এনএনইউ রিপোর্ট : দুদকের নাম শুনে এবং মামলা থেকে রক্ষা পেতে দুদক পরিচয় দান কারী এক প্রতারকের হাতে ২ লাখ ২০ হাজার টাকা তুলে দিয়েছিলো আড়াইহাজারের ভূমি কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল জলিল । দফায় দফায় এমন ঘুষ দেয়ার এক পর্যায়ে টনক নড়ে নারায়ণগঞ্জের ভূমি কর্মকর্তা জলিলের । শেষ পর্যন্ত দুদকের সাথে যোগাযোগ করে ফাদ পেতে গ্রেফতার করা হয় প্রতারক ভুয়া দুদক কর্মকর্তারা ফয়েজ উদ্দিন ওরফে ফয়সল রানাকে ।
বুধবার দুপুরে ঢাকার গুলিস্তানের রাজ হোটেল থেকে দুদক কর্মকর্তারা ফয়েজ উদ্দিন ওরফে ফয়সল রানা নামে ওই ব্যক্তিকে আটক করেন।
তার বিরুদ্ধে একটি মামলাও হয়েছে বলে জানিয়েছেন কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য ।
তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, “গ্রেপ্তার ফয়েজ দ্রুত বেশি অর্থের মালিক হতে মানুষকে ঠকিয়ে, ভয় দেখিয়ে দুদক কর্মকর্তা সেজে অর্থ আদায় করে আসছিলেন।”
ফয়েজ চট্টগ্রামের চন্দনাইশের দোহাজারীর মৃত আজিজুর রহমান সওদাগরের ছেলে।
অর্থ আদায়ের ওই ঘটনায় ফয়েজের বিরুদ্ধে পল্টন থানা ভুক্তভোগী নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার খাগকান্দা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারী কর্মকর্তা মো. আবদুল জলিল বাদী হয়ে মামলা করেছেন।
এজাহারে বলা হয়, ফয়েজ নিজেকে দুদকের তদন্ত কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে জলিলকে ফোন করে জানান যে, দুদকে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত চলছে ।
জলিল বলেন, “আমাকে বলে, দুদকে উত্থাপিত অভিযোগ হতে রেহাই পেতে হলে তাকে সাত লাখ টাকা দিতে হবে। তা না হলে আমার বিরুদ্ধে মামলা করে চার্জশিট দেবে । এতে আমি চাকরি হারাব । আমি চাকরি হারানোর ভয়ে কোনো উপায় না পেয়ে টাকা দেওয়ার ইচ্ছা পোষণ করি ।”
এরপর আড়াই মাস আগে ফয়েজকে নগদ দুই লাখ টাকা এবং কিছুদিন পর আরও ২০ হাজার টাকা দেন ভূমি কর্মকর্তা জলিল।
এরপর ফয়েজ আরও ৫ লাখ টাকা দিতে জলিলের কাছে দাবি করলে তিনি দুদকে অভিযোগ জানান। তখন দুদকের পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীনের নেতৃত্ব অভিযান চালিয়ে প্রতারক ফয়েজকে গ্রেপ্তার করা বলে জানান প্রনব ।
এমন ঘটনায় নাম প্রকাশ না করার শর্তে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের কয়েকজন কর্মকর্তা বলেন, আড়াইহাজার উপজেলার খাগকান্দা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারী কর্মকর্তা মো. আবদুল জলিল নিজেই একজন ধূর্ত মানুষ । জলিল নিজে নানভাবে দূর্ণীতি করে বিশাল সম্পদের মালিক হয়েছেন বলেই এতোগুলি টাকা প্রতারক ভুয়া দুদক কর্মকর্তারা ফয়েজ উদ্দিন ওরফে ফয়সল রানার হাতে তুলে দিয়েছে । প্রতারকের যেমন শাস্তি হওয়া দরকার তেমনি নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক তদন্ত করে খাগকান্দা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারী কর্মকর্তা মো. আবদুল জলিলের দুর্ণীতি খতিয়ে দেখা উচিৎ।
Discussion about this post