আমি গ্যাস চোর না । এমন বক্তব্য রেখে এবার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানকে প্রমাণ করার দাবী করেছেন তিতাস গ্যাসের সামান্য কর্মচারী থেকে শত শত কোটি টাকার মালিক ও বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজিম উদ্দিন প্রধান। কাজিম উদ্দিন প্রধানকে ঘিরে সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানের কড়া সমালোচনা কে সমর্থন করে বন্দর থানা আওয়ামীরীগ নেতাদের অনেকেই বলেন, “কাজিম উদ্দিন প্রধান গ্যাস চোর এটি একেবারেই শতভাগ সঠিক । আর এখন কাজিম উদ্দিন নিজেকে আওয়ামীলীগ নেতা বনে গেছে। সেলিম ওসমান গাঞ্জার নৌকা বলে ঠিক করেন নাই । এই নৌকা আমাদের জাতীর ঐতিহ্যের নৌকা । আর এই নৌকা কে একজন চিহ্নিত চোরের হাতে তুলে দিয়েছেন নাারায়ণগঞ্জের অর্থলোভী কিছু নেতা । যাদের ধিক্কার জানানোর প্রয়োজন ছিলো । এমন গ্যাস চোর আর তেলচোর কে নিয়ে নির্বাচনের মাঠে চুলচেরা বিশ্লেষণ চলছে বন্দরসহ নারায়ণগঞ্জজুড়ে । কাজিম উদ্দিন কোন সময় আওয়ামীলীগ করতো ? এতা বড় পদবী পাওয়ার কোন যোগ্যতা ছিলো তার ? ধিক্কার জানানোর ভাষা নাই বন্দর বাসীর । এমন মন্তব্যও করেছেন অনেকেই
শনিবার ৩০ অক্টোবর কাজিম উদ্দিন প্রধান বলেন, গত ২৮ অক্টোবর নবীগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে নাসরিন ওসমান ভবন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এমপি সেলিম ওসমান আমাকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন আমি নাকি বন্দর বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ আবাসিক গ্যাস সংযোগ দিয়ে টাকা উপার্জন করেছি। আমি তার এই বক্তব্যের নিন্দা জানাই এবং এমপি সেলিম ওসমানকে চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি যদি বন্দরের একটি এলাকা দেখাতে পারেন আমি অবৈধ গ্যাস সংযোগ দিয়ে কারো কাছ থেকে টাকা নিয়েছি তাহলে আমি রাজনীতি ছেড়ে দিবো। বন্দরবাসীর কারো অজানা না যে বন্দরে অবৈধ গ্যাস সংযোগ দিয়ে কে কে অবৈধ টাকা উপার্জন করেছে। বন্দরে প্রতিটি অবৈধ গ্যাস গ্রাহকদের সাথে কথা বললেই জানা যাবে কাদের পকেটে এ অবৈধ গ্যাস সংযোগের টাকা ঢুকেছে। আমি নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম সেলিম ওসমানের কাছে অনুরোধ করি কারো পক্ষ নিয়ে আমাকে মিথ্যা অপবাদ দিবেন না। সেই সাথে আমি আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতি অনুরোধ রাখি যেনো তারা এর সঠিন তদন্ত করে প্রকৃত ব্যাক্তিদের মুখোশ উন্মোচন করেন।
সেলিম ওসমান ২৮ অক্টোবর নবীগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে দেয়া বক্তেব্যে বলেন, একজন কলাগাছিয়াতে নির্বাচন করছেন। আজকে ১২৬৫ জন শিক্ষার্থী আমাদের ভবিষ্যৎ নাগরিক। কোন লুটেরাকে চেয়ারম্যান বানিয়ে কোন লাভ হবে না। গাঞ্জার নৌকা কখনো তাল গাছে উঠবে না। কলাগাছিয়াতে লাঙল প্রতীকে দেলোয়ার হোসেন নির্বাচন করছেন। আমি কোন জোরের কথা বলছি না। কলাগাছিয়াতে দেলোয়ার হোসেন জিতলে আরো বেশী উন্নয়ন করবো। আমি তাই দেলোয়ারকে চাই। সেলিম ওসমান বলেন, আমরা শেখ হাসিনার নৌকা। আমরা গাঞ্জার নৌকা না। শ্রমিক নেতা, তিতাস গ্যাসের নেতা, বাড়িতে বাড়িতে লাইন দিয়া বন্দরের মানুষকে ১২টা বাজায়া নেতাগিরি করে। পয়সা কামাইসে সেই পয়সা এখন খরচ করতে হবে। হারামের পয়সা ব্যারামে খায়। উনার ব্যারামের পয়সা ইলেকশনে খরচ করছে। আমার দেলোয়ারের কোন পয়সা খরচ করতে হবে না। ইনশাআল্লাহ আমার ও আমার পরিবারের দোয়া দেলোয়ারের সাথে থাকবে। জয়ী দেলোয়ার হবেই। দেলোয়ারের সাথেই কলাগাছিয়ার উন্নয়ন হবে। আমি মোটেও ভয় পাইনি যে গাঞ্জার নৌকার সাথে ফাইট করছে।
সেলিম ওসমান আরো বলেন, আমার সাথে ৩ জন মানুষ কাজ করেছেন। একজন মুকুল, আরেকজন আমার বন্ধু প্রয়াত আবু জাহের সাহেব, আরেকজন বিশিষ্ট নেতা উপজেলা চেয়ারম্যান (এম এ রশিদ)। উনি আজ এখানে নেই, উনি কলাগাইচ্ছায় (কলাগাছিয়া ইউনিয়ন) গাঞ্জার নৌকা তালগাছে উঠাইতে গেছেন। উনার বুঝা উচিৎ এইটারে (নৌকার প্রার্থী কাজিম উদ্দিন) আজকে চেয়ারম্যান বানালে কয়েকদিন পরেই থাকবে না। কোন লুটেরাকে চেয়ারম্যান বানায়া আপনার কোন লাভ হবে না। গাঞ্জার নৌকা কখনও তালগাছ দিয়ে উঠবে না।
Discussion about this post