ২৫ জন।
এ বিষয়ে জেলা করোনাভাইরায় বিষয়ক তথ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম বলেন, গত ২১ থেকে ২৪ এপ্রিলের করোনা টেস্টের কোনো রিপোর্ট আইইসিডিআর থেকে পাইনি। ৫ শতাধিক নমুনা রিপোর্ট না পাওয়ার সুনির্দিষ্ট কারণও জানানো হচ্ছে না। রিপোর্ট আটকে থাকায় বিপাকে আছি। প্রতি মুহূর্তে মানুষ ফোন করে রিপোর্টের খবর জানতে চাচ্ছে। রিপোর্ট না পেয়ে লোকজন হতাশ হয়ে আমাদের নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, করোনার নমুনা সংগ্রহের ক্ষেত্রে সরকারি-বেসরকারি কাজে হ-য-ব-র-ল অবস্থা দেখা দিয়েছে। বেসরকারি সংস্থা জেকেজি নগরীর দুটি স্কুলে করোনা স্যাম্পল সংগ্রহ করছে ১৪ এপ্রিল থেকে। তাদের নমুনা সংগ্রহের কোন তথ্য জেলা স্বাস্থ্য বিভাগে নেই। শুধুমাত্র রিপোর্ট জানতে পারছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। যার জন্য জেলায় নমুনা এবং আক্রান্তের সংখ্যা অনেক কাছাকাছি থাকায় নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। যার উপযুক্ত কোন ব্যাখ্যাও স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে পাওয়া যাচ্ছে না।
Discussion about this post