নারায়ণগঞ্জের সড়কগুলোতে চাঁদাবাজির এমন নির্মমতার খবর জানে না কে ? সরকারের এতোগুলো আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা সারাদিন রাত পালাক্রমে আইনশৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে জোড়ালো ভূমিকা রাখেলেও শ্রমিকদের উপর এমন নির্মম আঘাত করে একজন লেবাসদারী ভন্ড শ্রমিক নেতার শেল্টারে গুটি কয়েক চাঁদাবাজ শ্রমিকদের উপর ষ্টিমরোলার চালিয়ে চাঁদাবাজি করলেও কি কারণে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না এই অপরাধীদের বিরুদ্ধে ? এমন নির্মমতার পরও লেবাসধারী ওই ভন্ডটার কাছে অসাধু আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার কিছু কর্মকর্তা নিয়মিত চাঁদাবাজির ভাগেবাটোয়ার একটি অংশ গ্রহণ করার কারণে বছরের পর বছর জুড়েই শ্রমিক নেতার নাম করে এই ভন্ডটা চালিয়ে যাচ্ছে অপকর্ম । ভন্ডটার ভন্ডমী অতি জরুরী ভিত্তিতে বন্ধ করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন ফতুল্লার একজন অটো রিক্সার মালিক ।
নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট :
ফতুল্লায় ইজিবাইক চাঁদাবাদের রুখবে কে? এমন প্রশ্ন ফতুল্লার সর্বত্র। ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ সড়কের মোড়ে মোড়ে প্রকাশ্যে ইজিবাইক থেকে চাঁদা আদায় করছে আজিজুল বাহিনী ও তার দোষররা । চাঁদা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করলেই ইজিবাইক চালকদের চাঁদাবাজদের অফিসে ধরে নিয়ে নিমর্ম নির্যাতন চালাচ্ছে চাঁদাবাজরা। আর এসব অভিযোগ নিয়ে থানায় যাওয়ার আগেই চাঁদাবাজদের দোষররা আপোষ মিমাংসার কথা বলে চাঁদাবাজদের রক্ষা করে থাকেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এমন অহরহ ঘটনার ধারাবাহিকতায় ২১ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আবারো একই ঘটনা ঘটেছে। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় কামাল নামের ইজিবাইক চালককে অফিসে ধরে নিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিতে গেলে থানার এক দালালের কারণে থানা পর্যান্ত পৌছাতে পারেনি চাঁদাবাজদের পিটুনিতে আহত কামাল (৩৬)।
কামাল জানায়, পঞ্চবটি মোড়ে ইজিবাইক রেখে যাত্রী উঠানোর সময় চাঁদাবাজ আজিজুলের লোকজন আমার কাছে চাঁদা দাবী করে। আমি চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে আমাকে পঞ্চবটি মোড়ে অবস্থিত আজিজুলের অফিসে নিয়ে বেধম মারধর করে। এ ঘটনায় আমি ফতুল্লা মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দিতে গেলে থানার পাশের একটি কম্পিউটারের দোকানের মালিক এই বিষয়টি আপোষ করার প্রস্তাব দেয়। এসময় অনেকটা চাপ প্রয়োগ করে চিকিৎসার কথা বলে বিষয়টি আপোষ করে দেয়।
উল্লেখ্য, আজিজুল বাহিনী ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ পুরান সড়কের বিভিন্ন স্থানে প্রকাশ্যে ব্যাটারী চালিত ইজিবাইক থেকে চাঁদা আদায় করছে। এছাড়া মোটা অংকের টাকা টাকার বিনিময়ে টোকেন বানিজ্য করছে। কেউ মোটা অংকের টাকা দিয়ে টোকেন নিতে অপরাগতা প্রকাশ করলে জোর করে ইজিবাইকের সিট কিংবা চাবি রেখে দিচ্ছে। আজিজুল বাহিনীর চাঁদাবাজীর বিরুদ্ধে স্থানীয় ইজিবাইক চালকরা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করলেও প্রশাসনের টনক নড়ছে না।
প্রতিনিয়তঃ এমন চাঁদাবাজির ঘটনা প্রকাশ্যে ও গোপনে সমানতালে পরিচালিত হলেও সকল অপরাধের তথ্য সকল আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের কাছে রয়েছে । জেলায় দায়িত্বরত এমন কোন গোয়েন্দা সংস্থা নাই যাদের কাছে এমন চাঁদাবজির খবর অজানা রয়েছে । গোয়েন্দা সংস্থা ছাড়াও থানা পুলিশ, জেলা ডিবি পুলিশ, ডিএসবি, এসবি, এনএসআই সহ সকল আইন প্রয়োগকারী সংস্থা নির্মমভাবে এমন চাঁদা আদায়ের খবর এবং ভাগভাটােয়ারার তথ্য জানা থাকলেও অজ্ঞাত কারণে সকল সংস্থাই মুখ বন্ধ করে থাকে নির্মমতার দৃশ্য দেখার পরও ।
অভিযোগ রয়েছে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনের কয়েকজন অসাধু কর্মকর্তা, মাঠ পর্যায়ের কয়েকজন ওয়াচার, থানা পুলিশ, ডিবি পুলিশের ক্যাশিয়ারদের কাছে নিয়মিত চাঁদাবাজির একটি বন্টনকৃত অংশ সময় মতো পৌছে দেয়ার কারণে চিহ্নিত এই চক্রটির বিরদ্ধে কথা বলার সাহস করে না কেউ ।
Discussion about this post