এমন ঘটনায় মীর আওয়ামীলীগ নেতা মীর সোহেল বলেছেন, আমার আশেপাশে অনেক লোক আসে । কে কি করে সকলের খবর রাখতে পারি না । কে কখন পাশ বসে ছবি তুলেছে, কেক খেয়েছে, তা তো আমার স্বরণে থাকার কথা না । কিন্তু এরা যে এতো বড় অপরাধী তা আমার জানা নাই । ধর্ষনকারী এই অপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবী করছি বলে মন্তব্য করেছেন মীর সোহেল।
নরায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট :
কোন অবস্থাতেই বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফতুল্লা থানা যুবলীগের সভাপতি মীর সোহেলের। একের পর এক বিতর্ক যেন মীর সোহেলকে আষ্টেপিষ্টে আকড়ে ধরে রেখেছে ।
ফতুল্লার দলবেঁধে ধর্ষণকারীরা যুবলীগ নেতা মীর সোহেলের কর্মী
এমন সংবাদ প্রচারের পর জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফতুল্রা থানা যুবলীগের সভাপতি মীর সোহল আলী নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট কে আত্মপক্ষ সমর্থন করে উল্লেখিত বক্তব্য প্রদান করেন । মীর সোহেল বলেন আামার পাশে অনেকেই আসে কে কি করে তা আমার জানা থাকে না ।
মীর সোহেলের এমন বক্তব্যের পর আরো অনুসন্দ্যান করলে বেড়িয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য ।
দলবেঁধে ধর্ষনকারীদের প্রায় সকলের সাথে এবং ধর্ষনকারীদের ঘনিষ্টজনদের সাথে পাওয়া যায় অনেক ছবি ।
ধর্ষনকারী সুমনকে কেক খাওয়াচ্ছেন মীর সোহেল ।
গ্রেফতারকৃত ধর্ষক শাহাদাত পাশে বসেই আছে মীর সোহেলের
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম ফতুল্লা মডেল থানায় সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান।
গ্রেফতাররা হলেন- চাঁদপুরের মতলব উপজেলার মুক্তিরকান্দি এলাকার মো. সিরাজের ছেলে রাসেল (৩৮), নেত্রকোনার খালিয়াজুড়ির মৃত রুকু মিয়ার ছেলে সুজন মিয়া (২৩), মুন্সীগঞ্জের বিক্রমপুর উপজেলার মৃত খোরশেদ আলমের ছেলে শাহাদাৎ হোসেন (২২), ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার বিরামপুরের মো. ফরিদের ছেলে সুমন (২২), নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার হাদিছুর রহমানের ছেলে মো. রবিন (২৩), শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার আব্দুল লতিফের ছেলে মো. আল আমিন (২১)। তারা প্রত্যেকেই ফতুল্লার দাপা ইদ্রাকপুরের বিভিন্ন এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকে।
সংবাদ সম্মেলনে মনিরুল ইসলাম জানান, ভুক্তভোগী ওই কিশোরী চাচাতো ভাইয়ের সঙ্গে বাড়ি ফেরার সময় তাদের পথ অবরোধ করে অভিযুক্তরা। পরে কিশোরীকে ভয় দেখিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করা হয়। জরুরি সেবা ৯৯৯-থেকে খবর পেয়ে রাতেই পুলিশের কয়েকটি টিম ঘটনাস্থলের আশপাশের এলাকায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে। মঙ্গলবার আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান জানান, কিশোরীকে গণধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার ছয়জনকে বিকেলে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরা আদালতে পৃথকভাবে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। বিকেল ৪টায় নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক নুরন্নাহার ইয়াসমিন, ফাহমিদা খাতুন, আহমেদ হুমায়ন কবির ও আফতাবুল ইসলাম পৃথক পৃথকভাবে ছয়জনের জবানবন্দি রেকর্ড করে তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
Discussion about this post