নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডাঃ সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেছেন, যখন কোন কারণে দল ক্ষমতায় ছিলো না তখন আপনাদের টিকিটিও খুজে পাওয়া যায় নাই । ভাস্কর্য যা দেখছেন তা সিটি কর্পোরেশনের করা।তা রক্ষার দায়িত্ব জনগণের, আওয়ামীলীগের । দূর্বৃত্তায়ন কোথায় গিয়ে ঠেকেছে । মহানগর আওয়ামীলীগ সভাপতি আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন সাহেবের নাম ফলক ভেঙ্গে দিলো জাতীয় পার্টির এমপি । এর প্রতিবাদ করতে গিয়ে সেখানে অব্যাহতি দিতে হয় জেলা আওয়ামীলীগের জয়েন্ট সেক্রেটারী জাহাঙ্গীর আলমকে ।
সে এমপি দুঃসাহসিকভাবে আনোয়ার হোসেন সাহেবের নেইম ফলক ভাঙ্গলো সেই এমপি রাতের আধারে বঙ্গবন্ধুর আত্মীয় মামা তার কবর রাত ১টার সময় পাকা করা কবর ভেঙ্গে নিজের বোনের কবর দিলেন । দূর্বৃত্তায়ণ করতে করতে মানুষ কোথায় চলে যায় , কবরেও দূর্বৃত্তায়ণ ।
মহান বিজয় দিবস (১৬ ডিসেম্বর) উপলক্ষে বুধবার দুপুরে জেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া নানা বিষয়ের উপর বিস্তারিত আলোচানাকালে উল্লেখিত এমন মন্তব্য করেন ।
মেয়র আইভী আরো বলেন, আমারে এখানে ই নয় সাবা পৃথিবীতে আমার একটা কানা কড়িও নাই । ১১শ কোটি টাকার মালিক, আপনি যদি সেই টাকা যদি দেখাতে না পারেন তবে আপনার বিরুদ্ধে সাইবার এ্যাক্টে মামলা হবে । কথা বলার আগে তিনবার চিন্তা করবেন । দায়িত্বশীল অবস্থানে থেকে দায়িত্বশীল কথা বলবেন ।
নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি আরজু রহমান ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জের সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সাংসদ হোসনে আরা বেগম বাবলী, আওয়ামীলীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট আনিছুর রহমান দিপু, জেলার আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি আসাদুজ্জামান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমসহ নেতাকর্মীদের অনেকেই উপস্থিত ছিলেন ।
এর আগে বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে আওয়ামীলীগ কার্যালয়ের সামনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে জেলা আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। পরে সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে কাউন্সিলর ও কর্মকর্তা কর্মচারীদের সঙ্গে নিয়ে বঙ্গবন্ধু চত্ত্বরে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান মেয়র আইভী।
আইভী বলেন, এমপি (লিয়াকত হোসেন খোকা) এ দুঃসাহসিক ভাবে আমাদের জননেতা আনোয়ার সাহেবের নামফলক ভেঙে দিলো ওনিই কিন্তু কিছুদিন আগে আমাদের বঙ্গবন্ধুর আত্মীয় মামা তাঁর কবর রাতের আধারে (রাত ১টায়) সেই কবর ভেঙে সেখানে তার বোনকে দাফন করেছে। এর চেয়ে লজ্জাজনক কি হতে পারে। একটি পাকা করা কবর, সিটি করপোরেশনের অনুমতি না নিয়ে জোর করে একজন এমপি এ কাজটি করা অত্যন্ত নিন্দনীয়। দেখেন ওনিতো করেছে, ওনার জন্য আমি গতকাল এ চিঠি পেয়েছি তাদের রশিদ সহ যদিও আমাদের তত্ত্বাবধায়ক আমাদের জানায়নি ভয়ে এতো দিন। আমরা যখন জানতে পেরেছি তখন আমার তত্ত্বাবধায়ককে সরিয়ে দিতে হয়েছে। মৌলবী সাহেবকে আমার শোকজ করতে হয়েছে। এখন এতো বড় ক্ষমতাধর এমপিকেও আমি বাধ্য তাকে চিঠি দিতে। তার জবাবদিহিতার জন্য। আমি তাকে জবাবদিহিতার জন্য নিয়ে আসবো। দুর্বৃত্তায়ন করতে করতে মানুষ কোথায় চলে যায়। কবরে যেয়েও দুর্বৃত্তায়ন। এটার নামই পতন। অনিবার্য পতন যখন মানুষের শুরু হয় তখন মানুষ অনেক মিথ্যা কথা বলা শুরু করে। ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ শুরু করে। মানুষের নামে অবৈধ কথা বার্তা বলা শুরু করে। আমি সেই এমপিকে ধিক্কার জানিয়ে বলতে চাই। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কি করতে পারবেন, সেই পরিবারের কাছে গিয়ে ক্ষমা চান। তাদের অনুমতি নেন। অথবা আমি বাধ্য হবো আপনাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে।
Discussion about this post