নারায়ণগঞ্জ শহরের খানপুর ৩শ শয্যা হাসপাতালের চিকিৎসক আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ দীর্ঘদিনের । আমিনুল ছাড়াও সরকারী এই হাসপাতালের ডাক্তার , সেবক , সেবিকা, ড্রাইভার, ওয়ার্ড বয় থেকে শুরু করে প্রায় সকলেই কোন না কোন অপরাধ কর্মকান্ডের সাথে জড়িত । এই লম্পট আমিনুলের বিরুদ্ধে এর আগেও এমন রোগীর সাথে অশোভন আচরণ করলে নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী রাজনৈতিক চক্রের হোতাদের শেল্টার বারবারই নিজেদের রক্ষা করেছেন । প্রভাবশালী একটি দূর্ধর্ষ ঠিকাদারী সিন্ডিকেট বিএনপি সরকারের শাসনামলে জেলা যুবদলের আহবায়ক শীর্ষ সন্ত্রাসী (ক্রসফায়ারে নিহত) মমিন উল্লাহ ডেবিডকে নিয়মিত মাসোয়ারা দিয়ে হাজারো অপকর্ম করে নিজেদেরকে রক্ষা করতো ।
সরকার বদলের পাশাপাশি শাসক দলের প্রভাবশালী নেতাদের ম্যানেজ করে এমন নির্লজ্জ অপরাধ চালিয়ে যাচ্ছে অপরাধী সিন্ডেকেট । আর এমন মামলার পর ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার অভিজ্ঞতাও রয়েছে এই অপরাধীদের বিরুদ্ধে ( এমন মন্তব্য অনেকের )
নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট :
এক রোগীকে চেকাপের নামে ইনজেকশন দিয়ে অচেতন করে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠেছে নারায়ণগঞ্জ খানপুর ৩’শ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের চিকিৎসক আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে। এ অভিযোগে ভুক্তভোগী নারী নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। নারীর বাড়ি ফতুল্লার কাশিপুর এলাকায়।
জানা গেছে, ১২ ফেব্রুয়ারি বুধবার নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল আদালতে ওই নারী বাদী হয়ে ডাক্তার আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন । আদালতের বিচারক মোহাম্মদ শাহীন উদ্দীন মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন । বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শরীফুল ইসলাম।
আদালতে মামলার আরজিতে বাদী দাবি করেন- তিনি দীর্ঘদিন যাবত থাইরয়েড ক্যান্সারে আক্রান্ত । এ রোগের চিকিৎসার জন্য তিনি নারায়ণগঞ্জ খানপুর ৩’শ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের জেনারেল সার্জন, প্লাস্টিক সার্জন ও বার্ন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার আমিনুল ইসলামের নিজস্ব চেম্বার (গ্যাস্ট্রোলিভ ডায়াগোনস্টিক এন্ড কনসালস্টেশন সেন্টার, খানপুর, নারায়ণগঞ্জ) এ বিগত ২০১৭ সালের ৩১ জুলাই শারীরিক অবস্থা অর্থাৎ থাইরয়েডের বিষয়ে ডাক্তারকে অবগত করেন। পরবর্তীতে ডাক্তার আমিনুল ইসলাম বাদীর শারীরিক অবস্থা পরীক্ষার টেস্ট ও ওষুধপত্র তার প্যাডে লিখিতভাবে প্রদান করেন। এভাবে চিকিৎকের পরামর্শে চিকিৎসা চালিয়ে নেয় যান বাদী।
পরবর্তীতে বাদী আবারো ওই বছরের ২০ আগস্ট আমিনুল ইসলামের কাছে তার শরীরের অবস্থার বিতরণ দেন। আমিনুল ইসলাম তার রক্ষিত চেম্বারের বেডে সুইতে বলেন। ডাক্তার বাদীকে বলেন, বেডে সুয়ে পড়েন কিছু টেস্ট করতে হবে। বাদী আসামীর সরল কথায় সুয়ে পড়েন। আসামি বাদীকে বলে যে, তোমাকে একটি ইমার্জেন্সি ইনজেকশন নিতে হবে। এ বলে আসামি আমিনুল ইসলাম বাদীকে ইনজেকশন দিয়ে শরীর অবশ করে দেন। ইনজেকশন দেয়ার পর বাদীর শরীরের কোন অংশেই নড়াচড়া করতে পারেনি। বাদীকে একা পেয়ে আমিনুল ধর্ষণ করে। বাদী ধর্ষণের পর ঘুমিয়ে পড়েন এবং সজাগ হয়ে চিৎকার করলে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করা হয়েছে এবং বাড়াবাড়ি করলে তা ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়া হবে বলে হুমকি প্রদান করে। সেই প্রতি সপ্তাহে আমিনুলের কাছে আসতে হবে বলে ভয় দেখায়।
এই ঘটনার পর বাদীকে মোবাইল ফোনে ভয় দেখাতে থাকে। বাদী বিবাহিত নারী এবং আত্ম সম্মানের ভয়ে স্বামীর কাছে লুকিয়ে রাখে সেই ঘটনা। পরবর্তীতে নারীর স্বামীর কাছে পিয়ন দিয়ে খবর পাঠায় রোগীকে কিছু টেষ্ট করাতে হবে।
পরবর্তীতে বাদীকে তার স্বামী ডাক্তারের কাছে তার বোনকে সাথে নিয়ে যেতে বলেন। বাদীর বোনকে সাথে নিয়ে ওই ডাক্তারের চেম্বারে গেলে বোনকে বের করে দিয়ে চেম্বারের দরজা লাগিয়ে দেন এবং ধর্ষণ করেন।
এই ঘটনা বাদীর স্বামী বুঝতে পেরে বাদীকে তার বাবা বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। ওই সময়ে নারী বুঝতে পারেন তিনি সন্তান সম্ভবা এবং শারীরিকভাবে অসুস্থ। তাই মামলা করতে বিলম্ব হয়।
Discussion about this post