এনএনইউ রিপোর্ট :
এলোপাথারী বা দৈবচয়নে বাছাইয়ে নাম নির্ধারিত না হওয়ায় নারায়ণগঞ্জ – ৪ ( ফতুল্লা – সিদ্ধিরগঞ্জ ) এবং নারায়ণগঞ্জ – ৫ ( সদর-বন্দর ) আসনে ইভিএম মেশিনে ভোট গ্রহণের সিদ্ধান্ত বতিল করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশনার । এর আগে নারায়ণগঞ্জ ৪ এবং নারায়ণগঞ্জ ৫ আসন সহ ৪৮টি আসনে ইভিএম এ ভোট গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো ইসি ।
ফলে আওয়ামীলীগের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান ও তার বড় ভাই সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানের আসনে ইভিএম ব্যবহার হচ্ছে না বলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে জনমনে । জেলার ৫টি আসনের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ এই দুটি আসনে মহাজোট ও ঐক্যফ্রন্টের ভোটের লড়াই হবে তুমুল প্রতিদ্বন্ধিতামূলক । তাই এই দুটি আসনের দিকে রয়েছে সকলের দৃস্টি ।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ছয়টি আসনে ইলেকট্রোনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের কথা আগেই জানিয়েছিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সোমবার বিকেলে রাজধানীর নির্বাচন কমিশনের সম্মেলন কক্ষে কম্পিউটারের প্রোগ্রামিংয়ে দ্বৈবচয়নের মাধ্যমে সে আসনগুলো বেছে নেয়া হয়েছে।
আসন ছয়টি হলো- ঢাকা-৬ ও ১৩, চট্টগ্রাম-৯, রংপুর-৩, খুলনা-২ এবং সাতক্ষীরা-২। এ সময় ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এবং সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
সিটি করপোরেশন ও জেলা সদর সংশ্লিষ্ট ৪৮টি আসনের মধ্যে ৬ আসন ইভিএম ব্যবহারের জন্য দ্বৈবচয়নের মাধ্যমে বেছে নেয়া হয়।
এর আগে নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ প্রেস বিফ্রিংয়ে বলেছিলেন, ‘৩০০টি আসনের মধ্যে ৬টি আসনে ইভিএম ব্যবহার করা হবে। এ ছয়টি আসনের সব কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার করা হবে। দ্বৈবচয়নের ভিত্তিতে এগুলো সিটি করপোরেশন, আরবান এলাকায় ব্যবহার করা হবে। আগামী ২৮ নভেম্বর সাংবাদিকদের সামনে এ ছয়টি আসন নির্ধারণ করা হবে।’
৩৫টি রাজনৈতিক দল ও অংশীজনেরা এই ইভিএম ব্যবহারের বিরোধিতা করা সত্ত্বেও কেন ইভিএম ব্যবহার করা হচ্ছে- এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটি কমিশনের সিদ্ধান্ত। ডিজিটাল ব্যবস্থাপনায় যেহেতু বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে গেছে, মানুষ অনেক শিক্ষিত হয়েছে। সামনে স্থানীয় সরকার নির্বাচন ইভিএম ব্যবহারের পরিকল্পনাও আছে। বিভিন্ন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করে সফলতা পেয়েছি। সবদিক বিবেচনা করে কমিশন এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ থেকে আর সরে আসার সুযোগ নেই।’
যে ৪৮ টি আসনে ইভিএম এ ভোট গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো ইসি :
ঠাকুরগাঁও-১, দিনাজপুর-৩, নীলফামারী-২, লালমনিরহাট-৩, রংপুর-৩, গাইবান্ধা-২, বগুড়া-৬, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩, নওগাঁ-৫, রাজশাহী-২, পাবনা-৫, কুষ্টিয়া-৩, খুলনা-২ ও ৩, সাতক্ষীরা-২, ভোলা-১, বরিশাল-৫, টাঙ্গাইল-৫, জামালপুর-৫, শেরপুর-১, ময়মনসিংহ-৪, ঢাকা-৪, ৫, ৬, ৭, ৮, ৯, ১০, ১১, ১২ ,১৩, ১৫, ১৬, ১৭ ও ১৮, গাজীপুর-২, নরসিংদী-১ ও ২, নারায়ণগঞ্জ-৪ ও ৫, ফরিদপুর-৩, মাদারীপুর-১, সিলেট-১, কুমিল্লা-৬, ফেনী-২ এবং চট্টগ্রাম-৯, ১০ ও ১১ এ আসনগুলোর মধ্যে দৈবচয়নের মাধ্যমে ছয়টি বেছে নেয়া হয়।
আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ২৮ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাই ২ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহার ৯ ডিসেম্বর। আর প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে ১০ ডিসেম্বর ।
Discussion about this post