স্টাফ রিপোর্টার :
সোনারগাঁয়ে নসিমন চালক জামাল ও তার ভাগিনা রিপনকে পিটিয়ে আহত করার ঘটনায় ব্যাপকভাবে সমালোচিত সোনারগাঁ পৌরসভার মেয়র ও বাংলাদেশ কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির (সাদেক কমিটির) স্বঘোষিত সভাপতি সাদেকুর রহমানকে ১৭ ডিসেম্বর সোমবার ভোররাতে আটক করার ১২ ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর বিশেষ বিবেচনায় মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দিয়েছে নারায়ণগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) । সাদেকুর রহমান মুক্তি পেলেও এবার ওষুধ ব্যবসায়ীরা মুক্তি চায় সাদেক সমিতির হাত থেকে ।
পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক সাজ্জাদ রোমন এক খুদে বার্তায় জানান ৮০ বছরের বৃদ্ধ শারিরীকভাবে অত্যান্ত দূর্বল ও অসুস্থ থাকার বিবেচনায় সাদেকুর রহমানকে জিম্মায় মুক্তি দেয়া হয়েছে ।
এদিকে ছাড়া পেয়ে সোনারগাঁ পৌরসভার সেই মেয়র ও বাংলাদেশ কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির কেন্দ্রিয় কমিটির সভাপতি সাদেকুর রহমান গণমাধ্যম কর্মীদের জানায়, ‘ আমার কথা একটাই , আমার বিরুদ্ধে কোনো পক্ষ ষড়যন্ত্র করতাছে। আমি ঐ ড্রাইভাররে মারছি। লাডি দিয়া কয়েকটা বাড়ি আর লাথি দিছি। কিন্তু কেন মারছি এ বিষয়ডা কিন্তু ঐ ভিডিওটাতে কেউ দেখায় পুরা ঘটনাডা এমন না।
ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টর এনামুল হক জানান, ‘যাদের মারধর করা হয়েছিল তারা কোনো মামলা বা আইনগত ব্যবস্থা নেননি। উপরন্তু তারা আপস করেছেন। সে কারণেই মুচলেকায় সাদেকুর রহমানকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া তার শারীরিক অবস্থারও অবনতি ঘটেছিল।
সাদেকুর রহমানকে ছেড়ে দেয়ার ঘটনায় সোনারগাঁ উপজেলার সর্বত্র সমালোচনার ঝড় বইছে । অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করে জানায়, নসিমনের জামাল ও ভাগিনা রিপনের পিটানোর ঘটনায় ভিড়িও থাকায় তাকে গ্রেফতার করলেও ৮০ বছর বিবেচনায় তাকে ছাড়া হলো কিন্তু এমন অসংখ্য অপরাধের কোন প্রমাণ না থাকায় মেয়র সাদেকুর দীর্ঘ তিন য়ুগ যাবৎ বাংলাদেশ কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতিকে “সাদেক সমিতি” বানিয়ে পুরো পরিবার নিয়ে লুটপাট করে আসছে ওষুধ ব্যবসায়ীদেরকে জিম্মি করে । দরিদ্র দুই কিশোরকে পিটানোর সময় সাদেকুরের বয়স কি কম ছিলো ? ওষুধ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি করাকালে একবারও কি মনে হয় নাই সাদেকুর নিজে অসুস্থ্য ? কি ব্যবসা আছে তার যে কোটি কোটি টাকার মালিক তিনি ? এমন অসংখ্য প্রশ্নে জবাব চেয়ে একটি লিফলেট বিতরন হচ্ছে সর্বত্র ।
গত ৫ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জ জেলা কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতিকে পুঁজি করে কিছু দালালদের মাধ্যমে জেলার সকল ওষুধ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগ জোড়ালোভাবে উত্থাপিত হলেও ক্ষমতা আর চাঁদাবাজির টাকার বদৌলতে যা খুশি তাই করে বেড়াচ্ছে সাদেকুর ।
মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পেলেও নারায়ণগঞ্জের ওষুধ ব্যবসায়ীরা সাদেক বাহিনীর অত্যাচার থেকে মুক্তি চেয়ে এবং বিচারের দাবী জানিয়ে আসছে দীর্ঘদিন যাবৎ ।
Discussion about this post