চোরাই তেলের কারবার করে কত টাকার মালিক হয়েছেন চোরা কারবারীরা তা অনুমান করাই কঠিন । ধরা পরার সাথে সাথেই ১০ লাখ টাকার ঘুষের প্রস্তাব দেয় ! এমন ঘটনায় হতভম্ব সাধারণ মানুষ । নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষা নদীতে কয়েকটি সিন্ডিকেট ছাড়াও মুন্সীগঞ্জ ও কুমিল্লার নদীপথে রয়েছে ভোজ্য তেল চোরাই কারবারীদের বিশাল সিন্ডিকেট । এই সিন্ডিকেটের সকল সদস্যরাই আঙ্গুল ফুলে করাগাছ । বিমাল অট্টালিকার মালিক এই চোর চক্রের হোতাদের আসফালন দেখে এলাকার লোকজনও হতবাক
নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট :
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নে ছয়হিস্যা গ্রামে র্যাব-১১ অভিযান চালিয়ে ৫ সেপ্টেম্বর রাতে মৃত কাসেম সরকারের ছেলে চোরাই তেল ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে।
শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে শহরের সেন্ট্রাল ঘাট এলাকায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান র্যাব-১১ এর অধিনায়ক (সিইও) লে. কর্ণেল কাজী শামসের উদ্দিন৷ এর আগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে সোনারগাঁয়ের ছয়হিশ্যা নদী ঘাটে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়৷
ব়্যাবের অধিনায়ক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘গোপন তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব -১১ এর একটি আভিযানিক দল ৫ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও থানার ছয়হিশ্যা নদী ঘাটে একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ২২০ ড্রামে ৪১৮০০ লিটার চোরাই পাম তেল উদ্ধার করা হয় ও চোরাই কাজে ব্যবহৃত ৩ টি ইঞ্জিন চালিত তেলের ট্রলার জব্দ করে৷ যার আনুমানিক মূল্য ২১ লক্ষ টাকা। এই সময় চোরাই তেলের ব্যাপারটি আইনের আওতায় না আনার জন্য চোরাই তেলের মূল হোতা রফিকুল ইসলাম ১০ লক্ষ টাকা ঘুষ দেয়ার চেষ্টা করে। ঘুষের টাকাসহ মো. রফিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে র্যাব সদস্যরা। পরে গ্রেপ্তারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গিয়ে তিনি স্বীকার করেছেন যে তিনি দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে পাম অয়েল ও অন্যান্য ভোজ্য ও জ্বালানি তেল চোরাই ভাবে কেনা বেচা করে আসছিল। এই চোরাই পাম ওয়েল নারায়ণগঞ্জ সহ ঢাকার বিভিন্ন তেল ব্যবসায়ীদের কাছে সরবরাহ করতো।
গ্রেফতারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ ও অনুসন্ধানে জানা যায় যে রফিকুল ইসলাম (৪২) নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও থানার অন্তর্গত ছয়হিশ্যা গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা। তাঁর বাবা আবুল কাসেম সরকার। ছয়হিশ্যা ঘাটে বেশকয়েকটি চোরাই পাম অয়েলের সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে। ছয়হিশ্যা ঘাটে চলমান জাহাজ হতে তেল চুরি করে আসছে। চক্রটি পাম অয়েলের সাথে ভেজাল তেল মিশিয়ে বিভিন্ন ব্যবসায়ীকে সরবরাহ করতো। জিজ্ঞাসাবাদ জানা যায় গ্রেপ্তারকৃত মোঃ রফিকুল ইসলাম চোরাই তেল সিন্ডিকেটের মূল হোতা বলেও জানান ব়্যাব সিইও৷
গ্রেফতারকৃত ও পলাতক আসামীদের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও থানায় আইনী কার্যক্রম চলছে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে আরো উপস্থিত ছিলেন ব়্যাব-১১ এর মেজর তালুকদার নাজমুছ সাকিব, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান৷
Discussion about this post