রেলওয়ের উচ্ছেদ অভিযানকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জে শুরু হয়েছে ভানুমতির খেলা । জোড়ারোভাবে অভিযোগ উঠেছে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর ও হোটেল মালিক মনির হোসেন, দুলাল, শফিসহ আরো কয়েকজন রেলওয়ের অসাধু কর্মকর্তাসদর সাথে যোগসাজস করে চালিয়ে যাচ্ছে অপকর্ম । বর্তমানে মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য মনির হোাসেনসহ শাসক দলের কয়েকজন নেতা রেলওয়ের উচ্ছেদের নামে গত কয়েক মাস যাবত চালিয়ে যাচ্ছে নাান অপতৎপড়তা ।
এর প্রতিফলন ঘটেছে বৃহস্পতিবার ৩১ অক্টোবর ।
শহরের এমন উচ্ছেদের ঘটনায় সাধারণ ব্যবসায়ীসহ সকল মানুষের মুখে মুখে শোনা যায় হোটেল ব্যবসায়ী মনির হোসেন, দুলালল ও শফি মিয়ার ব্যাপক দাপট । মনির হোসেন আওয়ামরিীগের রাজনীতির সাথে জড়িত থাকলেও আরেক ভাই ভাই বিএনপি নেতা ও জাকির খানের ঘনিষ্ট বন্ধু হিসেবে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করতো। ছিলেন অত্যাধিক দাপুটে। সম্প্রতি তাদের তিন ভাইয়ের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবিতে অপহরণ করে মারধরের অভিযোগে মামলাও দায়ের হয়েছিলো আদালতে।
সেই ক্ষমতাধর ব্যক্তিটি হচ্ছেন মনিরুজ্জামান মনির । দুই নং রেল গেট এলাকায় রেলওয়ে জমি দখল করে ‘মনির হোটেল’ নামে একটি রেস্টুরেন্ট রয়েছে তার। বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সকাল দিকে ওই এলাকায় অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। তবে, রহস্যজনক কারণে থেকে গেছে সেই ক্ষমতাধর মনিরুজ্জামান মনিরের হোটেলটি !
সূত্র জানায়, দুই নং রেল গেট এলাকার রেললাইন থেকে শুরু দিকেই মনির হোটেল, কাবার হোটেলসহ অনেক অবৈধ স্থাপনা । মনির হোটেলের পরে রয়েছে ফুডল্যান্ড, তারপর আওয়ামী লীগের কার্যালয়। এই তিনটি স্থাপনার মধ্যে মাঝের ফুডল্যান্ডের স্থাপনা বৃহস্পতিবার ৩১ অক্টোবর উচ্ছেদ হয়। তবে, রহস্যজনক কারণে এখনও রয়ে গেছে মনির হোটেল ! তাই প্রশ্ন উঠেছে, প্রথমটি রেখে এর পরের স্থাপনা উচ্ছেদ কি করে হয়, এর নেপথ্যের কারণ কি ?
এ নিয়েই বৃহস্পতিবার দিনভর ব্যাপক সমালোচনা চলছে পুরো শহরজুড়ে । অনেকেই বলছেন, রেলওয়ে এখানে তামশা শুরু করেছে। তারা সুবিধাপ্রাপ্ত হয়েই মনির হোটেল উচ্ছেদ চালায় নি। কিন্তু এই হোটেলের পরের স্থাপনাটি ঠিকই উচ্ছেদ করেছে।
অনেকের দাবী, মনির হোটেলসহ আরো কয়েকটি অবৈধ স্থাপনা রক্ষা করতে শাসক দলের অনেক নেতাদের পাশাপশি বিএনপির কয়েকজন নেতা এমন অবৈধ স্থাপনা থেকে কোটি টাকার চাঁদাবাজি করে ব্যাপক লুটপাট চালিয়ে আসছে দীর্ঘদিন যাবৎ । মনির হোটেলের মালিক মনির ছাড়াও আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ খাবার হোটেলের মালিক চারপুইরা দুলাল ও তার বড় ভাই এক সময় ড্রামে করে পানি বিক্রেতা সেই শফি পুরো ২নং রেল গেইট এলাকায় রেলওয়ের সাম্রাজ্য চালিয়ে আসছে ।
রেলওয়ের অসাধু কর্মকর্তাদের সাথে যোগসাজস করে কয়েকদিন পর পর রেলওয়ের সকল স্থাপনা উচ্ছেদ করবে বলে চাঁদাবাজির অভিনব কায়দায় মাইকিং করায় । এরপর উচ্ছেদ ঠেকাতে চলে ব্যাপক চাঁদাবাজি । আর এই চাঁদাবজির পুরো টাকাই বিএনপি, আওয়ামীলীগ, শফি, দুলাল, মনিরসহ আরো কয়েজন রেলওয়ের কর্মকর্তা এমনি করেই ভাগবাটোয়ারা আসছে দিনের পর দিন। চিহ্নিত চক্রটি যে রেলওয়ের অসাধু কর্মকর্তাদের সাথে যোগসাজস করে অপকর্ম চালাচ্ছে তার প্রমাণ রেখে গেলে মনির হোটেল রক্ষা করে !
Discussion about this post