তরে নারায়ণগঞ্জ জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অফিসের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ সামছুল আলম শহরের এমন জনাকীর্ণ এলাকায় মদের বারের রাইসেন্স প্রদান করে এবং মোটা অংকের ঘুষ নিয়ে মদের লাইসেন্সের অনুমতি দিয়ে বিপাকে পরে নিজেকে গুটিয়ে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন দীর্ঘদিন যাবৎ । এই সামছুল আলম নারায়ণগঞ্জের চিহ্নিত মাদক কারবারীদের সাথে যোগসাজস করে মাদকের ভয়াবহতা বৃদ্ধি করে আঙ্গুল ফুলে করাগাছ বনে গেছেন বলে অভিযোগ খোদ নিজ দপ্তরের অনেকের । ধূরন্ধর সামছুল আলম নিজেকে দেশের প্রভাবশালী শীর্ষ প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের নাম ভাঙ্গিয়ে নারাণগঞ্জে সকল ধরণের অপকর্ম করে আছিলো বলেও অভিযোগ রয়েছে ।
নাারয়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট :
নানা আলোচনা সমালোচনা, আন্দোলন, আল্টিমেটাম ঘোষনা এবং নারায়ণগঞ্জ শহরবাসীর জোড়ালো প্রতিবাদের পর অবশেষে বন্ধ করা হলো নারায়ণগঞ্জের নতুন করে লাইসেন্স প্রাপ্ত মদের বার ‘ব্লু পিয়ার’। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহা পরিচালকের নির্দেশে বারটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।
বুধবার (১২ জানুয়ারি) সকালে নগরীর চাষাঢ়া বালুর মাঠের প্যারাডাইস ক্যাসেলে অবস্থিত ৮ ও ৯ তলায় ব্লু পিয়ার নামে বার চালুর পরিকল্পনা ছিল। তবে, ১০ তলায় ব্লু পিয়ার নামে এখন রেস্টুরেন্টটি চালু রয়েছে।
রাত সাড়ে ৯টার দিকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভবনটির ৮ ও ৯ তলাতে ব্লু পিয়ার নামে মদের বারটির সকল কার্যক্রম বন্ধ| গেইটের সামনে একটি ব্যানারে লেখা ‘মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের নির্দেশে বারটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে’।
এ সময় ব্লু পিয়ার রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার জুয়েল হোসেন জানান, ভবনটির ৮ ও ৯ তলাতে সরকারের অনুমোদন নিয়েই ব্লু পিয়ার নামে মদের বার করার পরিকল্পনা ছিল। তবে, হুজুরদের প্রতিবাদ ও সাংবাদিকদের লেখার কারণে আর চালু করা হয়নি। আজ সকাল ১১টার দিকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর থেকে ৪/৫ জনের একটি দল এসে কোন কথা বলার সুযোগ না দিয়েই বার বন্ধের নির্দেশ দেন ।
এ ব্যাপারে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অফিসের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ সামছুল আলম ও পরিদর্শক মোহাম্মদ ওবায়দুল কবিরকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেনি ।
এদিকে, নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ আসাদুজ্জামান জানান, আমরা গোঁপনে খোঁজ খবর নিয়ে দেখেছি, বার বন্ধই ছিল ।
প্রসঙ্গত, গত ৭ ফেব্রুয়ারি ওলামা পরিষদের ব্যানারে আয়োজিত এক গণ সমাবেশ থেকে প্রশাসনকে ৭ দিনের আল্টিমেটাম দেন হেফাজত ইসলামের নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি মাওলানা আব্দুল আউয়াল। না হলে পুরো ভবন ভেঙ্গে চুরমার করা হবে বলে ঘোষণাদেন। এছাড়াও বারটি বন্ধের দাবিতে নারায়ণগঞ্জের স্থানিয় গণমাধ্যম গুলোতে গুরুত্ব সহকারে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছিল দিনের পর দিন।
Discussion about this post